বর আশীকুজ্জামান চৌধুরী (৩০)। তিনি ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও তাহমিনা চৌধুরীর ছেলে। আশীকুজ্জামান ব্যবসা করেন।
এ বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, তিনি যেহেতু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এ কারণে তার বিয়ের কাবিনে দেনমহরানা ধরা হবে এক টাকা। কিন্তু ওই বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজী দেনমোহরানা দুই লাখ টাকা লেখেন। এ ঘটনা জানার পর মেয়ের মা ও মেয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক টাকা দেনমহরানা লেখান।
ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, সাধারণত দেখা যায় কনেপক্ষই দরকষাকষি করে কাবিনের সময় দেনমোহরানা বাড়িয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে এটি একটি ব্যতিক্রম এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এক নারীর আত্মমর্যাদার রক্ষার প্রতীকও বটে।
তবে এক টাকার কাবিনে দ্বিমত পোষণ করেছেন নারী নেত্রী ফরিদপুর ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী। তিনি বলেন, মুসলিম বিয়ে একটি চুক্তি। মোহরানা নারীর হক। স্বামীর আর্থিক সঙ্গতি ও নারীর সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে দেনমোহর নির্ধারিত হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, মোহরানার ব্যাপারে আবেগের কোনো স্থান নেই। আবেগের বশে মোহরানায় এক টাকা লেখা যেতে পারে কিন্তু এটি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। কেন না নারী বর্তমানে স্বচ্ছল হতে পারেন কিন্তু আগামীতে তিনি স্বচ্ছল না-ও থাকতে পারেন।