নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে সংবাদ শেয়ার করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরান ও সাংবাদিকদের হাতের কবজি কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্যা হাজেরা খাতুন পারুল। এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় পৃথক দুটি সাধারন ডায়েরি করেছেন উক্ত পুলিশ সদস্য ও মামলার একজন স্বাক্ষী রইজ খান। এ বিষয়ে আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন নিউজনাউ টুয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশের কর্মকর্তা মো. সালেহ ইমরান নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ৬৯৭) করেন এবং ১৪ জানুয়ারি রইজ খান বাদী হয়ে সাধারন ডায়েরি (জিডি নং-৬৫৯) করেছেন। থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরি বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কাচিনা ইউনিয়ন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১০-১৫ জন লোক সালেহ ইমরানের গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের ৯ একর জমি ১৬ বছর আগে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জাল-জালিয়াতির দলিল করার মাধ্যমে ঢাকা দিলকুশা শাখা অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি টাকার লোন অনুমোদন করে নেয়। পরে জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ সালেহ ইমরানের স্মরণাপন্ন হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মিডিয়া এবং প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে তাদের সহযোগিতায় ওই লোনটি অনুমোদন হওয়ার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত করে দেন। পরবর্তীতে ওই জালিয়াতি এবং দুর্নীতি নিয়ে কাদিগড় গ্রামের মো. সমর আলী এবং হাবিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর যথাক্রমে ভালুকা সিআর ৪২০/২০১৯ এবং ৫৩০/২০১৯। মামলা দুটি পিবিআই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মোছা. হাজেরা খাতুন পারুলসহ ১০ জনের নামে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি মোছা. হাজেরা খাতুন পারুলসহ আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
লোন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এসব খবর পত্রিকায় আসার জের ধরে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরানের প্রতি মারাত্মকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইউপি নারী সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল। এরপর চলতি মাসের শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কাচিনা বাজারে কবিরের চায়ের দোকানে কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের কাদিগড় গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, কাদিগর গ্রামের মোজাম্মেল ও হানিফসহ আনুমানিক ১৫ জন মানুষের সামনে প্রকাশ্যে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরানের হাতের কব্জি কেটে ফেলার হুমকি দেন সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল। তিনি উপস্থিত মানুষের সামনে এও বলেন, ‘ডরাইলেই ডরে খায় ঠেইল্লা দিলে কিছুই না।’ এ বিষয়ে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরান বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা সেখানে তিনি তা না করে বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোয় প্রকাশ্যে যেভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছেন, তাতে তার সহযোগী আসামিদের যোগসাজশে আমি এবং আমার পরিবারের যেকোনো ক্ষতি হতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি। পুলিশ কর্মকর্তার হাতের কব্জি কাটার ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত হাজেরা খাতুন পারুল মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন সরাসরি প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান’
বিশ্বের সোয়া তিনশ’ ক্রুজ শিপের একটি ‘বে ওয়ান’। ২ হাজার অতিথি ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক প্রমোদতরীটি ১০৫ কোটি টাকা খরচে বাংলাদেশে এনেছে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করবে এটি। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার।
প্রাথমিকভাবে রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌনে তিনশ’ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পরদিন সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।
সপ্তাহে তিন দিন এ রুটে চলবে জাহাজটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কর্ণফুলী নদীর ওয়াটার বাস টার্মিনালে নোঙর করেছে ‘বে ওয়ান’।
৪৫০ ফুট লম্বা, ৫৫ ফুট প্রস্থের বিলাসবহুল জাহাজটিতে ১৭ জন ক্রু এবং যাত্রীসেবার জন্য দেড়শ’ স্টাফ আছেন। এখানে আছে তারকা হোটেলের মতো প্রেসিডেন্ট স্যুট, রয়েল স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টু ইন বেড কেবিন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আরামদায়ক চেয়ারসহ আধুনিক ব্যবস্থা। জাপানের কোবে শহরের মিতসুবিশি হেডি ইন্ডাস্ট্রিজে নির্মিত জাহাজটির ইন্টেরিয়র ও আসবাবে নতুনত্ব এনেছে কর্তৃপক্ষ। বাইরে মেঝেতে বসানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাসের গালিচা। দেশি-বিদেশি খাবার নিয়ে উন্নতমানের রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন, কয়েন পরিচালিত ঝর্না। করোনা সচেতনতায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও রয়েছে প্রতিটি ফ্লোরে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ‘বে ওয়ান’ জাহাজটি আনা হয়েছে। এটি পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়তে সক্ষম হবে।
১৯৯৪ সালে আমাদের শিপ বিল্ডার্স যাত্রা শুরু করে। প্রথমে বন্দরের জন্য ৫টি টাগবোট তৈরি করেছি। ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজ মেরামত আমাদের বড় অর্জন। পৃথিবীর কেউ চিন্তাও করেনি জাহাজটি চলবে। পৌনে ২৯ কোটি টাকা জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে জাহাজটির ১৫০ ফুট ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে তৈরি করতে পেরেছি। ১৬ হাজার টনের জাহাজটি এখনো সচল রয়েছে।
এ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার ড্রেজার নির্মাণ করে সরকারকে দিয়েছি। এখনো ড্রেজার নির্মাণ করছি। আপনারা শুনে খুশি হবেন ‘কাটার সাকশন’ নির্মাণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছি আমরা। এটি আমাদের দেশের জন্য ভাগ্যের ব্যবহার। কাটার সাকশন বিদেশে রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছি ইনশাআল্লাহ। এ পর্যন্ত ১২শ’ জাহাজ তৈরি করেছি, ৭-৮শ’ জাহাজ রিপেয়ার করেছি গত ২৫-২৬ বছরে। জাহাজ চালানোর ব্যবসা আমাদের ছিল না। আমাদের তৈরি ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ জাহাজ গত বছর জানুয়ারিতে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চালু করেছি। এ রুটে জাহাজ জীবনেও চলাচল করেনি। মানুষ এত ভালোভাবে এটি নিয়েছে। এটি আমাকে দেশের জন্য ক্রুজ শিপ আনার প্রেরণা দিয়েছে। জাপান থেকে এ জাহাজটি নিয়ে এসেছি।
এক স্টার্টে জাহাজটি ৯ দিনে বাংলাদেশে চলে এসেছে। পৃথিবীর সব দেশে এ জাহাজটি চলাচল করতে পারবে। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জাহাজ ঝড় তুফান কাত করতে পারে না। ২ হাজার যাত্রী নিয়ে এটি সৌদি আরব যেতে পারবে। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল, প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। সাড়ে ১১ হাজার হর্সপাওয়ারের ২টি ইঞ্জিন আছে। ৩ মেগাওয়াটের ৩টি জেনারেটর আছে। জাহাজটিতে ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে, জাহাজের কোনো পানি বা বর্জ্য সরাসরি সাগরে পড়বে না। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
তিনি জানান, জাহাজটিতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৮-২০ লাখ টাকা। এ ধরনের জাহাজ দেশে আরও চললে পর্যটকদের কাছে ভাবমূর্তি বাড়বে। দেশের টাকা খরচ করে বিদেশে ক্রুজ শিপে চড়তে যেতে হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের ১-৪ নম্বর সংকেত দেখালেও জাহাজটি নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। তবে মহাবিপদ সংকেত দিলে অন্যান্য বড় জাহাজের মতো এটিও নিরাপত্তার জন্য বহির্নোঙরে বা গভীর সাগরে অবস্থান নেবে।
বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সমুদ্রভ্রমণের জন্য ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ছাড়া বড় প্যাসেঞ্জার জাহাজ দেশে নেই। ব্লু ইকোনমি, মেরিটাইম ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা। সরকার নিরলস কাজ করছে। কিন্তু সরকার একার পক্ষে সব করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা দেশের মানুষের রিক্রিয়েশনের জন্য, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ‘বে ওয়ান’ ক্রুজ শিপটি এনেছি। সরকার টু সরকার চুক্তি থাকায় কলকাতা-আন্দামানসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আমরা যাত্রী নিয়ে যেতে পারবো। অনুমোদন পেলে ব্যাংকক, ফুকেট, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।
যদি সরকার অনুমোদন দেয় প্রতিবছর ২০-৫০ হাজার হাজি জাহাজে নিতে মাত্র ৭ দিন লাগবে। দরকার হলে আরও ৪-৫টি প্যাসেঞ্জার জাহাজ চার্টার করে নিয়ে আসব।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব চীন সাগর পেরিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর ছাড়ে ‘বে ওয়ান’। আন্দামান সাগরও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছে।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ত্রিশাল তরিকুল ইসলাম, উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদ খাঁন ভোলা, সেক্টর কমান্ডার কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম মোমিন সহ উপজেলা বীরমুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার দিনটি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় প্রতিবছর স্মরণ করে জাতি। মহানায়কের ফেরার সেই ঐতিহাসিক দিবস আজ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে এবার উৎসব-উদ্দীপনার সঙ্গে দিবসটি উদ্যাপিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সবই হচ্ছে সীমিত পরিসরে।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দিনের বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন অগণিত জনতা মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ও গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্বাগত জানান প্রিয় নেতাকে। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)। সেখানে লাখো মানুষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ শুরুর পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
দ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে ।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২০) মহান বিজয় দিবসের প্রভাতে উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ড সৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আরিফ রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দীন আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, সমাজকল্যান সম্পাদক মোমিন তালুকদার,তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান বিপ্লব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহীম।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যথাযথ মর্যাদায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীরা নিশ্চিত পরাজয় জানতে পেরে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর যাদে মেধা শুন্য হয়ে যায় এই পরিকল্পনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ মহুর্তে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক, সাংবাদিক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীদেরকে হত্যা করেন।
দিবসটি পালনে সারা দেশের ন্যায় ১৪ ডিসেম্বর সকালে ত্রিশালের রায়ের গ্রাম বধ্যভূমিতে ১১জন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করে বধ্যভূমির পাশেই এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি সাবেক জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার। হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফের সঞ্চালনায় – বক্তব্য রাখেন, থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সস্পদ কর্মকর্তা ড.হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদ খাঁন ভোলা, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোমেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম চাঁন মিয়া। উপজেলা মহিলা যুবলীগ নেত্রী শিরিন আক্তার চায়না, প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহ বিভাগের কৃতি-সন্তান দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা এনামুল হক খাঁন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায়, ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সাবেক দেড় যুগেরো বেশী সময় নির্বাচিত সফল সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা দু’বারের সফল মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এছাড়াও জুয়েল আরেং এমপি
প্রেসিডিয়াম দায়িত্ব পাওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনুমোদন প্রাপ্ত সকল নেতৃবৃন্দদেরকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেয়র আনিছ।
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
যুবলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (১৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা গ্রহণ করেছে সংগঠনটির নেতারা। দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুমোদন পাওয়া কমিটিতে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
নতুন কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মনজুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোয়ার্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জুয়েল আরেং, মো. জসিম, মো, আনোয়ার হোসেন ও এন শাহাদাত হোসনে তাসলিমকে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মশিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়াদার।
সাংগঠনিক সম্পাদক: কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির
প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহদাত হোসেন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, আন্তজাতিকবিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি)-বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন।
জনশক্তি ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. হ্যারিস মিয়া শেষ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন সাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম।
উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হোসেন সুমন, উপ-আন্তজাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. সায়েদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক মো.আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্বরণ।
উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জল, উপ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. মিছির আলী, উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, উপ-ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওমন জামির রানা, উপ-মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদা, উপ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীন।
সহ-সম্পাদক যারা হলেন: মো. সাইফুল আলম সাইফুল, সাইফুল ইসলাম শাহীন পাটোয়ারী, মো. বেলাল হোসেন ফিরোজ, আবির মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন, মো.আতাউর রহমান উজ্জল, মো. মামুন আজাদ, মির্জা মো. নাসিউল আলম শুভ, মো. রাজু আহমেদ, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহীম, মো. মাইনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, মো. আলামিনুল হক আলামিন, জামিল আহমেদ, মো. আব্দুল রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেসি চণ্ডল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আজিজুল রহমান সরকার, সামিউল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মো. কামরুল হাসান লিংকন, রাজীব আহমেদ তালুকদার, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, হিমেলুর রহমান হিমেল, আগতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মো. রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মো. মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, মো. রায়হান রুবেল, সাইফুল ইসলাম সাইফ, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামর’জ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, জিএম ওয়াহেদ পারভেজ, মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, ডা. মো. মনজুর’ল ইসলাম ভূইয়া রাফি, মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু, মশিউর রহমান মহারাজ ও এ কে এম মহিউদ্দিন খোকা মজুমদার।
📰ফকরুদ্দীন আহমেদ/মোমিন তালুকদার🗞️
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে সেই ২০১৪ সাল থেকে প্রকৃতিক গ্যাস এসে বসে আছে। কিন্তু সংযোগ নেওয়ার মতো কোন লোক নেই। অথচ এই গ্যাসের জন্য মানুষের মধ্যে ছিল কত হাহাকার, ছিল আন্দোলন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পকারখানাসহ বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বিদ্যুতের উপর যেমন চাপ কমতো, তেমনি মানুষের জীবনমানও আরো উন্নত হতো। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে গ্যাসের লাইন তৈরী, টাউন বর্ডার স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মান শেষ করে বসে আছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল)। ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিানাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের পস্তাব পাশ হয়। ২০১১ সাল থেকে এ অঞ্চলে জমি অধিগ্রহন শুরু হয়। জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এ পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫২টি মৌজা থেকে ২৬ ফুট এরিয়া নিয়ে মোট ১১৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে ৫২ কিলোমিটার গ্যাস লাইন তৈরী করা হয়। সুত্রমতে ২০১৪ সালে গ্যাস লাইন তৈরী শেষে পাইপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্যাস লাইন নেওয়ার কোন ইচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেই কোন উচ্চবাচ্য। তবে খুলনার কিছু ব্যবসায়ী তাদের কলকারখানায় গ্যাস লাইন নিয়েছেন বলে সুত্র জানায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা মতো শুধু শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সাথে টাউন বর্ডার স্টেশনের পাশে একটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের নিয়ম রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ সিলিন্ডারে কম টাকায় ভরে গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। আগে বাসাবাড়িতে কোন গ্যাস যাবে না। ঝিনাইদহে গ্যাস সংযোগের সর্ব শেষ অবস্থা সম্পর্কে ভেড়ামারার ইনচার্জ সুমন মল্লিক জানান, আমরা গ্যাস সরবরাহ করিনা না, শুধু লাইন নির্মান করি। গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল)। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস নিতে হলে সেখানে আবেদন করতে হবে। ঝিনাইদহ থেকে ২/১টি আবেদন জমা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সরবরাহের পক্রিয়া চলমান আছে। কেও ইচ্ছা করলে বিসিকের আশেপাশে একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে গ্যাস নিতে পারবেন। তবে বিসিক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস নিতে হলে অনেক টাকা দরকার। নতুন মেশিন সেটআপ দিয়ে গ্যাস নিতে হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি: ‘এসো সবাই বৃক্ষ রোপন করি, সবুজ, নির্মল পরিবেশ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ভালুকায় বাদশা গ্রুপের ‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’ এর আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২০ পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবনকোঠা এলাকায় অবস্থিত ‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’ সেকশন-২ এর আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুরুতে কারখানার এডমিন সেকশনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কারখানার বিভিন্ন সেকশন পদক্ষিন করে লবনকোঠায় গিয়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করে। পরে কারখানার হলরুমে বৃক্ষরোপন সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ’এর প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগর এজিএম সমর সেন সাহার সভাপতিত্বে ও প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগর ব্যবস্থাপক মোঃ মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাইওনিয়ার নীটওয়্যারস্ (বিডি) লিঃ সেকশন-২ এর কারখানা ব্যবস্থাপক সুকর্ণ বড়ুয়া সাজু, কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপক লুৎফুল কবীর, আইটি প্রধান স্বপন কুমার সাহা, কমপ্লায়েন্স সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রনব সাহা, কমপ্লায়েন্স অফিসার আল মারুফ, মোঃ আতিবুর রহমান ও তাসলিম মুনিম খান প্রমূখ।
আলোচনা সভায় আলোচকগণ বর্তমান বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিবেশে বৃক্ষরোপণের নানা দিক তুলে ধরেন। একই সাথে সবাইকে অবশ্যই একটি করে বৃক্ষের চারা রোপনের আহ্বান জানানো হয়।
কামরুজ্জামান মিনহাজ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকাররের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়মীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়মীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, সভাপতিত্ব করেন ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক শোভা মিয়া আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য জননন্দিত জননেতা ইকবাল হোসেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাইনুল হাসান নয়ন, বঙ্গববন্ধু পরিষদ ত্রিশাল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন উজ্জল, উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি স্বপন করকার, ধানীখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোর্শেদ, বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মকবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগ নেতা বাবুল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা ফরহাদ হোসেন, কানিহারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক রকিব হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা ফারুক আহমেদ, কৃষকলীগ পৌর শাখার সাবেক আহবায়ক নেয়ামত আলী, সাবেক ছাত্র নেতা সাইফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কাঠাঁল ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন, আমিরাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ, বঙ্গববন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সাখুয়া ইউনিয়নের নেতা রানা মিয়া, হরিরামপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।