ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেফতারজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনার সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নগরীর নুরনগরের নিজ বাসভবন থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) বায়েজিদ ইবনে আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাংবাদিক আবু তৈয়বকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটক করে থানায় আনা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে ওই মামলায় আদালতে হাজির করা হবে। রাতে তাকে সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।মা মলার বাদী হয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা সদর থানায় ২৫ নম্বর এ মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহে সর্বাত্মক লকডাউনের ৩য় দিনে জেলা শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের আরাপপুর, পোস্ট অফিস মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে চলাচলকারীদের তথ্য যাচাই করে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবে ভিন্ন চিত্র উপজেলা শহরগুলোতে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খোলা হচ্ছে দোকানপাট। শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর, চৌরাস্তা মোড়, হলমার্কেট, হাজী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের চলাচল বেড়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে পোশাকের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। দোকানে একটি পাল্লা খোলা রেখে চলছে বেচ-কেন। রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল যোগে চলাচল করছে মানুষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন চোখে পড়নি পুলিশের ভূমিকা। কোন মোড়ে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়েনি। ছিল না কোন চেকপোস্ট। সেই সাথে দেখা মেলেনি উপজেলা প্রশাসনের কোন তৎপরতা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, সকাল থেকে বের হইনি। একটু পর বের হবো। দোকানা পাট খোলা হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি করার আছে বলেন, মানুষকেও তো একটু সচেতন হতে হবে। আমরা একটু পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করবো।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি তানভীর মাহমুদ রনির উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি এস এম সমিনুজ্জামান সমিন ও সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই হামলা কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করেন। জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইমুম সাঈদ মাসুম প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের র্যালী ও সমাবেশ করায় বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা রণির উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। গত ১১ এপ্রিল বারোজাবার মাছের আড়তের সামনে এই হামলায় অংশ গ্রহন করে চেয়ারম্যানের ভাই সোহান, সাহারুল ও জহর আলী। নেতৃবৃন্দ বলেন, হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের অগ্রযাত্রা দমানো যাবে না। সময়মতো ছাত্রদল জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির আহবায়ক এড এসএম মশিউর রহমান ও সদস্য সচিব এড এম এ মজিদ ছাত্র নেতা তানভীর মাহমুদ রনির উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ রণির দ্রæত আরোগ্য কামনা করেন।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- অভিজাত পরিবারে জন্মেছিলেন সোনার চামচ মুখে দিয়ে। কৈশর যৌবনে ছিলেন দুর্দান্ত মেধাবী ছাত্র। কর্মজীবনে পেয়েছিলেন “অংকের যাদুকর” খেতাব। কঠিন ও জটিল অংকের সহজ সমাধান দিতেন তিনি। ঢাকায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতাও করেছেন সুনামের সাথে। নিজ এলাকায় গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানের পন্ডিত শিক্ষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। বীজগনিতের উৎপাদক বিশ্লেষণের ফর্মুলা আবিষ্কার করে হৈ চৈ ফেলে দেওয়া সেই আব্দুল গাফ্ফারের দিন কাটে এখন পাগল বেশে পথে পথে। বয়স সত্তরের কাছাকাছি। গায়ে দুর্গন্ধময় ময়লা কাপড়। মাথা ভর্তি আউলা ঝাউলা চুল। আপন মনে হেটে চলেন পথ দিয়ে। এমন একজন মেধাবী শিক্ষকের করুণ পরিণতি ও জীর্নদশা দেখে পরিচিতজনরা হতবাক হলেও তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব কেও নেন না। অথচ তার নিপুণ মেধায় গড়া কত ছাত্র আজ প্রশাসনের উচ্চ পদে কর্মরত। ময়লাযুক্ত ছেড়া জামা কাপড় ও পাগলবেশি আব্দুল গাফ্ফার বছরের পর বছর ঘুরছেন পথে পথে। মসজিদ, স্কুলঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বারান্দা এখন এই জনপ্রিয় শিক্ষকের বসবাসের জায়গা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মেধাবী শিক্ষক আব্দুল গাফ্ফার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের কাজী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। এলাকায় তাদের পরিবার অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত হিসেবে পরিচিত। আব্দুল গাফ্ফারের মেজ ভাই কাজী আব্দুল গনি নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব হিসেবে অবসর নিয়েছেন। ছোট ভাই কাজী আব্দুল কাদের ঢাকায় আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। তবে তাদের কোন ভাইয়ের সংসার জীবন বা সন্তানাদি নেই। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, মাত্র ১০ বছর বয়সে পিতৃহারা হন আব্দুল গাফ্ফার। পিতৃহীন তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে হতাশায় পড়েন সদ্য বিধবা মা কাজী বদরুন্নেছা। তাই সন্তানদের নিয়ে বদরুন্নেছা চলে আসেন মহেশপুর পৌর এলাকার জলিলপুর মোল্লা পাড়ার পিতার বাড়িতে। নানা নুরুদ্দীন আহম্মেদের বাড়িতে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন আব্দুল গাফ্ফার। বেড়ে ওঠেন তুখোড় মেধাবী ছাত্র হিসেবে। এলাকায় তার মেধার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে। মা বদরুন্নেছার দ্বিতীয় বিয়ে হয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গোয়ালহাটি ও তৃতীয় বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছাউলিয়া গ্রামে। মা বদরুন্নেছার সন্তানদের অনেকেই এখনো মহেশপুরের জলিলপুরের নানা বাড়িতে বসবাস করেন। এদিকে আব্দুল গাফ্ফার জগন্নাথ কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএসসি ও এমএসসি পাশ করে ঢাকার মানকিনগর ও পরে মতিঝিল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিয়ে করেন নড়াইলে। তার স্ত্রীও ছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আর সংসার করা হয়নি। ৩০ বছর ঢাকায় বসবাসের পর তিনি মহেশপুর চলে আসেন। গাফ্ফারের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী (মায়ের তৃতীয় পক্ষ) ছিরবা আক্তার ঝর্ণার ভাষ্যমতে তার শ্বাশুড়ি বদরুন্নেছা বেঁচে থাকাবস্থায় মাঝেমধ্যে আব্দুল গাফ্ফার বাড়িতে আসতেন। ২০০৬ সালে ২৭ মার্চ শ্বাশুড়ি মারা গেলে আর আসেন না। এখন মসজিদ ও পথে পথে ঘুরে বেড়ান। ঝর্ণা উল্লেখ করেন তার ভাসুরকে এ ভাবে জীর্ন আর বিবর্ন চেহারায় ঘুরতে দেখে তার ছেলে ডিজাইন ইঞ্চিনিয়ার কাজী আরাফাত হোসেন নিজ বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি আসেননি। ছিরবা আক্তার ঝর্ণা বলেন, পিতৃকুল ও মাতৃকুল মিলে আব্দুল গাফ্ফার ও তার তিন ভাই ৪২ বিঘা জমি পান। এর মধ্যে খামারাইল রামনগর গ্রামে ১২ বিঘা জমি এখনো আছে। আর জলিলপুরে ছিল ৩০ বিঘা। এসব জমি তার স্বামী কাজী আব্দুল বারী দেখাশোনা করতেন। ২০১৪ সাল থেকে তারা জমি বিক্রি শুরু করলে আব্দুল বারী জমি দেখাশোনা বন্ধ করে দেন। তবে অন্য একটি সুত্র জানায় সৎ ও মেধাবী শিক্ষক আব্দুল গাফ্ফার মতিঝিল মডেল স্কুলে চাকরী করা অবস্থায় স্কুলে চুরি হয়। সেখানে তাকে দোষারোপ করা হলে তিনি চাকরী ছেড়ে দিয়ে ১৯৯৫ সালের দিকে চলে আসেন। চুরির অপবাদ এই মেধাবী শিক্ষককে বিমর্ষ করে তোলে। মানসিক যন্ত্রনায় ধীরে ধীরে তিনি বর্তমান অবস্থায় চলে আসেন। তবে চিকিৎসা করালে তিনি সুস্থ হতে পারেন এমন কথা জানান মহেশপুর “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহে সর্বাত্মক লকডাউনের ৩য় দিনে জেলা শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের আরাপপুর, পোস্ট অফিস মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে চলাচলকারীদের তথ্য যাচাই করে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবে ভিন্ন চিত্র উপজেলা শহরগুলোতে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খোলা হচ্ছে দোকানপাট। শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর, চৌরাস্তা মোড়, হলমার্কেট, হাজী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের চলাচল বেড়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে পোশাকের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। দোকানে একটি পাল্লা খোলা রেখে চলছে বেচ-কেন। রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল যোগে চলাচল করছে মানুষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন চোখে পড়নি পুলিশের ভূমিকা। কোন মোড়ে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়েনি। ছিল না কোন চেকপোস্ট। সেই সাথে দেখা মেলেনি উপজেলা প্রশাসনের কোন তৎপরতা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, সকাল থেকে বের হইনি। একটু পর বের হবো। দোকানা পাট খোলা হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি করার আছে বলেন, মানুষকেও তো একটু সচেতন হতে হবে। আমরা একটু পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করবো।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এরই মাঝে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হককের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে ‘নরেন্দ্র মোদির সন্তান’ বলে কটূক্তি করেন।এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে এক জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত আরও ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক জানান, আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি, তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দিয়ে আজিজুল হকের লোকজন তার লোকদের বাড়িঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন
দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। করোনার ২য় ঢেউয়ে প্রতিদিনই ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। এমন একটি ভাইরাস যা ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রী, ধনী, গরীব, যুবক, বৃদ্ধ কাউকে চিনছে না। কে কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন তা নিজেও জানতে পারেন না। সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন না মরণঘাতি এই ভাইরাসের হাত থেকে। করোনায় মারা যাচ্ছেন ধার্মিক, অধার্মিক, গরীব, ধনী থেকে ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রীরা। ভিআইপিরা যে যার মতো সাবধানতা অবলম্বন করে চলার চেষ্টা করছেন। আক্রান্ত হলেও সর্বোচ্চ ভাল চিকিৎসা নিচ্ছেন তবুও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় সবাইকে সাবধান থাকতে বলছেন, মাস্ক ব্যবহার, বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। করোনার প্রকোপ বাড়াতে লকডাউনও দিয়েছে সরকার। কিন্তু জনগণ যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছেন। তাই বেড়েই চলেছে করোনা। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে সরকারের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপসহ অন্তত ৩০ জন সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর ২ জন সদস্য ও সম্পাদকমন্ডলীর ২ জন সদস্য। জাতীয় সংসদ ও আওয়ামী লীগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৪ আসনের এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী করোনা আক্রান্ত।
এছাড়া কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি শাহীন আক্তার (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী ), কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আব্দুল মজিদ খান, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজির আহমেদ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিম, বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু করোনাভাইরাতে আক্রান্ত। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাহিদ ইজহার খান, শিরীন আহমেদ, জান্নাতুল বাকিয়া, অ্যারোমা দত্ত, রওশন আরা মান্নান, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন আক্রান্ত। সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী করোনা আক্রান্ত। ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (নায়ক ফারুক) করোনা নেগেটিভ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে আইসিইউতে রয়েছেন।
করোনা নেগেটিভ এলেও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও ৬ এপ্রিল রাতে পুনরায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। এর আগে করোনা পজিটিভ আসায় ঢাকায় নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।
গত ৩১ মার্চ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন বুথে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ ও ভালো আছেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আগে ২ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন তিনি। ৩ এপ্রিল সকালে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
টিকা নেওয়ার প্রায় দুই মাস পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। গত ৩০ মার্চ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে নমুনা দিয়ে আসার পর ৩১ মার্চ দুপুরে তিনি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পান। বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
গত ৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে করোনার নমুনা দিলে ৪ এপ্রিল পজিটিভ রিপোর্ট আসে টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। বর্তমানে ঢাকায় তার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে। টিকা নেওয়ার দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। গত ২৫ মার্চ করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। এর আগে গত ২৩ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো. সেলিম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই জ্বর আসে কবরীর। শরীরে ব্যথাও ছিলো। করোনা নমুনা পরীক্ষা হলে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। গত ২১ মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালটির আইসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন। পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা বেশ গুরুতর বলে জানিয়ে তার ছেলে শরৎ বলেন, বাবার রক্তে ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকস্থলীতে ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হয়েছে। গত ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ফারুক। সেখানে গিয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর আগে রক্তে সংক্রমণ ও টিবি ধরা পড়ার কারণে তাকে সিঙ্গাপুরেই প্রায় ৪৭ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে নিয়মিত চেকআপের জন্য গেলে সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে করোনায় মারা গেছেন বেশ বর্তমান সংসদের বেশ কয়েকজন এমপি এবং সাবেক এমপি। এর মধ্যে রয়েছেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকার সাবেক এমপি হাজী মকবুল হোসেন, নওগা-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক এমপি তোয়াবুর রহিম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আনোয়ারুল কবির তালুকদার, সাবেক এমপি আবু হেনা, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা এটিএম আলমগীর।
দেশের সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও করোনায় মারা গেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর, এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. নাজমুল করিম, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা.) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত, খ্যাতিমান প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী, টিভি ব্যাক্তিত্ব প্রযোজক, নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা, আবৃত্তিকার মোস্তফা কামাল সৈয়দ, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই, এনটিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক সুমন মাহমুদ, দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন, ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার গীতিকার আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-২ ফরিদুল হক খান দুলাল, সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সাবেক হুইপ নওগাঁ-২ আসনের শহিদুজ্জামান সরকার, রেল মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, যশোর-৪ আসনের এমপি রণজিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোসলেম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এবং গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাটের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে রাহুল স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট প্রতিতিযোগিতার উদ্ধোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে জাহেদী ফাউন্ডেশনের পৃষ্টপোষকতায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে খেলার উদ্ধোধন করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। খেলা উদ্ধোধন শুরুতে জাহেদী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ভাষা সৈনিক মহুম জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া ও মরহুম হাসান শাহরিয়ার জাহেদী রাহুল স্মরণে একমিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জাহেদী ফউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য কাউয়ুম শাহারিয়ার হিজল ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুর রহমান রাসেল। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহেদী ফাউন্ডেশন ও আমেনা খাতুন কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুজ্জান, জাহেদী ফাউন্ডেশনের শাহতনু রেজা আসাদ, মাসুদুর রহমান রানা, ইউনুস আলী ও মানিক। উদ্ধোধনী খেলায় ঝিনাইদহ ক্রিকেট কাব ও আব্দুল লতিফ সরদার ক্রিকেট একাদশ অংশ গ্রহণ করেন। এ-খেলায় জেলার মোট ১২টি ক্রিকেট দল অংশগ্রহণ করবে। বুধবার ২০ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১৫দিন ব্যাপি চলবে।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার বেল্টুর মোড় নামক স্থানে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মোটরসাইকেল ও পাখি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাখি ভ্যানের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়লে অপরদিক থেকে আসা একটি আলমসাধু মোটরসাইকেল আরোহীর বুকের উপরে উঠে যায়। মোটরসাইকেল আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহত নয়ন লস্কর(২১) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ খায়রুল লস্কর এর ছেলে। নিহত নয়ন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইশারত হোসেন খোকন সাহেবের সহকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার সকালে সদর উপজেলার গিলাবাড়ীয়া থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার ও যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৪ টি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ৪ টি ইটভাটায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার বলেন, সকাল ১০ টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে চলবে বিকাল পর্যন্ত। দুপুর পর্যন্ত আমরা ৮ টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামীকাল শুক্রবারও এ অভিযান চালানো হবে।