পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে টানা তিন মেয়াদ পার করছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তিন মেয়াদের এক যুগ শাসনামলে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। অবকাঠামোর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়েছে অভাবনীয় উন্নয়ন। শতশত উণ্নয়ন দৃষ্টান্তের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ। কমে এসেছে দারিদ্রের হার। এক যুগের এই সময়ে অর্থনৈতিক সূচক হয়েছে উর্ধ্বমূখী। অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সাফল্য মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের স্থান।

সাইফুদ্দিন ইমন
প্রবৃদ্ধির হার যেই পরিমান উর্ধ্বমূখী হয়েছে তার পুরোটাই ঘটেছে গত ১২ বছরে। সরকারের লক্ষ্য এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশর নাম লেখিয়ে নেয়া। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরের পুরো প্রবৃদ্ধির ৭৩ শতাংশই ঘটেছে গত ১২ বছরে। রেমিটেন্স বেড়েছে তিন গুনেরও বেশী। রিজার্ভ বেড়েছে ছয় গুনের বেশী। অভাবনীয় হারে বেড়েছে মাথাপিছু আয়।
নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে তৃণমূলের প্রান্তিক জনগণ। বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এসেছে প্রায় শতভাগ মানুষ। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কর্ণফুলী টানেল সহ মেট্রোরেলের মত ১০ টি মেঘা প্রকল্প।
কূটনৈতিক সাফল্যের ধারাবাহিতায় প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের পাশাপাশি কোন প্রকার বিতণ্ডা ছাড়াই ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমানা বিরোধ মীমাংসা করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ধান,মাছ, সবজি উৎপাদনকারী দেশ গুলির শীর্ষে এখন বাংলাদেশের নাম।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিশ্বময় যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চিত যাত্রায় বিশ্বজুড়ে যখন এক সংকটময় পরিস্থিতি তখন এ সংকটকাল সামাল দিতে সামনের সাড়িতে থেকে কাণ্ডারি হিসাবে দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নেন একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ। করোনা মোকাবিলা করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার তাঁর এই কৌশলটি প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যম শেখ হাসিনার এই নেতৃত্বকে মানবিকতার সাহসী আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখেন এবং তাঁকে “হিরো অব দ্য ইয়ার” হিসাবে আখ্যায়িত করেন।
সাইফুদ্দিন ইমন
সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার শ্রমিকদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মোঃ আনারুল ইসলাম।
তিনি ২০০৬ সাল থেকে শ্রমিক রাজনিতীতে যোগ দেওয়ার পর- ত্রিশাল মিনি পিকআপ মালিক কল্যাণ সমিতি ময়মনসিংহ জেলা অন্তর্ভুক্ত এর সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা মটরজান কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-৪৬৯- ৩৮ বড় বাজার) ত্রিশাল উপজেলা শাখার ২বার সাধারণ সম্পাদক এর দায়ীত্ব পালন করেন।
ত্রিশাল শ্রমিক ইউনিয়ন এবং উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাবেক/বর্তমান সিনিয়র, জুনিয়র এবং প্রবিণ শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাজী মোঃ আনারুল ইসলাম রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, একজন সৎ, পরিশ্রমি যোগ্য শ্রমিক নেতা, শ্রমিকদের সুখে দুঃখে এই তরুন শ্রমিক নেতাকে পাওয়া যায়। শ্রমিকদের খুবই কাছের মানুষ এবং আপনজন তিনি। শ্রমিকদের সাথে ভালোবাসা লেনদেন ছাড়া তার আর কোন প্রকার লেনদেন নেই।
আজীবন শ্রমিকদের সেবা করে করে যেতে চান আনারুল ইসলাম। তনি বলেন “আমি সব-সময় শ্রমিকদের কল্যানে কাজ করেছি, শ্রমিকদের সুখে দুঃখে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছি, সব সময় তাদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেছি। তাই তারা আমার পাশে সব-সময় থেকেছে এবং আছে। থাকবে, তিনি সব সময় শ্রমিকদের সুখে দুঃখে পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। আমার বড় ভাই ত্রিশাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি, ত্রিশাল সাব রেজিষ্টার এর বর্তমান সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম শ্রমিক সংগঠনের নিজস্ব অফিস বানানোর জন্য শ্রমিকদেরকে ভালোবেসে জমি দিয়েছেন। এই কথাগুলো তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্যবন্ধু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গুণীজন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মরহুম নিয়ামত আলী মাস্টার এর ৩য় সন্তান প্রয়াত হাজী নজরুল ইসলামের ৬ষ্ঠ সন্তান মোঃ আনারুল ইসলাম।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।

শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলের ফাইল ফটো।
বিশেষ প্রতিনিধি: ‘এসো সবাই বৃক্ষ রোপন করি, সবুজ, নির্মল পরিবেশ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ভালুকায় বাদশা গ্রুপের ‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’ এর আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২০ পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবনকোঠা এলাকায় অবস্থিত ‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’ সেকশন-২ এর আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুরুতে কারখানার এডমিন সেকশনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কারখানার বিভিন্ন সেকশন পদক্ষিন করে লবনকোঠায় গিয়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করে। পরে কারখানার হলরুমে বৃক্ষরোপন সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’এর প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগর এজিএম সমর সেন সাহার সভাপতিত্বে ও প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগর ব্যবস্থাপক মোঃ মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ সেকশন-২ এর কারখানা ব্যবস্থাপক সুকর্ণ বড়ুয়া সাজু, কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপক লুৎফুল কবীর, আইটি প্রধান স্বপন কুমার সাহা, কমপ্লায়েন্স সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রনব সাহা, কমপ্লায়েন্স অফিসার আল মারুফ, মোঃ আতিবুর রহমান ও তাসলিম মুনিম খান প্রমূখ।
আলোচনা সভায় আলোচকগণ বর্তমান বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিবেশে বৃক্ষরোপণের নানা দিক তুলে ধরেন। একই সাথে সবাইকে অবশ্যই একটি করে বৃক্ষের চারা রোপনের আহ্বান জানানো হয়।
বিনোদন প্রতিবেদক: অসাধারণ ভালবাসার গান নিয়ে হাজির হলেন কণ্ঠশিল্পী রুদ্র নীল। সম্প্রতি ‘এ এস মিউজিক স্টেশন’ এর ব্যানারে ‘যত দেখি তোমায়’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি ও তার সঙ্গে কন্ঠ দিয়েছেন জান্নাত ঐশ্বর্য্য । গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) গানটি ইউটিউবে রিলিজ হয়। সারা পৃথিবী জুরে করোনা মহামারির পর গানে ফেরা রুদ্র নীল জানান, গানটির কথা শরীফ শাহ্ জামান। অতি যত্নে সূর করেছেন রুদ্র নীল নিজেই। সব মিলিয়ে গানটি শ্রোতাদের মনে যায়গা করে নেওয়ার মতো একটি গান। হৃদয় ছোয়া কিছু অসাধারণ কথা দিয়ে ও মধু ভরা সুরের গানটি করেছি। ‘যত দেখি তোমায়’ সংগীত পরিচালক মশিউর রহমান। রুদ্র নীল বলেন, ‘জীবন কোনো কিছুতেই থেমে থাকে না। আগ্রহ আর ভালবাসা নিয়ে আনন্দের গান গাওয়া একজন শিল্পীর জন্য খুবই আনন্দের ।গানটি ‘এ এস মিউজিক স্টেশন’ “এসকেআর“ প্রডাকশন এর দ্বারা নির্মান করেছেন। গানটি বর্তমান সময়ের তরুন নির্মাতা এসএম আল আমিন কবির পরিচালনা করেছেন। চিত্রগ্রহণে ছিলেন এসএ সজিব ও হৃদয়। সম্প্রতি এই শিল্পীর গাওয়া ‘মনপাখি’ গান ‘মুনিয়া মুন’ সাথে বহু গান বিভিন্ন কোম্পানিতে আছে। তিনি আশা করেন ‘যত দেখি তোমায়’ গান এর মাধ্যমে ‘এ এস মিউজিক স্টেশন’ কে হাজারো শ্রোতা আরো ভালো গান নিয়ে আসার জন্য উৎসাহ যোগাবে। সবশেষে আমার ভক্তদের এই টুকুই বলবো সবাই বাংলা গান কে ভালবাসবেন বাংলাদেশ কে ভালবাসবেন।
কামরুজ্জামান মিনহাজ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ বলেছেন, ত্রিশালবাসী সকলেই আমাকে ভালবাসেন। আমার কোন শত্রু নেই। তাই আমি সবসময় একা চলি। আমার কোনো বাহিনী নেই, সন্ত্রাসী বা বিশেষ বাহিনী নেই। বিশেষ পাহারা নেই। সাধারণ মানুষের সাথে আমি কখনও মোটর সাইকেল আবার কখনও রিক্সাতেও চলি –ত্রিশালবাসীর সবাই তা জানেন ও দেখেন। এক সাক্ষতকারে তিনি বলেন।
আপনার বিরুদ্ধে সমালোনা করেন এমনই মানুষ আছেন এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, কেউ হয়তো আছেন, তারা আমার নিকট থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা পাননি। তাই প্রতিহিংসা করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, নোংরামির রাজনীতি ছেড়ে আসুন ত্রিশালবাসীর কাছে স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক নেতৃত্বের চর্চা করুন। মেয়র আনিছ বলেন, আমার কোন প্রতিপক্ষ বা শত্রু আছে বলে মনে করি না। আমি জানি, ভাল কাজ করলে সমালোচনা হবেই। তবে, আমার মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান রয়েছে। হয়তোবা তারাই আমার সমালোচনা করেন।
ত্রিশালের সচেতন মহল বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে আওয়ামীলীগ করছেন মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ইমেজ সংকটের কোনো ঘটনা ঘটেনি তার। তিনি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
ত্রিশালের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা- কর্মীরা জানান, মানুষের যে ভালোবাসা আনিছুজ্জামান আনিছের জন্য আছে, তা কখনও ফুরিয়ে যাবে না। ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী নাসিরাবাজ কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করার আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত আনিছুজ্জামান আনিছ। ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি । তৎপরবর্তীতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ত্রিশালের মানুষ তাকেই বেছে নিয়েছেন পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে।
ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীরা জানান, ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা আনিছুজ্জামান আনিছ এই পুরো যাত্রাপথে মানুষের সঙ্গেই আছেন। ঘাত প্রতিঘাত পাড় হলেও মানুষের কাছ থেকে কখনো দূরে সরেননি তিনি। ত্রিশাল আওয়ামীলীগের তিনি তৃণমূলের নেতা। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের নিয়েই তার রাজনীতি। ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র হয়েও তিনি গোটা ত্রিশাল উপজেলার সব শ্রেণির মানুষের সাথে মিশেন, সেভাবেই তিনি ধীরে ধীরে গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসাবেও প্রতিষ্ঠিত মেয়র আনিছ। দেশের সুনামধন্য আকিজ সিমেন্ট ও আকিজ সিরামিক্স এর ময়মনসিংহ বিভাগের ডিলার তিনি। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি একজন সফল ঠিকাদার হিসাবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী শ্রেণির মানুষকে তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। তাদের আর্থিক সমস্যা সামাধানসহ যেকোন কঠিন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ান। যদিও মেয়র আনিছ ত্রিশাল এলাকার মানুষের সুখ-দূঃখে পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন কৈশোরেই। যা এখানও অব্যাহত আছে ।

ইমরান হোসাইন আশু : তখন আমি ঢাকা ওয়ারীর বনগ্রাম একটি মেয়েকে প্রাইভেট পড়াই । মেয়েটার নাম ছিল মনি । মেয়েটা তখন ক্লাস নাইনে পড়ে । তাদের বাবা বিদেশ থাকে । বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত মেয়েটাকে আমি পড়াই ।
আমি তখন কাপ্তান বাজার বি সি সি রোড আমার ছোট মামা বাসায় থাকি । আমার চাকুরী নাই । বেকার মানুষ ।
মনির মা ছিলেন খুবেই বিরক্ত কর একজন মহিলা । আমি যতক্ষণ পড়াব সে আমার পিছনে সোফায় বসে সুই সুতা দিয়ে হাতের কাজ করবে । ভদ্র মহিলা খুবেই আধুনিক । তবে গত এক মাসে আমার সাথে কোন বিষয়ে কোন কথা বলে নাই – বাসার কাজের মেয়ে রুটিন করে প্রতিদিন চা বিস্কুত দিয়ে যায় ।
মনি খুবেই আধুনিক মেয়ে ছিল । তার কোন কথা বলার থাকলে বা দুষ্টুমি করার ইচ্ছা থাকলে সে খাতায় লিখে দিত ।
খুব মজার মজার কথা সে লেখত । যেমন লেখত স্যার আপনাকে দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে বিবাহিত । ভাবি কি আপনাকে এত রাত পর্যন্ত পড়ান ? কিছু বলে না স্যার ।
স্যার আপনি আজ দেখতে খুব মিষ্টি কিন্তু জামা কাপড়ের কোন ম্যাচিং নেই । স্যার মধুমিতায় সিনেমা দেখবেন ।
মনির মা লেখা পড়া জানত না। আমি পড়ার টেবিলে আসার পড়ে আগে মা আসবে তার পর মেয়ে ।
আমি তখন অবিবাহিত আর বেকার । ভাল টাকাই পাই । একটা প্রাইভেট দিয়েই মাস চলে যায় ।
আমার সাথে মনির সকল কথা হয় কাগজে কলমে ।।
মনির ছেলে মানুষী আমাকে মুগ্ধ করে ।
একদিন মনি আমাকে লেখলো –
—- স্যার আপনার একেই জামা বার বার পড়েন তা আমার ভাল লাগে না- আপনার জন্য তিনটা সার্ট আর চারটা টি সার্ট অমুক দোকানে কিনে রেখেছি । দয়া করে কাল থেকে ঐ গুলো পড়ে আসবেন । আবার ভাববেন না আপনার প্রেমে পড়েছি ।
আপনাকে আমার ভাল লাগে না । আমার বড় বোন আপনাকে এই গুলো কিনে দিয়েছে । মাকে বলে চাকুরী টা হারাবেন না। টাকা দিয়ে শিক্ষক পাওয়া যায় কিন্তু নায়ক স্যার পাওয়া যায় না। আর আপনাকে বেশী পছন্দ করে আমার বোন সাহিন ।।
আমি সেই দিন জানতে পাড়লাম তার আরো একটা বোন আছে । কারন মনির মা সব সময় পিছনে বসে থাকে ব্যক্তিগত কোন কথা বলা একে বারে নিষেধ ।। মনি কে পড়ার আগে থেকেই মনির মা আমাকে বলে দিয়েছে পড়া ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে না। আমি চুপ চাপ থাকি । টাই মনির মা আমাকে মনে হয় কিছুটা বিশ্বাস করে ।
আমি কিন্তু একদিন ও সাহিন কে দেখতে পাই নাই ।। আর সাহিন কে নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই । কারন এত ভাল প্রাইভেট আমি হাত ছাড়া করতে চাই না।
মাস ছয়েক পড়ে কথা – আমি মনির খাতায় একটা কবিতা লেখি কিন্তু ছিরে আনতে মনে নাই ।
কবিতাটা ছিল এমন – অন্ধকারে কেউ রুপ বদলে নয়ন চিরে দেখে –
আমি তার নিশ্বাসে বাদলা দিনের মেঘ হয়ে ঝরে যাই অজান্তে ।
শাহিন খুব কবিতা পছন্দ করে ।
আমি আসলেই মনি বলত স্যার সাহিনের জন্য কবিতা কিন্তু চাই । আমার কবিতা তার খুবেই পছন্দ ।
আমি মাঝে মাঝে তাকে কবিতা লেখে দেই । একদিন মনি খাতায় লিখে দিল অমুক দোকান থেকে আপনি একটা অডিও ক্যাসেট নিয়ে যাবেন । আমি এই প্রথম তার হাতের লেখা দেখলাম । যেন শিল্পীর হাতের ছুয়া । আমি পড়ানো শেষ করে ক্যাসেট নিয়ে বাসায় যাই । সাহিন তার নিজের কণ্ঠে অডিও রেকট করেছে আমার কবিতা দিয়ে ।
আমার যে বিশ্বাস হচ্ছে না।
কিন্তু শাহিন দেখতে কেমন । মনির মতো নাকি অন্য রকম
আমার তার পর থেকেই জানার খুব ইচ্ছা হচ্ছে –
মনির মা আমাকে একদিন কি জানি কি মনে করে বলল – ইমরান আজ রাতে খেয়ে যাবেন । আমি বললাম আন্টি আজ আমার দাওয়াত আছে ।
কোথায় দাওয়াত জানতে চাইলে বললাম আমার আরেক মামা আছেন তার বাসায় । কেমন মামা জানতে চাইলে আমি বলি – ঐ মামা আমাদের গ্রামে বাড়িতেই তাদের বাড়ী ।
মামার নাম গলি আসাদ । ঐ মামার স্ত্রী আমাকে খুব আদর করেন , নিজের ছেলের মতো । মামার কাপ্তান বাজারে দোকান আছে ।
মনির মা বলল তার তো অনেক কয়জন মেয়ে । আমি হেসে বললাম – হ্যা তারা সবাই আমার বোন ।
ও তুমি ঐ বাসায় যাও তাহলে তুমি অনেক ভালছেলে ।। তাদের আমি ভাল করে চিনি ।। এই সাত মাস পর ভদ্র মহিলা আজ প্রথম পড়ার কাছ থেকে উঠে চিলে গেলেন অন্য রুমে ।
চা হাতে আজ অন্য একটা মেয়ে এলো ।
সাদা লাল পারের শাড়ী পরে । আমার হাতে চা তুলে দিয়ে বলল
আমি শাহিন আপনার কবিতা । আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখলাম তার কপালের কালো টিপ ।
আমি সালাম দিয়ে বসতে বললাম কবিতার কি কড়া হয় ?
মেয়েটা বলল চার বার এস এস সি ফেইল । তবে আপনার মতো স্যার পেলে হয়ত একবারেই পাশ করে যেতাম ।
— আচ্ছা আজ আপনার মা চলে গেল যে ।
— কারন আপনি যার পরিচয় দিয়েছেন তাদের মা ভাল করে চিনে । তারা খুবেই ভাল মানুষ । আমি ঝুমার সাথেই প্রাইমারি স্কুলে পড়েছি । আপনি যেহেতু তাদের গোলকি আসাদ আঙ্কেলের বাসায় যান তাহলে আপনি ভাল মানুষ। কারন তারা ভাল মানুষ ।
—- তা আপনি কি লেখা পড়া করবেন না ?
—- না , মা পাত্র দেখছে তবে ভাল পাত্র পেলে বিয়ে দিবে । আমি তো খুব হালকা পাতালা মানুষ । মা চায় আর একটু মোটা হই । আমি সেই চেষ্টা করছি ।
আমি গত এক বছরে তাদের কাছে খুবেই আপন হয়ে গেলাম । সেই বছর শাহিন কে আমি নিয়ে গেলাম শরতের কাশ ফুল দেখাতে । শাহিন সব সময় শাড়ী পড়তো । একটা আলাদা আর্ট ছিল তার শাড়ী পরার মাঝে । আমি কিছুদিন পর প্রাইভেট পড়ানো ছেরে দিলাম । তখন আমি একটা চাকুরিতে জয়েন্ট করেছি ।। মাঝে মাঝে যাই । সাহিনের সাথে দেখা করতে । আমাদের মাঝে বেশী কথা হত গল্পের বই নিয়ে । সাহিনের কারনে আমার অনেক বই পড়া হয়ে গেল । কড়ি দিয়ে কিনলাম আমারা এক সাথে শেষ করেছি পড়ে পড়ে এক টেবিলে ।
একদিন খবর এল শাহিন হাসপাতালে – আমি গেলাম দেখতে । বেশ কিছুদিন যাবত তার জ্বর – আগে মাঝে মাঝে জ্বর হতো । শাহিনের বিয়ে ঠিক হয়েছে । ছেলে ইতালি থাকে- সামনের মাসে আসলে বিয়ে হবে । বিয়ে হবে তাদের গ্রামে দোহার এ । আমাকে সাথে যেতে হবে ঐ বিয়েতে । আমি হেসে বলাম – তুমি যদি বিয়ের দিন বল ইমরান আমি তোমাকে ভালবাসি তখন কিন্তু আমি তোমাকে নিয়ে পালাতে পারব না। শাহিন হেসে বলে আরে এই কপাল ইমরানের নাই । আমাকে নিয়ে পালতে কিন্তু কপাল লাগে ।। আমি হেসে বললাম অভাগার কপাল আমার , সাহিন বলল না তোমার কপাল আমার চেয়ে অনেক বড় , যদি আর কোন জন্ম থাকে সেই জন্মে আমি তোমাকে চাইব রাখাল বন্ধু হিসাবে তোমাকে । তোমার বাঁশী শুনে আমি কাজল চোখে হিজল গাছের নিচে অপেক্ষা করব ।
আমি আর সাহিন মনের অজান্তেই ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম । তার ভাল লাগা মন্দ লাগা গুলো আমার কাছে খুব সুন্দর করে বলে যেত ।
তখন শরত কাল ছিল । চার দিক কাশ ফুল । শাহিন জ্বরের মধ্যে বলছে ইমরান আমি কাশফুল দেখতে যাব । বনশ্রীতে কাশ ফুল আছে । শাহিনের মা বলল বাবা সাহিন একটু নিয়ে যাও তো । আমি খুবেই অবাক হলাম । অ্যান্টি আমাকে নিয়ে যেতে বলছে । আসলে মানুষের বিশ্বাস জন্ম নিলে সেই বিশ্বাসের সম্মান করতে হয় ।
আমি বিকালে শাহিন কে নিয়ে কাশফুল দেখাতে গেলাম । আফতার নগর আর বনশ্রী চার পাশে কাশফুল বন ।
সাহিন আমাকে বলছে
—ইমরান এই কাশফুল গুলো মেঘেদের বিদায় জানাতে মেঘের রূপে সেজেছে ।
— তাই সাহিন ।
— তোমার কি মনেও হয় ।
— না আমার চিন্তায় আসে না ।
— ইমরান ভালো করে দেখ ঐ দুরের কাশফুল আকাশের পেজা মেঘ যেন আজন্মের বন্ধু তোমার আমার মতো ।
— সাহিন তুমি চমৎকার করে কথা বল । তোমার প্রতিটা কথাই কবিতা ।
— ইমরান তুমি লেখবে আমাকে নিয়ে । আমি তোমার কোন এক গল্পের নায়িকা হব । সেই গল্পে কাশফুল থাকবে । আর গল্পের নায়িকা তার বন্ধু কে ভালবাসবে কিন্তু বন্ধুত্বের সন্মানে কেউ কাউকে বলবে না – ভালবাসার কথা । আচ্ছা ইমরান তুমি কি আমাকে ভাল বাস । মিথ্যা বলবে না।
— সাহিন আমি তোমাকে ভালবাসি দূর আকাশের মতো , ভোরের পাখিদের কলরবের মতো । আর ঘুমন্ত শিশুর পবিত্র মুখের মতো ।
—- ওহ ইমরান এই জন্যই তুমি আমার মনের প্রিয় বন্ধু । তোমাকে ভালবাসি মধ্যে রাত্রের শুখ তারার মতো । যে তারা পথ হারালে নাবিক কে পথ দেখায় । ইমরান আমার বিয়ে গেলে আমি তোমাকে খুব মিস করব । কারন তুমি আমাকে যে একুশটি কবিতা দিয়েছে প্রতিটা কবিতা আমার জন্য বসন্ত । তুমি আমাকে চাইলেও ভুলতে পারবে না। অনেক কথার মাঝে সময় কেটে যায় । পশ্চিমের লাল সূর্য বিদায় নিচ্ছে । কিছু পড়েই এই ধারা অন্ধাকার হবে। ইটপাথরের শহর লাল নীল বাতিতে তার রুপ তুলে ধরবে । সাহিন কে নিয়ে রিক্সায় উঠি বন গ্রাম যাওয়ার জন্য ।
। সেই দিন আর আমার অফিস যাওয়া হয় নেই ।
রাতের বেলা শাহিনের পাশে বসে কথা বলছি । আমাকে বলল ঐ ইমরান তোমার বোন বিউটির মতো করে আমার মাথায় তেল দাও একটু আর চুল গুলো আচরে দাও । অনেক কথার মাঝে একদিন বলেছি যে আমার বোনের মাথায় আমি তেল দিয়ে দেই । আমি তাই করলাম । শাহিন বলে ইমরান মেয়েদের মতো এত সুন্দর করে মাথার চুল কি করে আচরে দিস ? আমি বলাম শাহিন আমার মায়ের মাথা ব্যথা হলে আমি তো মায়ের মাথায় তেল দিতাম । সংসারের বড় ছেলে হলে অনেক কিছু জানতে হয় ।। আমাকে বলল ইমরান আমি ইটালি গেলে তোমাকে নিয়ে যাব শুধু মাথায় তেল দিতে ।
আমি বলাম জামাই পাইলে ইমরান ইতিহাস হয়ে যাবে । তখন বলবে হাই ইমরান ভাই ।
শাহিন বলল ইমরান সত্য আমি ইতিহাস হব তোমার গল্পের কবিতার । আমি হেসে বললাম তোমার নাম কোন গল্পে থাকবে না । সাহিন বলল সময় কথা বলবে ।
পরের দিন আমি একটা বিশেষ কাজে সিলেট চলে আসি । সাগর নাল ট্রি স্টেট এ । তিন মাস চা গাবানে কাটিয়ে দেই । ১৯৯৫ সাল খুব শীত । আমি হাতে করে মনি পুরী একটা চাদর শাহিনের জন্য কিনে নিয়ে আসি । শাহিন মানে আমার ভাল বন্ধু । মেয়েরা এত আধুনিক মনের হয় তাকে না দেখলে কোন দিন কাউকে বুঝানো যাবে না। তার বুদ্ধি ব্যবহার মায়া আর আদর্শ আমাকে কখন জানি তার বন্ধু বানিয়ে দিয়েছিল ।
সকাল ১১ টায় শাহিনের বাসায় যাই । আমাকে দেখে মনি একটা চিৎকার দিয়ে বলে ভাইয়া আপু নেই । আমি কিছুই বুঝতে পাড়ি না। সবাই আমাকে দেখে কান্না শুরু করে দেয় ।। অ্যান্টি বলে বাবা ইমরান আমার শাহিন মারা গেছে ।। শাহিন নাই ।। কি বলে অ্যান্টি ? আমার নিজের কানে কি শুনছি ।
আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
সাহিন নাই
সাহিন মারা গেছে
না এ হতে পারে না –
আমি নিজেই কান্না করতে লাগলাম ।।
জানতে পারলাম সাহিনের ক্যন্সার হয়েছিল ।
সাহিন না ফেরা দেশে চলে গেল । সাহিন সত্য ইতিহাস হল ।
মনি বলল সাহিন আপা আপনাকে খুব মিস করেছে । আমাকে বলেছে ইমরান যেন আমার জন্য কবিতা লিখে । তার কোন এক গল্পের নায়িকা হবার ইচ্ছা। যেন কাশফুল থাকে নদী থাকে সেই গল্পে ।
তার পর আর কোন দিন আমি শাহিনের বাসা সেই বনগ্রাম আর যাই না। আমি আজো ঐ পথে যায় না। মনে হয় সাহিন সেই কবিতা রেকট করছে ।
শাহিন যেন ইতিহাস হয়ে গেল আমার মনের মনি কুটিরে ।।
পরপারে ভাল থেক বন্ধু শাহিন ।। আমিও আজো কোন গল্পের নায়িকা বানাতে পারলাম না তোমাকে । কারন তুমি গল্পের চেয়ে বেশী পবিত্র আমার মনে ।।
দেশীয় জনপ্রিয় অনলাইন কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স সাইট ‘ইভ্যালি’-তে কেনাকাটা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সতর্ক করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মাহবুব কবির মিলন। আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) মাহবুব কবির মিলন তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে ইভ্যালি বিষয়ে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। অনলাইন কেনাকাটায় কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রাহক হয়রানির সুযোগ থাকছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্ণমেলা নিউজ ২৪ ডটকম পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল:
‘Evaly.com.bd নিয়ে ব্যাক্তিগত ইন্টারেস্ট নেই আমার। ১০০% বা ১৫০% ক্যাশ ব্যাক অফার কতটা নৈতিক বা অনৈতিক, সে প্রশ্নেও যাব না। মুফতে বা অতি সহজে পাওয়ার আগ্রহ আমাদের কতটা তা আমরা সবাই জানি। ক্যাশ ব্যাক অফার আর ডিসকাউন্ট এর পার্থক্য এখনো আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। ব্যবসা করার অধিকার সবার আছে। তেমনি আছে ইভ্যালির।
ইভ্যালি বা এরকম ব্যবসার ধরণ কতটা যুক্তিযুক্ত বা নীতি বিরোধি তা দেখবে সরকার। ক্রেতার ভোগান্তি বা অধিকার লঙ্ঘন হলে তাঁরা অনায়াসেই অভিযোগ দায়ের করতে পারে। কাজেই ইভ্যালি প্রসঙ্গে আমি ব্যাক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি। যদিও সমানে আমাকে ট্যাগ বা ইনবক্স করা হচ্ছে অসংখ্য অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
মজার বিষয় হচ্ছে কোন অভিযোগকারী নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিযোগ দায়ের করছেন না। শুধু কমেন্টে গালাগালি, বিরক্তি বা কটু কথা বলেই খালাস। কারণ, সবাই আশায় থাকেন, যদি এরকম ক্যাশ ব্যাকে পণ্য পেয়ে যাই শেষ পর্যন্ত। বড়ই তাজ্জব বিষয়!!
ইভ্যালির স্পেশাল অফারের ৫ নং শর্তে স্পষ্ট বলা আছে পণ্য সরবরাহ করা হবে ৭-৪৫ দিনের মধ্যে। কাজেই ৪৬ দিন হয়ে গেলেই অধিকার লঙ্ঘন হয়ে যায়।
৬ নং শর্তে বলা হয়েছে, পণ্যের স্টক থাকা পর্যন্ত অফার চলবে। এখানেই সবাই ধরা খেয়ে যাচ্ছেন। কেউ জানেন না পণ্যের সংখ্যা আসলে কয়টি। সাইক্লোন অফারে সবাই ছুটছেন সাইক্লোনের মত।
মনে করে নেই, পণ্য আছে মাত্র ৫টি। যেহেতু আমরা জানি না পাঁচটি, কাজেই টাকা জমা দিল হয়ত ১০০ জন। তাহলে দেখা যাচ্ছে পণ্য পাবেন মাত্র পাঁচজন। বাকি ৯৫ জনের টাকা ঝুলে থাকবে দিনের পর দিন।
সো, সবাই জেনেই যাচ্ছেন সেখানে। আপাতত আমাদের করার কিছুই নেই। যেহেতু অনলাইন ব্যবসা বা অনলাইনে এরকম ক্রয়-বিক্রয়ের কোন নীতিমালা বা নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের, তাই যা করবেন, বুঝে শুনেই করবেন।
আর ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন হলে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তবে ইভ্যালির পেজে কমেন্ট পড়ে বেশ মজা পাই। মাঝে মাঝে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে থাকি। যদিও গতকালের করা একটি কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে ইভ্যালি।
আমার কমেন্টের ধাক্কা সামলাতে না পারলে অন্য ধাক্কা সামলানো যে কঠিন।
শুভকামনা ইভ্যালি এবং তার ক্রেতাদের।
*** এটা সবার বুঝা উচিৎ যে, বিক্রেতা বা কোম্পানি আপনাকে পণ্যের সাথে ১০০% বা ১৫০% টাকা ফেরত দিচ্ছে, নিশ্চয়ই তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বা পকেট থেকে নয়। নিশ্চয়ই অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বা অন্য কোন অনৈতিক উপায়ে
মোয়াজে্জেম হোসেন প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর) ॥ বন্যার পানি নয়, উপর্যুপরি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সম্প্রতি পানি বন্দী হয়ে পড়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার। সেই সাথে প্রায় ৫ শত হেক্টর জমি হয়েছে অনাবাদি।বৃষ্টির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন ও কৃষকদের সুবিধার ল্েয বিলের মধ্য দিয়ে সরকারি বরাদ্দ হতে কর্তনকৃত খালটি কতিপয় লোভী পুকুর মালিকরা বন্ধ করে দেওয়ায় এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সাময়িক পানি বন্দি দশা থেকে বাঁচতে স্থানীয় লোকজন আট্টিকা-গন্ডবিল পাকা রাস্তা কেটে পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও, এতে পানি বন্দী মানুষদের দুর্দশা লাঘবে কোন কাজে আসছে না। এতে খালটি পুনঃ খনন ছাড়া এ ভোগান্তি থেকে রা পাওয়ার বিকল্প কোন পথ নেই এখন।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম মক্কেল খালটি খননের উদ্যোগ নেন। সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ অনিয়মের ফাঁদ থেকে বাঁচতে সে সময় তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তারই নের্তৃত্বে খাল বন্ধ করে শুরু হয় পুকুর খনন। আজিজুল আলমের ছেলে আব্দুল আলীম ও আসাদুজ্জামান বাবু খালের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করায় অন্যান্যরাও পুক্রু খননে উৎসাহিত হয়ে পর্যায়ক্রমে পুরো খালটি পুকুর মালিকদের দ্বারা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শত শত হেক্টর জমি অনাবাদি হওয়ার পাশাপাশি এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের প্রেেিত লালপুর ও বাঘা উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের সিদ্ধান্তনুযায়ী একটি কমিটির অধীনে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে খালটি পুনঃ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ১১ মার্চ সার্ভেয়ার সহ উক্ত কমিটি সভার আয়োজন করলে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম ও কতিপয় ভিগুর দালালরা সভা স্থলে হাঙ্গামার সৃষ্টি করে খাল খনন বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি পানি বন্দী মানুষদের অভিযোগের প্রেেিত বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি সরেজমিন পানি বন্দী এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় পানি বন্দী মানুষরা তাদের দুর্দশার কারন থেকে মুক্তি পেতে আবারও খালটি পুনঃ খননের আবেদন করেন।
এ বিষয়ে বসন্তপুর বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সাধারন সম্পাদক হীরেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় খাল খনন করেন আজিজুল আলম মক্কেল। অথচ পরবর্তীতে নিজে ও ছেলেদের দিয়ে পুকুর কেটে খাল বন্ধ করে দেন। এতে হাজার-হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এখন খাল পুনঃ খননে সহযোগিতা না করে তিনিই বাধা সৃষ্টি করছেন। যার ফলে আমরা পানি বন্দী হয়ে হয়েছি। প্রশাসনকে বার বার অবহিত করেছি, এখনো কোন সুরাহা মেলে নি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাকা রাস্তা কাটা ঠিক হয় নি। খাল খনন ছাড়া এ দুর্ভোগ লাঘব সম্ভব নয়। খাল দখলকৃত পুকুর মালিকদের তালিকা দেখে, জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

