জানা গেছে, সোমবার (২৪ জানুয়ারী) ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন উপজেলার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাস। এরপর তিনি গোপনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যের বই ৩০ টাকা কেজি দরে দুই ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয় লোকজন সরকারি বইগুলো ফেরিওয়ালাদের কাছে দেখতে পেয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো কিনেছেন বলে জানান। এ সময় কাওছার শেখ নামের এক ফেরিওয়ালা জানান, তিনি বইগুলো শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি বই কিনেছেন।
ইমদাদুল হক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি জমির কাজ করে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের সামনে ভাঙারি বোঝাই ফেরিওয়ালাদের একটি ভ্যান ও দুইজন লোককে দেখতে পাই। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি এখানে কি করেন। তারা জানায়, এই স্কুল থেকে কিছু বই কিনেছি। বইগুলোর গায়ে ‘২০২২ শিক্ষাবর্ষ’ ও ‘২০২৩ শিক্ষাবর্ষ’ লেখা রয়েছে। এরপর আমরা এলাকাবাসী বইসহ তাদেরকে আটক করে ৯৯৯ -এ কল করে বিষয়টি জানাই। পরে ইউএনও’র নির্দেশে গ্রাম পুলিশের কাছে বইগুলো হস্তান্তর করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান বই বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন বই বিক্রি করিনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম বলেন, আমরা বিক্রি করা বইগুলো জব্দ করেছি। প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি। তিন দিনের মধ্যে ওই প্রধান শিক্ষককে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বই বিক্রির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
