কামরুজ্জামান মিনহাজ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে কালীর বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল ও কলেজ) ৬৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর।
এ সময় বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির সদস্য ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কাঁঠাল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম, কাঁঠাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হেলাল দেওয়ান, প্রভাষক (পদার্থ বিদ্যা) আবু সাইদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
অজো পাড়া গাঁওয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে জাতিকে শিক্ষিত করে সমাজ ব্যবস্থাকে উন্নয়ন করে তুলার এক মহামানব ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের বালিদিয়া গ্রামের আব্দুছ ছালাম মাস্টার (৭৫) একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনের সব সম্পদ খোয়ে দিয়েছেন বয়সের ভারে সরকারি সকল সুবিধা বঞ্চিত।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে গ্রামের অবহেলিত ছেলে-মেয়েদের যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল না, দু-একটা স্কুল থাকলেও দূরত্বের কারণে ছেলে-মেয়েরা যেতে পারতো না, তখন এই শিক্ষানূরাগী সমাজকে পরিবর্তনে শিক্ষার ছড়িয়ে দিতে ১৯৭০ সালে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় করার প্রাথমিক প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। নিজের উদ্যোগে নিজের সম্পদ বিক্রি করে বালিদিয়া গ্রামের ছেলেদের খোঁজে এনে এই প্রাথমিক শিক্ষাচর্চায় চালু করেন।
আব্দুস সালাম মাস্টার বয়সের ভারে একটু নুয়ে পড়লেও গুণী এই শিক্ষকের দেহের মধ্যে রয়েছে তারুণ্যের জ্বলন্ত শিখা আর অফুরন্ত সাহস।অসম্ভব বলতে কোন কিছুই যেন তিনি মানতে নারাজ।তাইতো, ১৯৭৫ সাল থেকেই বিনা-বেতনে গ্রামের অবহেলিত ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষাদান শুরু করেন। ১৯৮২ সালে সুদীর্ঘ চেষ্টা,শ্রম ও নিজস্ব অর্থের বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় স্কুলটি রেজিস্ট্রি করান যার নং-২৫২ (৫)।নাম দেন বালিদিয়া কচিকাঁচা রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়।অতঃপর ২০১০-২০১১ মেয়াদে প্রাথমিক বিদ্যালয় যখন সরকারিকরণের আওতায় পড়ে, তার অল্প কিছুদিন আগে তিনি অবসরে চলে যান। অল্পের জন্য সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও তার মধ্যে নেই কোন আফসোস।এ বিষয়ে সালাম মাস্টারের বড় মেয়ে সহ-শিক্ষক সানফ্লাওয়ার আইডিয়াল স্কুল ময়মনসিংহ নাজরাতুন নাইম শিলার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাবা জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন স্কুল প্রতিষ্ঠা বিনা বেতনে শিক্ষাদান ও ধর্মীয় সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে। যার জন্য আমাদের প্রয়োজন বা দেখবাল করার সুযোগটাও বেশি হয়নি। তারপরও আমি বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত করেছি।বাবা সমাজের মানুষদের দেখিয়ে দিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান করতে জনপ্রতিনিধি বা ধনাঢ্য না হলেও করা যায়। তার জন্য প্রয়োজন হয় মনোবল,সৎ সাহস ও দীর্ঘ প্রয়াস।
পরে ঐ গুণী শিক্ষক, শিক্ষানূরাগী সালাম মাস্টারের সাথে কথা বললে তিনি তার প্রতিষ্ঠা নিয়ে গর্ব করে বলেন, এই স্কুলে এই গ্রামের ছেলে মেয়েরা লেখা-পড়া শিখে সমাজকে আলোকিত করেছে আজ সমাজ হয়েছে শিক্ষিত।স্কুল সরকারি হয়েছে আমি আমার বয়সের কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও সুনামের সবটুকু সুবিধা আমি পেয়েছি। আমার ধন-সম্পদের অর্থ স্কুলের প্রতিটি স্থাপনায় সংযুক্ত। হয়তবা আজ আমি কিডনীসহ নানা রোগে আক্রান্ত অর্থ সমস্যা রয়েছে আমার কিন্তু স্কুল পক্ষ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে সম্মানটুকু পাচ্ছি সেটা সকল রোগে ঔষধ হিসেবে সেবন করছি।সকলের কাছে দোয়া চাই।
বিষয়টি নিয়ে বালিদিয়া কচিকাঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুহিত বাবুর সাথে কথা বললে তিনি জানান ,“সালাম স্যার আমাদের এলাকার গর্ব। তিনি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।বিনিময়ে কিছু পাবেন না জানি কিন্তু তার এই সুনাম সারা জীবন থেকে যাবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,৭৫ বছর বয়সী আব্দুস সালাম মাস্টার বর্তমানে বালিদিয়া কচিকাঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি আশাবাদী “স্কুলের পাশেই একটা গ্রন্থাগার স্থাপন করবেন, যদিও প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ জেলার শ্রেষ্ঠ মেয়র পদক পাওয়ায় ত্রিশাল পৌর অঞ্চলের দূরন্ত পথিক কিশোর সংঘ এর পক্ষথেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক জোবায়েত হোসেন ও সাগঠনিক সম্পাদক হাসানের নেতৃত্বে শতাদিক কর্মী নিয়ে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন, প্রমুখ।
রিপোর্ট-ফকরুদ্দীন আহমেদ
নিউজ সম্পাদনা-মোমিন তালুকদার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গুজিয়াম আমিরাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, প্রবীণ আওয়ামীলীগের কারা নির্যাতিত নেতা, বার বার আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যন, মহান মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক মরহুম এড,আব্দুল হামিদ খাঁনের যোগ্য সন্তান উপজেলা পরিষদের দু’বারের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা গুজিয়াম আমিরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নিলেন, এক সময় তাঁর পিতা দায়িত্বে থাকা আসনটির দায়িত্বে ছিলেন।
৬ অক্টোবর মঙ্গলবার, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমার সভাপতিত্বে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালামের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল হোসেন বুলবুল, মোশারফ হোসেন মিন্টু, বুলবুল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম সোহেল, রফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম,শিক্ষক প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন মাস্টার, মোকসেদুল আলম ও নুসরাত জাহান।
পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভার সভাপতি মাহমুদা খানম রুমা তাঁর বক্তব্যে বলেন, পিতার স্মৃতিময় বিদ্যালয়টির একসময় আমি ছাত্রী ছিলাম। এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনায় পিতার স্মৃতি চিহৃ দেখতে পাই।
আমার পিতা কখনো শিক্ষকতা, কখনো ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন করেছে।
তাঁর সন্তান হয়ে তাঁর রেখে যাওয়া আসনটিতে আমি বসেছি। এই প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে আমার সর্বাত্বক সহযোগীতা ও চেষ্টা থাকবে।
নিউজ সম্পাদনা- মোমিন তালুকদার
কামরুজ্জামান মিনহাজ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ যথাযথ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে । প্রতিন্ধীদের শিক্ষার্থে যথাযথ পরিবেশ তৈরি করায় গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ।
সোমবার ৩১ আগস্ট ত্রিশাল আইডয়াল প্রতিবন্ধী স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে ত্রিশাল পৌরসভার হলরুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সভাসূত্রে জানা গেছে,প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ ভুমিকায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা কথা বলা শিখেছে । ত্রিশাল উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন , ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ আনিছুজ্জামান আনিছ । বিশেষ অতিথি ছিলেন , ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ তরফদার । সঞ্চলনা করেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান মো: কামাল হোসেন ।
প্রধান অতিথি পৌরসভার মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ বলেছেন, ত্রিশাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয় যা তাদের তার পরনির্ভরশীল থাকে না, তারা নিজেরাই চলতে পারে। আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা এমন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন যে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরা চলতে পারছে। ত্রিশালে যারা প্রতিবন্ধিতায় ভুগছে তাদেরকে এই প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভক্ত করে তাদের ট্রেনিং দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে- তারা যেন আমাদের মূল স্রোতের সঙ্গে মিলে থাকতে পারে, জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে এডিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম বলেন, ত্রিশালে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা, এমনকী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা আমাদের প্রতিবন্ধীদের জন্য করবো। আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নে আমরা সার্বিক সহযোগীতা করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করতে সরকার সহযোগীতা করবো সেজন্য আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তারা যেন কোনো রকম পেছনে পড়ে না থাকে। এ্যাসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধিতা এটা কোনো অসুস্থতা না, কোনো রোগও নয়। একটা মানুষ হয়তো জন্মগ্রহণ করেছে- কী কারণে অটিজম হয় সেটা এখন পর্যন্ত সেভাবে আবিষ্কার হয়নি। গবেষণা চলছে। আবার প্রতিবন্ধিতা অনেক সময় জন্মগত হয়, আবার অনেক সময় দুর্ঘটনা, অসুস্থতা নানা কারণে হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মো: কামাল হোসেন বলেন, আমাদেও সকলকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সদাচরণ, সাহায্য-সহযোগিতা এবং অন্যদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিপদ-আপদে সব সময় তাদের পাশে দাঁড়নো মানবতা ও ইমানি দায়িত্ব। প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে অসদাচরণ, উপহাস, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ বা ঠাট্টা-তামাশা করা সৃষ্টিকে তথা আল্লাহকে উপহাস করার শামিল। শারীরিক, শ্রবণ, বাক্, বুদ্ধি ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের একটি অংশ জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। অপর অংশ দুর্ঘটনার কারণে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমার সুমহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো, যিনি সৃষ্টি করেন ও সুঠাম করেন এবং যিনি পরিমিত বিকাশ সাধন করেন ও পথনির্দেশ করেন।’ এলক্ষ নিয়েই ত্রিশালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুল এন্ড কলেজ ।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ট্যালেন্টপুলে বোর্ড বৃত্তি পেয়ে আবারো আলোচনায় এসেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সেই মেধাবী তিন বান্ধবী। বুধবার রাতে যশোর শিাবোর্ড প্রকাশিত এস এস সি বৃত্তি ফলাফলে তিন বান্ধবী রুবাবা জামান, অর্পিতা মজুমদার ও তিথি বিশ্বাস ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। তারা তিন জনই কালীগঞ্জ উপজেলার সলিমুন্নেছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পাশ করেছে। এসএসসিতে তিন জনই গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল। রুবাবা জামান মৃত মিরুজ্জামান ও শিক পারভিন খানের মেয়ে, অর্পিতা মজুমদার ডা. প্রফুল্ল্য কুমার মজুমদার ও শ্রীলেখা মজুমদারের মেয়ে, তিথি বিশ্বাস, শিক তরুন বিশ্বাস ও কমলা রানী কবিরাজ’র মেয়ে। জেএসসি পরিায়ও তারা গোল্ডেন এ প্লাস ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ৩য় জাতীয় বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা হয়েছিল। আগামীতে যাতে এ সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসায় মৌখিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। কামিল ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ৪’শ টাকা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার সকাল থেকে কামিল ১ম ও ২য় বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরু থেকেই মাদ্রাসার একটি কক্ষে অফিসের কর্মচারী জাফর ও শিক্ষক মোমিন প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪’শ টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন। যা পরীক্ষার গেটে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীতে দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে। টাকা না দিলে তাদের টোকেন দেওয়া হচ্ছে না বলেন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী তার সাদা টোকেন দেখিয়ে বলেন, আমি বাড়ি থেকে ২’শ টাকা নিয়ে এসেছিলাম পরীক্ষা দিতে। এখানে এসে শুনছি পরীক্ষা দিতে হলে ৪’শ টাকা দিতে হবে। আমি টাকা দিই নি বলে আমার সাদা টোকেন দেওয়া হয়েছে। ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪’শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন এটা নাস্তা খরচ নেওয়া হচ্ছে। আরএক ছাত্র অভিযোগ করেন, কামিল ১ম ও ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী রয়েছে ২’শ ২৩ জন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নাস্তা বাবদ ৪’শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে প্রায় ৯০ হাজার টাকা নাস্তা বাবদ আমাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে টাকা ও পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেয় শিক্ষকরা। পরীক্ষা কক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ করলেও টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দস। তিনি বলেন আমার কোন টাকা নিচ্ছি না।
অনলাইন ডেস্ক: স্কুলের নাম ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। নাম শুনে সবাই হাসাহাসি করত। মেধাবী ছাত্রেরা লজ্জায় নিজেদের স্কুলের নামই উচ্চারণ করতে পারত না। একই হাল ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক’ বিদ্যালয়ের। স্থানের নাম থেকেই স্কুলের নাম দেওয়া হয়েছে। সে নামেই এতদিন চলছিল স্কুল। এখন বাংলাদেশের সরকার ঠিক করেছে, এই নামগুলি বদলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে এমন কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম আছে যা শ্রুতিমধুর নয় এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সুশোভন নয়।
যা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভন নামকরণের প্রস্তাব যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নীলফামারি সদর উপজেলার ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম বদলে ‘মানুষ গড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে। নেত্রকোণার ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছর পর পূর্বধলা উপজেলার স্কুলটির নাম বদলে যাচ্ছে। স্কুলের নাম ‘আলোর ভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ আবু রায়হান (স্টাফ রিপোর্টার,ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ফুলপুরের কিন্ডার গার্ডেন/প্রাইভেট স্কুল গুলোর বেহাল দশা। বন্ধ স্কুল, কবে খুলবে জানা নেই। শিক্ষার্থী নেই, তাই বেতনও নেই শিক্ষকদের।
এ অবস্থা দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ৬ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী। বেঁচে থাকতে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।৪ মাস আগেও স্কুল প্রাঙ্গণ মুখরিত শিশুদের কলকাকলিতে। প্রায় দেশের কোটি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে।গত ১৬ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সরকার একযোগে বন্ধ ঘোষণা করে দেয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর ৪ দফা বেড়েছে বন্ধের মেয়াদ। সম্প্রতি সীমিত পরিসরে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও আগামি ৬ই আগস্ট খুলার কথা রয়েছে।এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলো বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বন্ধ স্কুলগাড়ির চাকা, ধুলোপড়া খেলার সামগ্রি। নিরব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিভৃতে নি:স্ব করে দিচ্ছে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষক কর্মচারীকে।
কিন্ডারগার্ডের স্কুলগুলোর বেতন হয় শিক্ষার্থীদের ফি আর টিউশনি থেকে। ফি আদায় করা যাচ্ছে না আবার নিষেধাজ্ঞার কারণে টিউশনিও করানো যাচ্ছে না। অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষকরা।
স্কুল মালিকরা স্বীকার করছেন, মার্চ মাস থেকে শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন না তারা।এদিকে ময়মনসিংহের ফুলপুরের
নব দিগন্ত মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা -মোঃ মফিদুল ইসলাম এবং আলোর দিশারী স্কুলের প্রতিষ্টাতা পরিচালক বলেন, গত কয়েকমাস ধরে স্কুলের বিদ্যুৎ বিল দিতে পারিনি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনতো দূরের কথা।
দেশের প্রায় ৩০ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। দীর্ঘসময় এ অবস্থা চলতে থাকলে ৮০ভাগ স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজহারুল ইসলাম (ফাহিম) :- ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ১ নং উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম। পরিবারের ভাই বোনরে মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ বোন শাহনাজ (শানু)। পরিবারের সবাই আদর করে ডাকে শানু বলে। এই শানু ছোট বেলা থেকেই গানেসাথে ছিল গভীর প্রেম ও দ্যান ধারণা। তিনি ছোট বেলায় বিভিন্ন স্কুল,কলেজে বার্ষিক ক্রিড়া, প্রতিযোগিতা গান গেয়ে অনেক গুনি ব্যক্তিদের হাত হতে পুরুষ্কার গ্রহন করেছেন।গায়িকা শানুর শিশুকাল মধুর কন্ঠের পরিচিতি র” শিক্ষা গুরুজন হলেন আসাদ খান (চন্দন)।
তার স্বপ্ন দেশের এক জন গুনি শিল্পী হয়ে আজীবন মানুষের মনের মণি কুঠায় বেঁচে থাকা। বর্তমান প্রজন্মের এক প্রতিশ্রুতি শীল: সংঙ্গীত শিল্পী (শানু)। ইতি মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংগীতে অনাস এবং মাষ্টাস্ করেন নজরুল সংগীতে। গায়িকা শাহনাজ শানু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শিক্ষাগুরুজন ছিলেন, রশিদুন নবী , আলিফ লায়লা আহম্মেদ শাকিল হাস্ মী, এছাড়া ও অনেক গুনী শিক্ষকমন্ডলী।
লেখাপড়া শেষে বিভিন্ন মিডিয়া জগতের আলোড়লন সৃষ্টকারী মধুর কন্ঠের গায়িকা ( শানু)। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিভিন্ন রেড়িও, প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল, এবং স্টেজ শো’ তে গান গেয়ে প্রশংসিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার জীবনের ব্যস্ততা শুধু গান আর গান।চর্চাও করেন নিয়মিত। শিল্পী শাহনাজ শানু বড় হয়ে উঠার একমাত্র প্রিয় ব্যক্তি বাংলাদেশের জনপ্রিয় লোক সংগীত শিল্পী আবুবকর সিদ্দিক। শিল্পি শাহনাজ শানু শিশু কালে গানের হাতেখড়ি খালামনি কাছে। শিল্পী শাহনাজ শানু পাশাপাশি একটি স্বনাম ধন্য মীরপুরে গানের স্কুলে শিক্ষকতা করেন।তার কয়েকটি মৌলিক গান প্রকাশের অপেক্ষায়। শিল্পী শানুর একটি ব্যান্ডের নাম বাংলার ডুগডুগি, শিল্প শানুর মৌলিক গান প্রেমের বদনাম, এবং কি ইন্ডিয়া হতে প্রকাশ হতে যাচ্ছে প্রিয় এ্যালবাম। শিল্পী শাহনাজ শানু দেশ বাসিও প্রবাসীদের কাছে দোয়া চান, এবং বলেন আমি যেন বড় সংগীত শিল্পী হয়ে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে পারি।বাংলাদেশের অনেক গুনি সংগীত শিল্পীদের কাছে গিয়ে গান শিখতে পেরে আমি নিজে কে ধন্য মনে করি। সংগীত শিল্পি শানুর অভিপ্রায়, তবেই জীবন স্বার্থক হবে, যে দিন হব আমি একজন গুনি সংগীত শিল্পী।।