দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। করোনার ২য় ঢেউয়ে প্রতিদিনই ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। এমন একটি ভাইরাস যা ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রী, ধনী, গরীব, যুবক, বৃদ্ধ কাউকে চিনছে না। কে কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন তা নিজেও জানতে পারেন না। সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন না মরণঘাতি এই ভাইরাসের হাত থেকে। করোনায় মারা যাচ্ছেন ধার্মিক, অধার্মিক, গরীব, ধনী থেকে ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রীরা। ভিআইপিরা যে যার মতো সাবধানতা অবলম্বন করে চলার চেষ্টা করছেন। আক্রান্ত হলেও সর্বোচ্চ ভাল চিকিৎসা নিচ্ছেন তবুও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় সবাইকে সাবধান থাকতে বলছেন, মাস্ক ব্যবহার, বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। করোনার প্রকোপ বাড়াতে লকডাউনও দিয়েছে সরকার। কিন্তু জনগণ যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছেন। তাই বেড়েই চলেছে করোনা। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে সরকারের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপসহ অন্তত ৩০ জন সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর ২ জন সদস্য ও সম্পাদকমন্ডলীর ২ জন সদস্য। জাতীয় সংসদ ও আওয়ামী লীগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৪ আসনের এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী করোনা আক্রান্ত।
এছাড়া কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি শাহীন আক্তার (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী ), কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আব্দুল মজিদ খান, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজির আহমেদ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিম, বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু করোনাভাইরাতে আক্রান্ত। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাহিদ ইজহার খান, শিরীন আহমেদ, জান্নাতুল বাকিয়া, অ্যারোমা দত্ত, রওশন আরা মান্নান, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন আক্রান্ত। সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী করোনা আক্রান্ত। ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (নায়ক ফারুক) করোনা নেগেটিভ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে আইসিইউতে রয়েছেন।
করোনা নেগেটিভ এলেও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও ৬ এপ্রিল রাতে পুনরায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। এর আগে করোনা পজিটিভ আসায় ঢাকায় নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।
গত ৩১ মার্চ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন বুথে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ ও ভালো আছেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আগে ২ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন তিনি। ৩ এপ্রিল সকালে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
টিকা নেওয়ার প্রায় দুই মাস পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। গত ৩০ মার্চ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে নমুনা দিয়ে আসার পর ৩১ মার্চ দুপুরে তিনি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পান। বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
গত ৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে করোনার নমুনা দিলে ৪ এপ্রিল পজিটিভ রিপোর্ট আসে টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। বর্তমানে ঢাকায় তার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে। টিকা নেওয়ার দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। গত ২৫ মার্চ করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। এর আগে গত ২৩ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো. সেলিম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই জ্বর আসে কবরীর। শরীরে ব্যথাও ছিলো। করোনা নমুনা পরীক্ষা হলে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। গত ২১ মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালটির আইসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন। পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা বেশ গুরুতর বলে জানিয়ে তার ছেলে শরৎ বলেন, বাবার রক্তে ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকস্থলীতে ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হয়েছে। গত ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ফারুক। সেখানে গিয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর আগে রক্তে সংক্রমণ ও টিবি ধরা পড়ার কারণে তাকে সিঙ্গাপুরেই প্রায় ৪৭ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে নিয়মিত চেকআপের জন্য গেলে সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে করোনায় মারা গেছেন বেশ বর্তমান সংসদের বেশ কয়েকজন এমপি এবং সাবেক এমপি। এর মধ্যে রয়েছেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকার সাবেক এমপি হাজী মকবুল হোসেন, নওগা-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক এমপি তোয়াবুর রহিম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আনোয়ারুল কবির তালুকদার, সাবেক এমপি আবু হেনা, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা এটিএম আলমগীর।
দেশের সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও করোনায় মারা গেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর, এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. নাজমুল করিম, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা.) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত, খ্যাতিমান প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী, টিভি ব্যাক্তিত্ব প্রযোজক, নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা, আবৃত্তিকার মোস্তফা কামাল সৈয়দ, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই, এনটিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক সুমন মাহমুদ, দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন, ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার গীতিকার আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-২ ফরিদুল হক খান দুলাল, সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সাবেক হুইপ নওগাঁ-২ আসনের শহিদুজ্জামান সরকার, রেল মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, যশোর-৪ আসনের এমপি রণজিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোসলেম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এবং গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাটের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।


চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুল্যের ৮০ কেজি গাঁজাসহ পিছু ঝড়া (২৫) ও বিশাল (১৯) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাতছড়ি বিওপির সীমান্ত মেইন পিলারের ১০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যান্তর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক পিছু ঝড়া উপজেলার সাতছড়ি পূর্বটিলার সুরেশ ঝড়ার পুত্র ও বিশাল সাতছড়ি বাংলোটিলার ঠাকুর বড়াইয়ের পুত্র।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ানের (৫৫ বিজিবি) পরিচালক ও অধিনায়ক এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী, বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত পরিমান গাঁজাসহ দুই জনকে আটক করা হয়। আটককৃত গাঁজার মূল্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান- এসময় বিজিরি উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৫ আসামী পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলো- কৃষান গোয়ালা (২২), নিতাই (২০), মিজান ভৌমিক (২০), সুরুজ বড়াই (১৭), খোকন গোয়ালা (৩৫)। আটককৃত আসামীদেরকে চুনারুঘাট থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।
লাখাই প্রতিনিধিঃ লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী নারী জানায়- উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের জাহির উদ্দিন ছেলে ফয়সল মিয়ার (২১) সাথে দির্ঘদিন যাবৎ পরকিয়া সম্পর্ক ছিল তার। দুইমাস পূর্বে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। রোববার রাতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে একটি খামারের কাছে নিয়ে যায় ফয়সল। তখন ফয়সল মিয়া ও তার বন্ধু কবির চৌধুরি (২৮) তাকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের দুজনকে আটক করে।
পরে বিষটির মিমাংশার আশ্বাস দিয়ে পরিবারের লোকজন তাদের নিয়ে যায়। কিন্তু তিনদিন অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় বুধবার সকালে ধর্ষণের অভিযোগে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শায়েস্তগঞ্জ উপজেলার কলিমনগর এলাকায় মটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আব্দুস সালাম মিয়া (২৪) নামে এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুস সালাম বানিয়াচং উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের দাইম উদ্দিনের ছেলে এবং আহত রতন মিয়া শায়েস্তগঞ্জ উপজেলার তালুগড়াই গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার ছেলে।
সূত্রে জানা যায়- ওই সময় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে হবিগঞ্জ রওনা দেন দুইজন। পথিমধ্যে কলিমনগর এলাকায় পৌঁছলে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে অভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্তলে সালাম মিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রতন মিয়াকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুলাভাইয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় মাকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়ে ও জামাতা।
এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে ও জামাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব চলে যান।
এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শালিকা শান্তি বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। একাধিকবার তারা দুইজন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে নিহত ছলেমা বেগম (মোগল মিয়ার শ্বাশুড়ি ও শান্তি বেগমের মা) দেখে ফেলেন।
এ সময় মেয়ে ও জামাতার সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে দুজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন। কিন্তু এরপরও তাদের অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে। ঘটনার দিন (১ আগস্ট) ঈদের রাতে তারা আবারও অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। ছলেমা বেগম তাদেরকে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় জামাতা মোগল মিয়া ও ছোট মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে যান এবং শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তিনি জানান তার মাকে ডাকাতদল গলা কেটে হত্যা করেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে কীভাবে কাজ হবে সেজন্য একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রেড জোন- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত শিফটে কৃষিকাজ করা যাবে
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে, তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।
৩। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করবে।
৪। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবে।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সিতে বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে জোনের ভেতরে কোনও যান চলাচল করবে না।
৭। জোনের ভেতর ও বাইরে মালবাহী জাহাজ কেবল রাতে চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
ইয়েলো জোন- মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে এবং জনসংকীর্ণ কারখানায় ৩৩ শতাংশ কর্মী বর্ধিত শিফটে কাজ করতে পারবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে। বাকিরা বাসা থেকেই কাজ করবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি বা ট্যাক্সিতে একজন করে চলাচল করবে, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করা যাবে।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভিতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে, রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু নিত্যপ্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে। স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
১১। মসজিদ, উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
সবুজ জোন, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কাজ করা যাবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে, তবে প্রয়োজন ছাড়া কিংবা আড্ডা দেওয়ার জন্য বের হওয়া যাবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভেতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, সেলুন, বাজার ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীর নমুনা পরীক্ষার সহজগম্যতা থাকতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ-উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
এছাড়া সব জোনের জন্য পালনীয় সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে-
১। এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২। করোনা রোগ/সংক্রমণ শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
৪। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।
৫। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৬। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনগণ এক জোন থেকে অন্য জোনে যাতায়াত করতে পারবে না। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭। এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
