ওয়ালটন কোম্পানীর নিজস্ব ডিস্টিবিউটর বন্ধন ইলেকট্রনিক্স, স্কয়ার মাষ্টারবাড়ী, ভালুকা, ময়মনসিংহ এর শোরুম থেকে কোম্পানী প্রদত্ত অফার ঘোষনা হল। এখান থেকে ওয়ালটনের টিভি কিনে ডিজিটাল রেজিস্টেশন করে আপনি পেতে পারেন সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়,তাছাড়া যেকোন পুরাতন সচল অথবা অচল টিভি দিয়ে মাত্র ৮৯০০ টাকায় নিন নতুন এল ই ডি টিভি।সেরা সাশ্রয় অফারে টিভি কিনে রেজিস্টেশন করলেই ১৫০০০ হাজার টাকা ছাড় (55vc,55ru মডেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।)
জেলা প্রতিনিধি, যশোর: গায়ে হলুদের দিন শহরময় বাইক র্যালি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া যশোরের ফারহানা আফরোজকে গণমাধ্যমে ‘নববধূ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনি নববধূ নন। সম্প্রতি তিনি বিয়েও করেননি। তার বিয়ে হয়েছে আরও তিন বছর আগে। দেড় মাস আগে তার কোলজুড়ে এসেছে এক ছেলে সন্তানও।
গত ১৪ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফারহানা নিজেও গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি পরিস্কার না করায় বিভ্রান্তি বাড়ে। ১৩ আগস্টে সাজগোজ ও অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঢাকাতে দেখেছি, অনেক বিয়েতে বর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান। আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি। আমারও ইচ্ছে হয়েছে। আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই-আনন্দ করেছি।’
ফারহানার এ বক্তব্যে অন্যদের মতো করে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানানোয় তাকে ‘নববধূ’ হিসেবে গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে তিনি নববধূ নন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফারাহানার ঘনিষ্ঠজনরা। ফারহানার বান্ধবী নওরীন মোক্তাকি জয়া বলেন, ‘যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ফারহানার সাথে আমার বন্ধুত্ব। এরপর যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে একসাথে এইচএসসির পাঠ শেষ করেছি। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দুজন দুই শহরের বাসিন্দা হলেও যোগাযোগ এবং বন্ধুত্ব ছিল অটুট। ফারহানা খুব ভালো মনের মানুষ, মিশুক এবং সেলফ ডিপেন্ডেডেন্ট। সবার উপকার করে। যেহেতু ও (ফারহানা) বাইক চালাতে পারে তাই শখ ছিল নিজের বিয়েতে বাইক রাইডিং করার। ও শো-আপ চায়নি। নেটিজেনরা বানোয়াট কথা বলে ওকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছে।’
জয়া আরও বলেন, ‘ওর তো তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে। এক বাচ্চার মা। গত ৩০ জুন ওর বাচ্চা হয়েছে-ছেলে সন্তান। বিয়ের সময় অনুষ্ঠান করতে পারেনি- কেবল কলমা হয়েছিল। তবে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা ছিল। এতদিন পর বিয়ের অনুষ্ঠান করছে, সেখানে সে তার শখ পূরণ করেছে তাতে-অন্যদের সমস্যাটা কী?’
জয়া বলেন, ‘দেশের মানুষ রাইড শেয়ারে মেয়ে চালকদের সাথে বসতে পারে। অথচ ফারহান রাইডিংকে সহ্য করতে পারছে না। এটা সংকীর্ণতা।’
ফারহানর বন্ধু প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার তরু খান বলেন, ‘ফারহানা আমার কলেজ পর্যায়ের বন্ধু। সে সময় ও আমাদের সাথেও বাইক চালাতো। ও একজন ভালো বন্ধু। ওর সাথে সবকিছু শেয়ার করা যায়। ফারহানার স্বাধীনচেতা মেয়ে। তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আমরা বন্ধুরা ১৫/২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শহর ঘুরেছি। এতে দোষ কোথায়। লোকজন নেগেটিভ মন্তব্য করছে। খারাপ লাগছে। আমাদের প্রত্যাশা প্রত্যেকে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেবে।’
এদিকে ফারহানার প্রতিবেশী তমাল আহমেদ বলেন, ‘ফারহানার মতো মেয়েই হয় না। ভালো মেয়ে। তার বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। পারিবারিকভাবে মেনে নেয়া নিয়ে জটিলতা ছিল। বিয়ে মেনে নেয়ার পর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নেটিজেনরা যা করছে তা ঠিক না। যশোরে মেয়ে তানিয়া পাইলট হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার নারী। নারীরা অনেক বিষয়ে এখন অগ্রগামী। ফারহানার ব্যাপারে এতো কনজারভেটিভ কেন বুঝি না। এটা ফারহানার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার শামিল।’
ফকরুদ্দীন আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ৬নং ত্রিশাল ইউনিয়নে এস.পি.পি যত্ন প্রকল্পের ক্যাশ কার্ড বিতরণ করলেন, দু’বারের নন্দিত চেয়ারম্যান জাহিদ আমিন।
বুধবার (১৯আগস্ট ২০১৯ইং) তারিখের দুপুরে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোনাবাড়ী এলাকায় এই ক্যাশকার্ড নিজ হাতে সুবিধাভোগীদের মাঝে তুলে দিয়ে উদ্বোধন ও বিতরণ শুরু করেন।
ক্যাশকার্ড বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম, যত্ন প্রকল্প কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ আমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ক্যাশকার্ড বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডেই সুবিধাভোগীদের হাতে যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
(নিউজ সম্পাদনা- মোমিন তালুকদার)
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ বছরের অন্য সময়ের তুলনায় পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কামারদের ব্যাস্ততা বেড়ে গেছে। অন্য বছরের তুলনায় করোনা ভাইরাসের কারণে কাজেও অনেকটা প্রভাব পড়েছে। তারপরেও ঈদ কে সামনে রেখে কোরবানির পশু জবাইসহ কাটাকুটিতে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে এখন কর্মমুখর হয়ে উঠেছে কালীগঞ্জের কামার সম্প্রদায়। কিন্তু করোনার কারণে তেমন বিক্রি নেই এবার। করোনার কারণে এবছর তাদের মালামাল তেমন টা বিক্রি হবে না বলৈ ধারনা করছে।
কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ বিরেনদের ছন্দোময় পিটাপিটিতে শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তৈরি যন্ত্রপাতি খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাহিদা মাফিক সরবরাহ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এসব সরঞ্জাম তৈরীতে এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কামার সম্প্রদায়ের শতাধিক লোকজন। এ সময়টাই একটু বেশি উপার্জনের আশায় বিশ্রাম বাদ দিয়েই ক্রেতাদের পছন্দ মতো মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরি করে চলেছেন এখানকার কামাররা। ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতেও ভিড় বাড়ছে। তাদের ঢুং, ঢাং, টুং টাং শব্দে ভোরেই ঘুম ভাঙছে দোকানের আশে পাশের এলাকার মানুষের। অন্যদিকে ভ্রাম্যমান শানদানিরা গ্রামে ঘুরে ঘুরে কোরবানি দাতাদের পুরোনো সরঞ্জাম শান দেওয়ারও কাজে নেমেছেন। অপরদিকে পশু কোরাবানি করার সরঞ্জাম কিনতে কামারদের কাছে ছুটছেন অনেকে।
ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়,আকার ভেদে প্রতি পিস ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকায়, চাপাতি ৫’শ থেকে ৬’শ টাকায় এবং বঁটি ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। চারাতলা বাজারে কামার শিল্পের সঙ্গে ৩৫ বছর জড়িত শুভাষ,বিষু ও দিলু কর্মকার জানান, ওইসব যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য যেসব মালামাল প্রয়োজন হয়, বাজার থেকে সেগুলো বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে তৈরিকৃত ওইসব যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আর দাম বেশির কারণে পুরানো গুলো শান দিয়ে ধারালো করে নিচ্ছেন বেশির ভাগ লোকজন। সান দেওয়ার কাজ করেও বাড়তি আয় হচ্ছে। এবারের ঈদে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকার। কর্মকার দোকানের মালিক জানান, করোনার কারণে এবছর দাম বেশির কারণে এখনো ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো জমে উঠেনি। যে পাথর কয়লা গেল বছর ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা বস্তা কিনেছিলাম, সেই কয়লা এ বছর কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ২’শ থেকে ২ হাজার টাকায়। ফলে লোহার এসব সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যয় বেড়ে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। ভোরের কাগজ পত্রিকার ত্রিশাল প্রতিনিধি ও ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি এস এস ফজলে রশীদ ও নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক দৈনিক জাতীয় মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ফকরুদ্দীন আহমেদ ২১সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির অনুমোদন করেন। ১২ফেব্রুয়ারি ক্লাবের পূর্বের স্বিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যকরী কমিটি, সাধারণ পরিষদ ও উপদেষ্ঠা পরিষদের অনুমোদন করা হয়। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন, সারোয়ার জাহান জুয়েল ময়মননিংহ বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান জাতীয় দৈনিক মুক্তখবর, সহ-সভাপতি শফিকুল হক সকালের দুনিয়া ত্রিশাল প্রতিনিধি, সহ-সভাপতি শেখ আরিফুর রহমান রাব্বানী ত্রিশাল প্রতিনিধি ভোরের দর্পণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জীবন ত্রিশাল প্রতিনিধি আজকালের খবর, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম অাছাদুজ্জামান পাইলট জয়যাত্রা টেলিভিশন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক ত্রিশাল প্রতিনিধি বাংলাদেশ সমাচার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ এন এম তারেক (বাবু সরকার) ত্রিশাল প্রতিনিধি দৈনিক জাতীয় প্রতিদিনের সংবাদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোমিন তালুকদার বর্ণমেলা নিউজ’র স্টাফ রিপোর্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম শাহীন ইকবাল ভোরের অপেক্ষা ত্রিশাল প্রতিনিধি, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান ত্রিশাল প্রতিনিধি ময়মনসিংহ সমাচার,ক্রীড়া সম্পাদক আমিরুল ইসলাম
একুশে সংবাদ ত্রিশাল প্রতিনিধি, সাহিত্য সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিন্টু গণ কণ্ঠ ও সাপ্তাহিক পরিধী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহিম ত্রিশাল প্রতিনিধি দৈনিক জাতীয় এই বাংলা। সম্মানিত সদস্য হলেন প্রকৌশলী লূৎফর রহমান কন্টিবিউটার রিপোর্টার দৈনিক যুগান্তর, সুশীল কুমার ঘোষ কলামিস্ট ও অনলাইন পল্লী সংবাদ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম আজাহার, শামীম পারভেজ সূবর্ণ বাংলা স্টাফ রিপোর্টার, আউলাদুল ফরহাদ ত্রিশাল অনলাইন রিপোর্টার ও রুবেল আকন্দ দৈনিক জাতীয় প্রথম ভোর।
আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী এ উদযাপন। মুজিব বর্ষ ঘিরে এরই মধ্যে ২৯৬টি পরিকল্পনাসংবলিত একটি মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
জাঁকজমকপূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’। এ কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়কারী করে গঠন করা হয়েছে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, আগামী ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শুরু হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরে সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ উদযাপনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীকে সম্পৃক্ত করা হবে। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান বঙ্গবন্ধু। সেখান থেকে ভারতে স্বল্প সময়ের যাত্রাবিরতি দিয়ে ১০ জানুয়ারি দুপুরে তিনি তত্কালীন তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে আরো স্মরণীয় করতে ১০ জানুয়ারিই শুরু হবে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা।
তবে জন্মশতবার্ষিকীর মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের ক্ষণ থেকেই। ওইদিন সকালে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। ঢাকা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ওইদিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবে জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে নানা আয়োজন। এরপর বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে মূল আয়োজন, যাতে প্রকাশ করা হবে জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্যুভেনির, স্মারক বক্তৃতা, দেশী-বিদেশী শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজন করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়কদ্বীপকে সাজানো হবে রঙিন সাজে।
জানা গেছে, ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের মূল পর্বে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। আমন্ত্রণের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির নেতা ও ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এলকে আদভানি, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।
১৮ মার্চ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে, যাতে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিরা। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস ও ৭ জুন ছয় দফা দিবস উদযাপন নিয়ে থাকবে নানা আয়োজন।
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোজ গার্ডেনে হবে সেমিনার। এছাড়া ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্টজুড়ে থাকছে আওয়ামী লীগ ও উদযাপন কমিটির উদ্যোগে নানা আয়োজন।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তাই এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হবে। একই দিন বাংলাদেশেও আলোচনা ও সেমিনার করা হবে। একই সঙ্গে দেশের সব স্থানে টিভি, রেডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করা হবে। জেল হত্যা দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে থাকবে আলোচনা সভা, সেমিনারসহ নানা আয়োজন। এ বছরের বিজয় দিবসও পালন করা হবে জাঁকজমকভাবে।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়। ২০২১ সালের ওইদিনটিকে স্মরণীয়ভাবে পালন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ২০২১ সালের ৭ মার্চ থেকে সাতদিনের কর্মসূচি ও জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, বর্ষব্যাপী কর্মসূচি পালনে ২৯৬টি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উদযাপন কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে আনন্দ আয়োজন, সেবা ও উন্নয়নের বিষয়গুলো, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রমাণ্যচিত্রের পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা, বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, বাংলা ও ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ। এছাড়া ইউনেস্কোয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশে আরো পাঁচটি বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজে বঙ্গবন্ধু সেন্টার স্থাপন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন ও অনুষ্ঠানটিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। লন্ডনে মাদাম তুসো জাদুঘর ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগের পাশাপাশি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও আদর্শভিত্তিক চিত্রকর্ম এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন মুজিব ফেলোশিপ অ্যান্ড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিদেশ সফর নিয়ে একটি শর্টফিল্ম ও ছবিগুলো নিয়ে একটি স্টিলফিল্ম বা ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনারের অডিও, ভিডিও ও স্থিরচিত্রের ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম ও শিলংয়ে নাগরিক মিলনমেলার আয়োজন থাকবে। এছাড়া এ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের সব দেশে রোপণ করা হবে ১০০টি করে গাছের চারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্টজনদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হবে। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটে ‘শেখ মুজিব ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনার।
এছাড়া দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেমিনার, আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা ও সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ এবং আলোচনা সভা করা হবে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হবে। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নভেম্বরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা করা হবে।
যাত্রা ও লোকনাট্য, জেলা পর্যায়ে ৬৩টি নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজন এবং দেশ ও বিদেশে চারুকলার প্রদর্শন রয়েছে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানসূচীতে। চারুকলা প্রদর্শনের জন্য ১০টি ঘটনার ওপর ভিত্তি করে বড় আকারের (৮ ফুট/২৪ ফুট) ১০টি বাস্তবধর্মী চিত্রকর্ম আঁকা হবে। নির্মাণ করা হবে ১০টি নতুন মঞ্চনাটক ও পথনাটক। ৬৪ জেলায় একটি নাটক ও একটি পথনাটকের প্রদর্শনী করা হবে। আটটি বিভাগে আটটি নাটক উৎসব আয়োজিত হবে। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলমান ৫০টি নাটককে সহায়তা প্রদান, পাঁচটি শিশু নাটক নির্মাণ ও ২০টি প্রদর্শনীর পরিকল্পনা রয়েছে। দেশব্যাপী ও শতকণ্ঠে আমার পরিচয় কবিতা, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবিতা ও তাঁকে নিয়ে রচিত কবিতা আবৃত্তি থাকবে আয়োজনের অংশ হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে ১ ঘণ্টার পাণ্ডুলিপি প্রযোজনা নিয়ে দুটি অনুষ্ঠান করা হবে।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদের মধ্যে রয়েছে ইংরেজিতে ছবি, স্কেচ ও আলোকচিত্র নিয়ে কফি টেবিল বই শেখ মুজিব লাইফ অ্যান্ড টাইমস এবং বায়োগ্রাফি অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চীন সফর নিয়ে অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফরাসি, জার্মান, চাইনিজ, আরবি, ফার্সি, স্প্যানিশ, রুশ, ইতালিয়ান, কোরিয়ান ও জাপানি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক অ্যালবাম, জীবন ও কর্মভিত্তিক ১০০টি প্রকাশনের লক্ষ্য রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার বা সেন্ট্রাল পার্ক ও লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে কনসার্ট আয়োজন করা হবে। ইউনেস্কোয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরি আয়োজন করা হবে গাজীপুরের মৌচাকে।
এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ জেলা ও থানা, দেশ ও বিদেশের বড় বড় শহরে ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করে নতুন নতুন কনটেন্ট সরবরাহ ও প্রচার করা হবে। সারা দেশে এক হাজার ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করে প্রচার করা হবে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর বিভিন্ন কনটেন্ট। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শনীর আয়োজন থাকছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা ২৫টি দেশের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা সংগ্রহ ও প্রকাশ করা হবে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় আপলোড করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে নির্মিত কনটেন্ট। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় জাতীয় সংবাদে গুরুত্বের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্বাচিত ভাষণের অংশবিশেষ ও জন্মশতবার্ষিকীর খবর প্রচার করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে একটি আর্কাইভ স্থাপন করা হবে, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রকাশিত সব লেখা ও অডিও-ভিডিও প্রকাশনাগুলো সংগৃহীত থাকবে। দেশের সব লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন, ট্রেন ও জাহাজ জন্মশতবার্ষিকীর লোগো/ট্যাগ লাইন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। চালু করা হবে বিনা মূল্যে ভ্রমণের জন্য বিশেষ ট্রেনসেবা। হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মত্স্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করা হবে। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজন ও সারা দেশে জেলা-উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী মুজিব মেলার আয়োজন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ঘটনা ও স্থান নিয়ে ৬৪ জেলায় চিত্রায়ণপূর্বক ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে ৬৪টি অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হবে বছরব্যাপী এ উৎসবে।
উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, ব্যক্তিজীবনে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়ামোদী ছিলেন। তিনি নিজেও ফুটবল খেলতেন। ক্লাব পর্যায়ের ফুটবলও খেলেছেন তিনি। তাই মুজিব বর্ষে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলার ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল-২০২০, দুটি আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেট ম্যাচ, জাতির পিতার নামে আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্ট, আন্তর্জাতিক সাফ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব কাবাডি প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক ভলিবল প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক রোলবল গোল্ডকাপ, আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা, ইন্টারন্যাশনাল এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপ, আন্তর্জাতিক বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা, ইন্টারন্যাশনাল আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ, থ্রি অন থ্রি (বিচ) বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, আন্তর্জাতিক মহিলা বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টারস দাবা প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট, আন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা, মহা ঘুড়ি উৎসব, সাফ জুনিয়র বক্সিং টুর্নামেন্ট, আন্তর্জাতিক ইয়োগা প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো, আন্তর্জাতিক খো খো, আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক জুডো প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা, সাউথ এশিয়ান ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, আন্তর্জাতিক কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টসহ জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
শরীফ হোসেন প্রতিনিধি ভালুকাঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় ভরাডোবা – উথুরা রোডে একটি গরু বোঝাই ট্রাককসহ দুই চোরকে অাটক করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় সোমবার (২৯জুলাই) ভোর ৪টার দিকে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ মাইন উদ্দিন এর নির্দেশে, এস আই ইকবাল হোসেন ও এস আই মনির হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্বিতে গরু ভোজাই ট্রাকটি আটক করলে চোরেরা লাফিয়ে পালিয়ে যায়,পুলিশ তখন ১১ গরু সহ ২ জন কে আটক করতে সক্ষম হয়। বগুরা জেলার শেরপুর থানার গোপালপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রানা ওরফে আজমল ( ৩০) ও সাতক্ষিরা জেলার কলারোয়া থানার দক্ষিন দীঘা গ্রামের হাফিজুলের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩২) তাদের শিকার উক্তি অনুযায়ী গাজীপুর এলাকা থেকে সকালে আরো ৬ টি গরু উদ্ধার করেন, মোট ১৭ টি গরুর মধ্যে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৮ টি,গরু ও বাকী গরু গুলো হচ্ছে, ফুলবাড়ীয়া, ও ঘাটাইল উপজেলার।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন
জানান, এরা সবাই আন্তঃজেলা গরু চোরের সক্রিয় সদস্য, এদের গ্রুপের বেশীর ভাগ চোরকে গরু উদ্ধার সহ একাধিক বার গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার, জংগল বাড়ি গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমান ওরফে জব্বার আলী দীর্ঘদিন যাবত নিখোঁজ রয়েছেন। তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তান তাকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও কোন সন্ধান পাচ্ছেন না। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি নিখোঁজ জব্বার আলীর সন্ধান জানেন তাহলে তার পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।
আপনার একটু সাহায্যই পারে তার সন্তানের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে।পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিটিকে হারিয়ে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে একরকম অনাহারে দিনাতিপাত করছে তার স্ত্রী।তাদের আদরের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম লুৎফা আক্তার।লুৎফা অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
তার স্ত্রী জোসনারা বেগম জীবিকার তাগিদে এবং একমাত্র সন্তান লুৎফার পড়াশোনা করানোর জন্য গার্মেন্টসে চাকুরী নিতে বাধ্য হয়েছেন।তার উপার্জনেই লুৎফার পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চলে।তার স্ত্রী ও মেয়ে লুৎফার সাথে কথা বলার সময় কান্না বিজরিত কন্ঠে তারা বলেন যে- কোন কিছুর প্রয়োজন নেই, শুধু তার বাবাকে ফিরে পেতে চান জব্বার আলীর একমাত্র কন্যা লুৎফা আক্তার এবং তার মা জোসনা বেগম । জোসনা বেগম ও তার কন্যা লুৎফার আশংকা, হয়তো সে নিজের পরিবারে কথা মনে রাখতে পারছেন না। এমতাবস্থায় যদি কেউ এই লোকটির সন্ধান জানেন তাহলে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন তারা। যোগাযোগ তথ্য দিতে কল করুন- +880 1914-010342 নাম্বারে

ময়মনসিংহে একটি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম ওরফে শামীম ওরফে বাবু ময়মনসিংহের কেওয়াটখালীর বাসিন্দা।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
ওসি জানান, ‘রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা জালায় ডিবি পুলিশ। এসময় শহরের পাটগুদাম এলজিইডি অফিসের সামনে থেকে অস্ত্র-গুলিসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।’