ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারী স্কুলের জমি দখল করে পেঁপে বাগান করেছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ভুমিদস্যু।
উপজেলার কাদিগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব ও উত্তর অংশে বেড়া দিয়ে জমি জবরদখল করেছে সাইফুল ইসলাম ও তার মেয়ে জামাতা রমিজ খান। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের উত্তর পাশের বাউন্ডারি লাইনের কয়েক ফুট ভেতরে খুটি গেড়ে ও বেড়া দিয়ে দখল করে রেখেছে সাইফুল ইসলাম। জবরদখলকৃত ও ভুমিতে পেঁপে বাগান পর্যন্ত করেছে তিনি।
এর আগে স্কুলের জমিতে রোপণকৃত প্রায় অর্ধ শতাধিক বাঁশ কেটে নিয়েছিলো সে। সেই ঘটনায় ওই সময়ের স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহনাজ আক্তার বাদী হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইফুলের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন যা অজ্ঞাত কারনে আজও আলোর মুখ দেখেনি। এরপর জমি দখল ও বাঁশ কেটে নেয়ার ঘটনায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তার বাদী হয়ে পুনরায় ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সেই অভিযোগেরও কোন সুরাহা করতে পারেনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ২০১৯ সালে ১৪ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জীবিত দেখিয়ে ভুয়া দাতা সেজে জমির জাল দলিল করে ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি টাকা লোন জালিয়াতির অভিযোগে অন্তত ২টি মামলা, দুদকের ১ টি মামলা, ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার একটি মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাইফুল তার মেয়ে জামাতা ঠিকাদার রমিজ খানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরামর্শেই স্কুলের জমি দখল করে পেঁপে বাগান করেছেন। রমিজ খান ছাড়াও ভুমিদস্যু চক্রের সদস্য, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর হাতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য অভিযোগে আটক হওয়া ওই এলাকার আলামিন নামে একজনও এই জমি দখল ও স্কুলের জমি থেকে বাশ কেটে নেওয়ার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল জানান, এসিল্যান্ড কর্তৃক জমির মাপঝোক তিনি মেনে নিয়েছেন। জমির মাপ মেনে নেয়ার পরেও পেঁপে বাগান বা বেড়া দেয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, স্কুলের জমি নিয়ে কালাম তালুকদার পুনরায় একটি অভিযোগ দিয়েছে, সেকারনেই তারা জমি দখলে রেখেছেন।
স্কুলের জমি দখল করে পেঁপে বাগান ও বাঁশ কেটে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমদ জানান, এসিল্যান্ড জমি মেপে দিয়ে আসার পর পুনরায় স্কুলের জমি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট আসলে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
