করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে কীভাবে কাজ হবে সেজন্য একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রেড জোন- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত শিফটে কৃষিকাজ করা যাবে
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে, তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।
৩। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করবে।
৪। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবে।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সিতে বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে জোনের ভেতরে কোনও যান চলাচল করবে না।
৭। জোনের ভেতর ও বাইরে মালবাহী জাহাজ কেবল রাতে চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
ইয়েলো জোন- মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে এবং জনসংকীর্ণ কারখানায় ৩৩ শতাংশ কর্মী বর্ধিত শিফটে কাজ করতে পারবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে। বাকিরা বাসা থেকেই কাজ করবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি বা ট্যাক্সিতে একজন করে চলাচল করবে, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করা যাবে।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভিতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে, রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু নিত্যপ্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে। স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
১১। মসজিদ, উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
সবুজ জোন, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কাজ করা যাবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে, তবে প্রয়োজন ছাড়া কিংবা আড্ডা দেওয়ার জন্য বের হওয়া যাবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভেতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, সেলুন, বাজার ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীর নমুনা পরীক্ষার সহজগম্যতা থাকতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ-উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
এছাড়া সব জোনের জন্য পালনীয় সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে-
১। এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২। করোনা রোগ/সংক্রমণ শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
৪। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।
৫। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৬। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনগণ এক জোন থেকে অন্য জোনে যাতায়াত করতে পারবে না। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭। এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের ইমাম ও দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বজলু আকন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে দড়িচর খাজুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বজলু আকন মামলার এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।
লাঞ্ছনার শিকার শহিদুল ইসলাম দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং স্টিমারঘাটের অদূরে সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম।
দড়িচর খাজুরিয়া মাদরাসার একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তি পাওয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল হিসাব নম্বর পাঠানো হয়। তালিকা পাঠানোর সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মাদরাসায় না আসায় সেখানে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপ বৃত্তির ১৮শ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর অভিভাবককে জানাতে ভুলে যান।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বাবা ৩০ মে মাদরাসায় এসে শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন এবং তার মোবাইলের সিমটি নিয়ে যান। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি সালিশের নির্দেশ দেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত থাকতে আগেই শহিদুল ইসলামকে জানিয়ে দেয়া হয়। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হলে আসামিরা শহিদুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। এরপর জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়। সেই সঙ্গে ওই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর লজ্জা ও অপমানে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে প্রাথমিকভাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১০ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। তবে এর মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এই তথ্য জানান।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর কলপাড়ায় সৈয়দ শাহ আলম (৫৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী নৌকাডুবে মারা যান। গাছচাপা পড়ে মারা গেছে একই জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার রাশেদ (৫) ও ভোলার চরফ্যাশনের মো.সিদ্দিক ফকির (৭২)। ট্রলারডুবে মারা গেছেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫)। এ ছাড়া দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শাহজাহান মোল্লা (৫৫)। আর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সালাউদ্দীন (১৬) নামে একজন মারা গেছেন।
এ ছাড়াও যশোর চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ওই গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী খ্যান্ত বেগম(৪৫) ও তার মেয়ে রাবেয়া(১৩)
সাতক্ষীরায় একজন ও ঝিনাইদহে একজন মারা গেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পেতে একটু সময় লাগবে। সব জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সারা রাত তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরও উত্তর–পূর্ব দিকে সরে গেছে। আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।
বরিশাল প্রতিনিধিঃ সাইক্লোন আম্ফান আঘাত এনেছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। এতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বরিশালে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে।
পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে নিজের ঘরের পাকা দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মজিবুর রহমান (৫৫)।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানিয়েছেন।
এর আগে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রচারণার কাজ চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিপিপির টিম লিডার ও গাছের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে সাইক্লোন সেল্টারে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে সকালে নৌকা ডুবে পানিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপির টিম লিডার মো. শাহ আলম মারা যান। অন্যদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে মোঃ রাশেদ (৫) সন্ধ্যার কিছু আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে নিহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের সিদ্দিক ফকির (৭০) বাড়ির পাশে গাছের নিচে চাপা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এর আগে সকালে চট্টগ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা মোহাম্মদ রাফিকুল ইসলাম (৩৫) ফিরছিলেন। লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘট থেকে ট্রলারে করে ভোলার ইলিশা ঘাটে আসার পথে মেঘনায় ট্রলার উল্টে নিহত হন তিনি। লকডাউন অমান্য করার কারণে পরিবারের লোকজন তার মৃত্যুর ঘটনা শুরুতে গোপন রাখেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, নিহতের লাশ বিকালে তার বাড়ি হাসান নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে আনার পর পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিকেল চারটা থেকে রাত আটটার মধ্যে আম্ফান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।
এর আগে, আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় ৭৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারে সারে ৩ লাখ মানুষসহ ৮০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল থেকে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষদের ট্রলারযোগে মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নেয় প্রশাসন।
বরিশাল প্রতিনিধিঃ সোমবার, ১১ মে, বরিশালে করোনা প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে যাওয়া পরিবারের মাঝে জাতীয় পার্টির যুগ্ম- মহাসচিব ইকবাল হোসেন তাপস এর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
করোনা প্রাদুর্ভাবে বরিশাল মহানগরীতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১০০০ এর অধিক দরিদ্র অসহায় পরিবারের মাঝে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব জনাব ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি শনি ও রোববার তার বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাড়ী প্রাঙ্গনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ভাগ করে উক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য- রফিকুল ইসলাম গফুর, নজরুল ইসলাম, বরিশাল জেলা কমিটির যুগ্ম- আহ্বায়ক- এ্যাড আব্দুল জলিল, মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি- আক্তার রহমান সপরু সহ জাতীয় পার্টি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি নেতা জনাব ইকবাল হোসেন তাপস বলেন- আমার প্রিয় নেতা জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র দিকনির্দেশনা অনুসারে বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির সমন্বয়ে তালিকা করে ওয়ার্ড পর্যায়ে দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে উক্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এর আগেও আমি বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র মানুষকে গোপনে সাধ্যমত সহায়তা করেছি। মানুষ হিসেবে এটা আমার মানবিক এবং সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করি। ভবিষ্যতেও এ ধরণের সহায়তা অব্যাহত থাকবে ।
ভোলার লালমোহনে ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের’ আঘাতে গাছ উপড়ে ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ২০জন আহত হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে। এর আগে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের আঘাত তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের দক্ষিণে অবস্থিত দুবলার চরের অস্থায়ী শুঁটকি পল্লী। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর মো. কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অংশে আঘাত হানতে শুরু করেছে। একই সাথে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট পানির উচ্চতা। এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, মেহের আলীর চর, অফিসকিল্লা, মাঝেরচর, আলোরকোল, মরণেরচরে আছড়ে পড়েছে। ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা। তছনছ করে দিয়েছে দুবলার চরের অস্থায়ী শুঁটকি পল্লী।

স্টাফ রিপোর্টার: বরগুনার রিফাত হত্যার ঘটনায় পুত্রবধু মিন্নির গ্রেফতার চান রিফাতের বাবা। বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার শিকার রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম তাঁর পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও তিনি একা কলেজে গিয়েছিলেন। এরপর মিন্নি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেন। আবদুল হালিমের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে হওয়া বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন মিন্নি ও তাঁর পরিবার। নয়নকে তালাক না দিয়েই তিনি (মিন্নি) রিফাতকে বিয়ে করেন। তাঁর ভাষ্য, বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।আবদুল হালিম শরীফ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিন্নি ঘটনার আগের দিনও তাঁর বাসায় গেছেন এবং নয়নের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ছাড়া ঘটনার পর নতুন করে প্রকাশ পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কলেজ গেট থেকে রিফাত শরীফকে ধরে নেওয়ার সময় মিন্নি নির্লিপ্ত ছিলেন। এরপর কুপিয়ে জখম করার পর মিন্নি রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে নিজের জুতা খুঁজছিলেন এবং আক্রমণকারীদের একজন তাঁর (মিন্নি) হাতব্যাগ তুলে দিচ্ছিল। আবদুল হালিম বলেন, এতগুলো তরুণ রিফাতের ওপর হামলা চালাল অথচ একটি আঘাতও মিন্নির শরীরে লাগল না —এটা রহস্যজনক। আবদুল হালিম বলেন, রিফাত রক্তাক্ত অবস্থায় একাই রিকশায় করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান। এরপর যখন গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল নেওয়া হয় তখন মিন্নি তাঁর সঙ্গে যাননি। আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ক্ষেত্রে মিন্নির ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইলেও কেন তাঁকে (মিন্নি) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে মিন্নিকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আর সেটা করা হলেই রিফাত শরীফ হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন হবে’ আবদুল হালিম শরীফের অভিযোগ প্রসঙ্গে মিন্নির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বাবা মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়ে নেতিবাচক নানা মন্তব্য ও খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। এ কারণে সে (মিন্নি) সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই তাকে আজ (শনিবার) চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আর এসব অভিযোগের বিষয়ে আমার মেয়ে সুস্থ হোক সে এবং আমরা সবাই কথা বলব।’ গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরদিন এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।
ভোলায় মোবাইলে কল, ফেসবুকে পোস্ট ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে মাথা কাটা এবং ছেলে ধরার গুজব ছড়ানো আব্দুল সহিদ হাওলাদারকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত একটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।
আটক আব্দুল সহিদ হাওলাদার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী হাওলাদারের ছেলে।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ থেকে আটক করে পুলিশ।
চরফ্যাশন থানা পুলিশের ওসি সামছুল আরেফিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল সহিদ হাওলাদার ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামের মানুষকে ফোন করে এবং ফেসবুকে পোস্ট এবং ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে শিশুদের মাথা কেটে নেয়া হচ্ছে ও ছেলে ধরারা শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। গত ২-৩ দিন ধরে তাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল, কিন্তু সে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করার কারণে তাকে ধরা যায়নি।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত স্মার্ট ফোনসহ তাকে আটক করি।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দোষ স্বীকার করেছে এবং এ কাজে তার সঙ্গে আরও দু’জন রয়েছে বলে জানান। আপাতত তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। ওই দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আটক আব্দুল সহিদ হাওলাদার বলেন, তাকে এ গুজব ছড়ানোর জন্য কোনো একটি চক্র উৎসাহিত করেছে।
উল্লেখ্য, ৮-১০ দিন ধরে জেলার বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে, ফেসবুকে এবং ম্যাসেঞ্জারের গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে মাথা কাটা ছবি, ভয়ভীতিমূলক লেখা পোস্ট এবং ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছিল।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে ও একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন, চট্টগ্রামের পটিয়ায় যুবলীগ কর্মী, এক ইসলামী ফ্রন্ট কর্মী ও বাঁশখালীতে জাতীয় পার্টির কর্মী নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ নেতা, রাজশাহীর মোহনপুরে আ.লীগ নেতা, একই জেলার তানোর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় গুলিতে এক রাজমিস্ত্রি, টাঙ্গাইলে এক বিএনপি নেতার মরদেহ উদ্ধার, বগুড়ার কাহালুতে একজন নিহত ও দিনাজপুরে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও দুপুরের পর নাটোরের নলডাঙ্গা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরের পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত জাগো নিউজের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা-১০ আসনে (নাঙ্গলকোট) বাচ্চু মিয়া (৪৮) নামে এক বিএনপি কর্মীকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার বরতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে হেলমেট পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত তাকে বাধা দেয়। এ সময় বাধা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে যেতে চাইলে বাচ্চুকে রাস্তায় হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে নাঙ্গলকোট হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম জানান, হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও কুমিল্লা-৭ চান্দিনা আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান (৩৫) নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
মজিবুর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অ্যাড. রেদোয়ান আহমেদ। তবে চান্দিনা থানা পুলিশের ওসি মো. ফয়সাল বলেন, ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে কার গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ব্যালটে সিল মারছে এমন খবর পেয়ে বিএনপির কর্মীরা সেখানে যায়। এ সময় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে সেখানে আসে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়লে মজিবুর নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন রাহাত ও ফারুক নামে আরও দুজন।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে অজ্ঞাত এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রাকিব হোসেন ও ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির গুলিবিদ্ধ হন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় দ্বীন মোহাম্মদ (২৮) নামে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুসুমপুরা ইউনিয়নের গুরনখাইন এলাকার বাসিন্দা। উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের গোরনখাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দ্বীন মোহাম্মদ কুসুমপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দাবি, ওই ব্যক্তিকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। অন্যদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় পটিয়া উপজেলায় এক ইসলামী ফন্ট্র কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহমদ কবীর (৪৫) নামে জাতীয় পার্টির এক কর্মী নিহত হন। রোববার ভোটগ্রহণ শুরুর আগের রাতে বাঁশখালী পৌরসভার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাত থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করলে তার সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এতে আহমদ কবীর মারা যান। এছাড়া কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বাঁশখালী থানা পুলিশের ওসি কামাল হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দীন (৩৫) নিহত হয়েছেন। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ইউনিয়নের রাঙ্গিপাড়া এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের সমর্থকের মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বাছির উদ্দীনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর বাছির উদ্দীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাউখালী থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর আলম জানান, ভোটগ্রহণের আগে দু’দলের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের মোহনপুর উপজেলায় নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে মিরাজ উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। রোববার বেলা ১১টার দিকে মোহনপুরের পাকুন্দিয়া বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) আব্দুর রাজ্জাক খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে।
অপরদিকে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের তানোর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় মোদাচ্ছের আলী (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পাঁচন্দর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোদাচ্ছের আলী মোহাম্মদপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হামলায় তিনি মারা গেছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোরশেদ আলী মৃধা ভোটগ্রহণ স্থগিতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসরাইল মিয়া (১৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসরাইল ওই ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের ছাওয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন বলে জানা গেছে।
বেলা ১১টার দিকে রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ইসরাইল গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইসরাইলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে কেউ মারা গেছে কি-না সেটা জানা নেই।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গ্রামে আব্দুল আজিজ (৭০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আজিজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বলে স্থানীয়রা জানালেও পুলিশ বলছে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। রোববার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে আজিজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার এশার নামাজের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
গোপালপুর থানা পুলিশের ওসি হাসান আল মামুন জানান, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বগুড়ার কাহালু উপজেলার নন্দিগ্রামে বাগইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের কর্মী আজিজুল হক (৩২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নাজমুল হক জুয়েল নামে আওয়ামী লীগের অপর এক কর্মী আহত হন।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় কাহালু নন্দিগ্রামের বাগইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
কাহালু থানার ওসি শওকত কবীর জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরা আওয়ামী লীগের কর্মী আজিজুল হক ও নাজমুল হককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের উদ্ধার করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানান তিনি।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙ্গায় ভোট দিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সর্মথক ভাতিজা রতন আহমেদের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ কর্মী চাচা হোসেন আলীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সমাস খলসি দিয়ারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হোসেন আলী একই এলাকার অছিমুদ্দিনের ছেলে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও এলকাবাসী জানান, উপজলোর সমাস খলসি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যায় বিএনপি সর্মথক রতন আহমদে ও তার স্ত্রী। এসময় আওয়ামী লীগ কর্মী চাচা হোসেন আলী তাদের বাধা দেয় এবং পরে বাড়িতে গিয়ে ভাতিজাকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ভাতিজা রতন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ছোড়া দিয়ে চাচা হোসেন আলীর পেটে আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় হোসেন আলীকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশনে যান। তবে পুলিশ ও বিএনপির দাবি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, নরসিংদী-৩ আসনে শিবপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা মার্কার এজেন্ট মিলন মিয়াকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুপুর সেয়া ১২টার দিকে কুন্দলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মাহাবুব মৃধা বষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মিলন মিয়াকে ওই কেন্দ্রেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ভোট দিয়ে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে কিনা মোহাম্মদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শহরগ্রাম মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিনা মোহাম্মদ (৬৫) বিরল উপজেলার ৪ নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত চান্দু মোহাম্মদের ছেলে। বিরল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, কিনা মোহাম্মদ হার্টফেল করে মারা গেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্র দখল নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নুর নবী হেঞ্জু নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোপালপুর তুলাচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনসার সদস্য নুর নবী হেঞ্জু বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয় নারায়ণপুর আনতির বাড়ির মৃত মতিন মেস্তুরীর ছেলে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন জানান, কেন্দ্র দখল করার সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গুলিতে আনসার সদস্য নুর নবী আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।