ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় আমন ধান ফসলের সুরক্ষা ও ক্ষতিকর পোকা মাকড় নির্ণয়ে ‘আলোক ফাঁদ’ প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে কৃষি বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভালুকা উপজেলার হবিবরাড়ী ইউনিয়নের লাউতিখাল সংলগ্নে রোপনকৃত আমন ক্ষেতে আলোক ফাঁদ করে হবিরবাড়ীর কৃষক মোঃ সিরাজ উদ্দিন প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাইদুল ইসলাম।
উপকারভোগীরা বলছেন,এর ফলে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে কৃষক ফসল বাঁচাতে সহায়তা করবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়,ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ব্লকে এবার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ধান চাষে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এতে জমির উপকারী অনেক পোকা মারা যায়। কৃষকরাও আর্থি কভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পরে কীটনাশক প্রয়োগ করতে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমবে, আর ফসল থাকবে বিষমুক্ত। কৃষকরাও স্ব-উদ্যোগে জমিতে ইলেকট্রিক লাইন অথবা চার্জারের মাধ্যমে আলোক ফাঁদের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর কৃষক সিরাজ উদ্দিন জানান আলোক ফাঁদে আমরা অনেক সচেতন হয়েছি। মাঠে ক্ষতিকর পোকা নেই বলল্লেই চলে, এবার ভালো ফলনের আশা রাখছি।
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান,পরিবেশ বান্ধব কৃষি ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষে কম খরচে অধিক ফসল ফলানোই কৃষি বিভাগের লক্ষ। কৃষকদের সচেতনতা ও আগাম বর্তা দিতে সন্ধ্যা কালীন সময়ে মাঠে মাঠে চলছে এই আলোক ফাঁদ।
ভালুকা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান জানান,সমগ্র উপজেলাতেই সন্ধ্যাকালিন সময়ে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের সচেতনতার কাজ অব্যহত আছে। ফসলের মাঠ ভালো এবছর ভালো ফলনের আশা রাখছি।
