চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন সরাসরি প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান’
বিশ্বের সোয়া তিনশ’ ক্রুজ শিপের একটি ‘বে ওয়ান’। ২ হাজার অতিথি ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক প্রমোদতরীটি ১০৫ কোটি টাকা খরচে বাংলাদেশে এনেছে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করবে এটি। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার।
প্রাথমিকভাবে রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌনে তিনশ’ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পরদিন সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।
সপ্তাহে তিন দিন এ রুটে চলবে জাহাজটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কর্ণফুলী নদীর ওয়াটার বাস টার্মিনালে নোঙর করেছে ‘বে ওয়ান’।
৪৫০ ফুট লম্বা, ৫৫ ফুট প্রস্থের বিলাসবহুল জাহাজটিতে ১৭ জন ক্রু এবং যাত্রীসেবার জন্য দেড়শ’ স্টাফ আছেন। এখানে আছে তারকা হোটেলের মতো প্রেসিডেন্ট স্যুট, রয়েল স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টু ইন বেড কেবিন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আরামদায়ক চেয়ারসহ আধুনিক ব্যবস্থা। জাপানের কোবে শহরের মিতসুবিশি হেডি ইন্ডাস্ট্রিজে নির্মিত জাহাজটির ইন্টেরিয়র ও আসবাবে নতুনত্ব এনেছে কর্তৃপক্ষ। বাইরে মেঝেতে বসানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাসের গালিচা। দেশি-বিদেশি খাবার নিয়ে উন্নতমানের রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন, কয়েন পরিচালিত ঝর্না। করোনা সচেতনতায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও রয়েছে প্রতিটি ফ্লোরে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ‘বে ওয়ান’ জাহাজটি আনা হয়েছে। এটি পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়তে সক্ষম হবে।
১৯৯৪ সালে আমাদের শিপ বিল্ডার্স যাত্রা শুরু করে। প্রথমে বন্দরের জন্য ৫টি টাগবোট তৈরি করেছি। ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজ মেরামত আমাদের বড় অর্জন। পৃথিবীর কেউ চিন্তাও করেনি জাহাজটি চলবে। পৌনে ২৯ কোটি টাকা জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে জাহাজটির ১৫০ ফুট ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে তৈরি করতে পেরেছি। ১৬ হাজার টনের জাহাজটি এখনো সচল রয়েছে।
এ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার ড্রেজার নির্মাণ করে সরকারকে দিয়েছি। এখনো ড্রেজার নির্মাণ করছি। আপনারা শুনে খুশি হবেন ‘কাটার সাকশন’ নির্মাণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছি আমরা। এটি আমাদের দেশের জন্য ভাগ্যের ব্যবহার। কাটার সাকশন বিদেশে রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছি ইনশাআল্লাহ। এ পর্যন্ত ১২শ’ জাহাজ তৈরি করেছি, ৭-৮শ’ জাহাজ রিপেয়ার করেছি গত ২৫-২৬ বছরে। জাহাজ চালানোর ব্যবসা আমাদের ছিল না। আমাদের তৈরি ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ জাহাজ গত বছর জানুয়ারিতে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চালু করেছি। এ রুটে জাহাজ জীবনেও চলাচল করেনি। মানুষ এত ভালোভাবে এটি নিয়েছে। এটি আমাকে দেশের জন্য ক্রুজ শিপ আনার প্রেরণা দিয়েছে। জাপান থেকে এ জাহাজটি নিয়ে এসেছি।
এক স্টার্টে জাহাজটি ৯ দিনে বাংলাদেশে চলে এসেছে। পৃথিবীর সব দেশে এ জাহাজটি চলাচল করতে পারবে। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জাহাজ ঝড় তুফান কাত করতে পারে না। ২ হাজার যাত্রী নিয়ে এটি সৌদি আরব যেতে পারবে। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল, প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। সাড়ে ১১ হাজার হর্সপাওয়ারের ২টি ইঞ্জিন আছে। ৩ মেগাওয়াটের ৩টি জেনারেটর আছে। জাহাজটিতে ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে, জাহাজের কোনো পানি বা বর্জ্য সরাসরি সাগরে পড়বে না। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
তিনি জানান, জাহাজটিতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৮-২০ লাখ টাকা। এ ধরনের জাহাজ দেশে আরও চললে পর্যটকদের কাছে ভাবমূর্তি বাড়বে। দেশের টাকা খরচ করে বিদেশে ক্রুজ শিপে চড়তে যেতে হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের ১-৪ নম্বর সংকেত দেখালেও জাহাজটি নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। তবে মহাবিপদ সংকেত দিলে অন্যান্য বড় জাহাজের মতো এটিও নিরাপত্তার জন্য বহির্নোঙরে বা গভীর সাগরে অবস্থান নেবে।
বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সমুদ্রভ্রমণের জন্য ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ছাড়া বড় প্যাসেঞ্জার জাহাজ দেশে নেই। ব্লু ইকোনমি, মেরিটাইম ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা। সরকার নিরলস কাজ করছে। কিন্তু সরকার একার পক্ষে সব করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা দেশের মানুষের রিক্রিয়েশনের জন্য, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ‘বে ওয়ান’ ক্রুজ শিপটি এনেছি। সরকার টু সরকার চুক্তি থাকায় কলকাতা-আন্দামানসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আমরা যাত্রী নিয়ে যেতে পারবো। অনুমোদন পেলে ব্যাংকক, ফুকেট, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।
যদি সরকার অনুমোদন দেয় প্রতিবছর ২০-৫০ হাজার হাজি জাহাজে নিতে মাত্র ৭ দিন লাগবে। দরকার হলে আরও ৪-৫টি প্যাসেঞ্জার জাহাজ চার্টার করে নিয়ে আসব।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব চীন সাগর পেরিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর ছাড়ে ‘বে ওয়ান’। আন্দামান সাগরও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছে।
ওয়ালটন কোম্পানীর নিজস্ব ডিস্টিবিউটর বন্ধন ইলেকট্রনিক্স, স্কয়ার মাষ্টারবাড়ী, ভালুকা, ময়মনসিংহ এর শোরুম থেকে কোম্পানী প্রদত্ত অফার ঘোষনা হল। এখান থেকে ওয়ালটনের টিভি কিনে ডিজিটাল রেজিস্টেশন করে আপনি পেতে পারেন সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়,তাছাড়া যেকোন পুরাতন সচল অথবা অচল টিভি দিয়ে মাত্র ৮৯০০ টাকায় নিন নতুন এল ই ডি টিভি।সেরা সাশ্রয় অফারে টিভি কিনে রেজিস্টেশন করলেই ১৫০০০ হাজার টাকা ছাড় (55vc,55ru মডেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।)
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও উৎপাদনের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ব্রাজিলের পারানা রাজ্য। সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে। পরে কার্যকারিতা প্রমাণিত হলে উৎপাদন করা হবে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় পারানা রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটি তৈরি শুরু হওয়ার আগে এটিকে সেখানকার নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন কিংবা ব্যাপক মানুষের ওপর পরীক্ষা করাতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ব্রাজিলে এটির উৎপাদন শুরু হবে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে গত ১১ আগস্ট বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে ‘স্পুটনিক-৫’ অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। রাশিয়ার ঘোষণার পরই ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। তবে ব্রাজিলের রাজ্য সরকার পরিচালিত পারানা টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনটি তৈরি করতে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পারানা টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট এর প্রধান জর্জ কালাডো বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রাযুক্তিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক একটি সমঝোতা স্বারক। এতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি, খুব সাধারণভাবে আমাদের যৌথভাবে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।’
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষার জনপ্রিয় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। বর্তমানে করোনাভাইরাসের দুটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিলে চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে একটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরটি চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক গবেষণাগার। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে রাশিয়ার গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের বিস্তার এখনো অব্যাহত রয়েছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে ৩১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আক্রান্ত ও এক লাখ চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : মস্কো টাইমস।

নিউজ ডেস্ক : এই হোটেলের আসবাব থেকে দেওয়াল সবটাই সোনার, তৈরিতে খরচ দেড় হাজার কোটি…..
গ্রিক উপকথার কিং মিডাসের কথা মনে আছে? যা কিছুই তিনি ছুঁতেন, সব সোনা হয়ে যেত। ভিয়েতনামে এমনই একটি হোটেল আছে, সেখানে যা কিছুই ছোঁবেন তা-ই সোনা। আদ্যোপান্ত সোনায় মোড়ানো এই হোটেলে এসে নিজেকে কিং মিডাস-ও মনে হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এই হোটেল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য যা আপনাকে চমকে দেবে। আদ্যোপান্ত সোনা দিয়ে মোড়ানো এই হোটেলটি রয়েছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। দাবি করা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র সোনার হোটেল। হোটেলটির নাম ডোলস হ্যানয় গোল্ডেন লেক। গিয়াং ভো হ্রদের পাশে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। হোটেলটি মালিকানা হোয়া বিন গ্রুপের। পরিচালনা করে আমেরিকার উইন্ডহ্যাম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টস সংস্থা।
হোটেলটি তৈরিতে ১ টন সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। ২৫ তলার এই হোটেলটিতে রয়েছে মোট ৪০০টি ঘর। হোটেলের বাইরের দেওয়ালে ৫৪ হাজার বর্গ ফুট জুড়ে সোনার পাত দিয়ে মোড়া। হোটেলের দরজা, জানলা, সিঁড়ি, ঘর, বাথরুম এমনকি সমস্ত আসবাবও সোনার তৈরি। হোটেলের সব কিছুই ২৪ ক্যারাট সোনা দিয়ে তৈরি।
২০০৯-এ হোটেলটির নির্মাণ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোনা নাকি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পুরো হোটেলেই সোনা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোটেলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি ডলার। হোটেলের ছাদে একটি ইনফিনিটি পুল আছে। সেই পুলও সোনার পরতে মোড়া।
হোটেলে এক রাতের ভাড়া ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু। ডবল বেডরুম সুইটের এক রাতের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা। হোটেলে ৬ রকমের ঘর এবং ৬ ধরনের সুইট আছে। প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটে এক রাতের ভাড়া প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। শুনলে অবাক হবেন যে, হোটেলে যে খাবার দেওয়া হয় তা-ও সোনার পাতলা মোড়কে ঢেকে দেওয়া হয়। হোটেলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য কর্মীদের পোশাকের রং লাল ও সোনালি রাখা হয়েছে।
নিউজ ডিস্ক: করোনার থাবা থেকে বাঁচতে পারলেন না বিগ বি খ্যাত অমিতাভ বচ্চন। করোনাভাইরাস প্রতিবেদন পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এই বলিউড তারকাকে।
এমন তথ্য নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে পরিবারের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষা করিয়েছি। তবে এখনও ফল আসেনি।…’
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। করোনা আক্রান্ত জানার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জুহুতে অমিতাভের বাড়ি থেকে সবচেয়ে কাছেই এই নানাবতী হাসপাতাল। সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে ৭৭ বছরের অভিনেতাকে।
করোনাভাইরাসের লকডাউনের এই গোটা সময় বাড়িতেই রয়েছেন অমিতাভ। ঘরে বসেই একটি ভিডিও শ্যুটে কাজ করেছিলেন। তবে এমনিতে তাঁর শ্যুটিংয়ের কাজ চলছিল অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে। এখানে তাঁর সঙ্গে ছবিতে কাজ করছেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট।
ইতোমধ্যে অমিতাভের ‘কন বনেগা ক্রোড়পতি’র অডিশনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে করোনা বিধি অনুযায়ী সরকারি নিয়মে তাঁকে শ্যুটিংয়ে নিষেধ করা হয়েছে।
ঢাকা: কোভিড-১৯ এ বিপর্যয়ে সারাবিশ্ব। প্রাণহানির পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস বশে এনে অর্থনীতির চাকা সচলের চিন্তায়। ঠিক সেই সময় তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আর সেই দেশ হলো আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ।হ
প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অনল রায়হান বলেন, সাধারণ সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ভাইরাস প্রতিরোধক এ কাপড় ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষায়িত কাপড় হওয়ায় এ কাপড়ে তৈরি পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হবে। জাবের অ্যান্ড জুবায়ের রপ্তানির জন্য এ কাপড় তৈরি করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে তাদের এ কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত। ভাইরাস রোধে এ কাপড় প্রায় শতভাগ নিরাপত্তা দিলেও ২০ বার ধোয়ার পর এর কার্যকারিতা কতখানি থাকবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরও এই কাপড় নেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কাপড় উদ্ভাবনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। উদ্বোধনের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের প্রয়োজনে সরকার এ কাপড় ব্যবহার করতে চাইলে সরবরাহ করতে চায় তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির কথা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
মরণঘাতী করোনাভাইরাস গত বছর ৩১ ডিসেম্বর চীন থেকে ছড়িয়ে সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করে। এরপর ভাইরাসটি চীনের জৈব আবিষ্কার বলে দাবি করে আমেরিকা, ইসরায়েল ও ইরান। এবার তিন দেশের দাবির সঙ্গে সুর মেলালো ব্রিটেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রাণীদেহ থেকেই মারণ রোগের জীবাণু ছড়িয়েছে। তবুও চীনের গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়ানো তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন জরুরিকালীন কমিটি (কোবরা)। এর আগে হোয়াইট হাউসে টাস্কফোর্স আলোচনা সভায় এমন অভিযোগ জানিয়েছিল। এবার তাদের সঙ্গে সুর মিলালো ব্রিটেন। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি কমিশন গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ডেইলি মেইল’ কোবরা কমিশনের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃতি করে লিখেছে, ‘বিজ্ঞানীরা যতই বলুন, উহান প্রদেশের গবেষণাগারে জীবাণু তৈরির তথ্য উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’ এদিকে ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোবরা কমিশনের এক সদস্য জানান, উহানের গবেষণাগারে যে এই জীবাণু তৈরি হয়েছিল, সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিট্রেনের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন ব্রিটেনের চীনা দূতাবাস। দেশটিতে চীনা রাষ্ট্রদূত জেং রংয়ে বলেছেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিশ্বের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিয়ে চীন চিন্তিত। তাদের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। চীন বিশ্বের সমস্ত দেশকে এই মহামারি মোকাবেলায় সাহায্য করছে। কিন্তু সেই চেষ্টাকে অপমান করা হল। চীনেই যদি এই ভাইরাস তৈরি হত, তাহলে সেখানে এত মানুষকে মরতে হত না।’
চীনের উহানে গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ডেইলি মেইল ২০১৮ সালে চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি চায়নার একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চীনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। মজাদার বিষয় হল, ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো ওই প্রতিষ্ঠানটি বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে রয়েছে।’ আবার অসর্মিথ সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে উহানের ওই পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানীরা। পরে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাস জৈব অস্ত্র দাবি করে বক্তব্য রেখেছিলেন ইসরায়েলি ও মার্কিন বিজ্ঞানীরা। ‘জেনেটিক্যালি মডিফায়েড’ এই করোনাভাইরাসের জন্মদাতা চীনের উহানের বায়োসেফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন আইনজীবী ও রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল। তিনি বলেছিলেন, শক্তিশালী রাসায়নিক মারণাস্ত্র করোনাভাইরাস, ছড়িয়েছে উহানের ল্যাব থেকেই।
রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংগঠনেরও অন্যতম নেতা ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, তার উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট’ বিল পাশ হয়। নোভেল করোনাভাইরাস যে নিছকই কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ নয়, সে বিষয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন ড. ফ্রান্সিস।
ইজরায়েলি গোয়েন্দা ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের দাবির সমর্থন জানিয়েই ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আর এই বিষয়টি জানে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সব জেনেও গোটা বিষয়টাকে কৌশলীভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ড. ফ্রান্সিস বলেন, সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যার পরিণিতি এই মহামরি। এত মানুষের মৃত্যু।
নোভেল করোনা ভাইরাসকে রাসায়নিক মারণাস্ত্র দাবি করেছিলেন মার্কিন সিনেটর টম কটনও। তিনি বলেন, চীন জীবাণুযুদ্ধের জন্য বানাচ্ছিল ওই ভাইরাস। এখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কথাটা লুকোতে চাইছেন। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে জীবাণুযুদ্ধ নিষিদ্ধ। তারা ওই নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস জনিত রোগের (কভিড-১৯) চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাভিগান নামের ওষুধ তৈরি করেছে বাংলাদেশের দুই ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সাধারণ ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় অ্যাভিগান নামে ওষুধটি, যেটির জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির। এই ওষুধ ব্যবহার করে করোনা চিকিৎসায় দারুণ সাফল্য পায় বলে দাবি করে চীন।
দেশটির ট্রায়ালে দেখা যায়, যাদের ওই ওষুধ দেয়া হয়েছিল, অন্যদের তুলনায় তারা দ্রুত সেরে ওঠেন। তবে, জাপান এখনো করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ওষুধটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
বাংলাদেশে ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটি তৈরি করে রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মা। বেক্সিমকো শুধু ফ্যাভিপিরাভির নয়, প্রচলিত যেসব ওষুধ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, তার একটি বাদে সবগুলো তৈরি করছে। চাহিদা অনুযায়ী এসব ওষুধ তারা সরকারকে দেবে।
না, এটা কোনো ক্লিকবেইট টাইটেল নয়। আমরা জানি প্রযুক্তির দুনিয়ায় চীন এখন অনেক এগিয়ে। তবে চীনে প্রযুক্তির এই ব্যবহারিক প্রয়োগের ব্যাপারে আমাদের ধারনা হয়তো কিছুটা পিছিয়ে। বছর দেড়েক আগে লিখেছিলাম চীনে কিভাবে নগদ অর্থের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বেইজিং এ এক ভিক্ষুকের মোবাইলে ভিক্ষা নেয়ার খবর বেশ আলোড়ন তুলেছে।
Fazil Irwan নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, তার এক বন্ধু (Cheah Chyuan Yong) রাতের খাবার খেতে যাওয়ার সময় রাস্তায় এক ভিক্ষুক তার কাছে অর্থ চায়, তার বন্ধু বলে যে তার কাছে নগদ অর্থ নেই। সেসময় ভিক্ষুক একটি QR কোড বের করে বলে সমস্যা নেই তুমি আমাকে WeChat এর মাধ্যমেও অর্থ দিতে পারো।
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোষ্ট
মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে ভিক্ষা নেয়ার বিষয়টি চীনে সাধারণ ব্যাপার হলেও বর্হিবিশ্বে এখনও সেভাবে প্রচলিত নয়, যার কারনে Fazil Irwan এর শেয়ার করা এই ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার বার শেয়ার হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন আন্তজার্তিক মিডিয়াতেও এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রকাশিত খবর
চীনে মোবাইল পেমেন্ট নতুন কিছু নয়, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, ব্যবহারবান্ধব ও নিরাপদ হওয়ার কারনে সবাই মোবাইলে লেনদেন করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চীনে মোবাইল পেমেন্ট সেবার প্রায় ৯০ ভাগ রয়েছে টেনসেন্ট এর Wechat এবং আলিবাবার Alipay এর দখলে। সম্প্রতি এই দুই কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছে যে চীনে আসা পর্যটকটরাও আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই পেমেন্ট সুবিধা নিতে পারবে। আগে বিদেশীদের এই সুবিধা নিতে হলে চীনে ব্যাংক একাউন্ট থাকা আবশ্যক ছিল, নতুন এই নিয়মের ফলে এখন সেটা প্রয়োজন হবে না।