ইউক্রেনকে ১৬টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেনকে ১৬টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যে গুলো ওয়াশিংটন আফগানিস্তানের জন্য কিনেছিল। আফগান ঘটনা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়জিত একটি আমেরিকান সরকারী সংস্থা বুধবার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানুয়ারীতে কংগ্রেসকে অবহিত করেছিল, তারা ইউক্রেনের সরকারকে রাশিয়ায়-নির্মিত হেলিকপ্টার গুলির মধ্যে পাঁচটি দিতে চায়, যে গুলি ইউক্রেনের একটি স্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছিল।
আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য বিশেষ মহাপরিদর্শক এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের কাছে পেশ করা তাদের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত ১১ মার্চ ইউক্রেন এই অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলি গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যেখানে আফগানিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১১টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এমআই-১৭ হেলিকপ্টার গুলির বেশিরভাগ সৈন্য এবং সামরিক সরঞ্জাম বহন করতে ব্যবহৃত হয়।
এই সপ্তাহে সিগার তার প্রতিবেদনে, সেই রিপোর্ট গুলিও নিশ্চিত করেছেন। গত আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারের পতনের ফলে দেশটির নতুন তালেবান শাসকরা ৭শ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের আমেরিকান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সুবিধা পেয়েছে।
জাতিসংঘ অনুমান করেছে, আফগানিস্তানের প্রায় ২.৩ কোটি মানুষ, বছরের পর বছর যুদ্ধ এবং তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরায় বিধ্বস্ত এবং তাদের জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। তাদের মধ্যে আনুমানিক প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) অনুমান করেছে, আফগানিস্তানে ৩২ লাখ শিশু ২০২২ সালে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে। যদি অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত ১০ লাখ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে।
সিগারের দেয়া তথ্য মতে, বাইডেন প্রশাসন ৩১ মার্চ আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ২০.৪ কোটি ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অর্থ এর আগে গত ১১ জানুয়ারী ঘোষণা করা ৩০.৮ কোটি ডলারের অতিরিক্ত। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে আফগান শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তার পরিমাণ এখন পর্যন্ত মোট ৯৮.৬ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
