আইভীকে নিয়ে বিপাকে আওয়ামীলীগ
এম এইচ ইলিয়াছঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামীলীগ। পুরো নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতেই আওয়ামীলীগ দ্বিধা বিভক্ত। একদিকে শামীম ওসমান, অন্য দিকে আইভী।
দলীয় প্রার্থী আইভির পাশে নেই জেলা ও মহানগরের বেশিরভাগ নেতা। যার প্রচারণায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার আইভী মেয়র হয়েছিলেন সেই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্ষীয়ান জননেতা এস এম আকরাম রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণা নতুন চমকের সৃষ্টি হয়েছে।
দ্বিধা বিভক্তির কারণে আজ সোমবার জেলার নেতাদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১১টায় ধানমন্ডি কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি নারায়ণগঞ্জের নেতাদের কথা শুনবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন এবং দিক নির্দেশনা দিবেন।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও মহানগরের নেতারা, একই সাথে দুটি কমিটিতে থাকা দুই এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীও উপস্থিত থাকবেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে নির্বাচন তদারকি করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সাঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক আইভীর হাতে তুলে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত মাঠে নামেনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগরের সহ-সভাপতি চন্দন শীল ও সেক্রেটারি খোকন সাহা। আইভী বিরোধী গ্রুপ এখনো তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেনি।
২০১১ দলীয় প্রতীক পান শামীম ওসমান বিরোধীতা করে আইভী ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পায় আইভী, বিরোধীতা করে শামীম ওসমান। এই নির্বাচনের আগেও নারায়ণগঞ্জের নেতাদের ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু কোন সুরাহ হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীর বিরোধ যেন কিছুতেই মীমাংসা হওয়ার নয়। ফলে দুজন দুই মেরুতে অবস্থান করছেন এবং যখনই কোনো নির্বাচন আসে তখনই এই দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান আওয়ামী লীগকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। এবারো সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই মহলটি শঙ্কা প্রকাশ করছে যদি এরকম পরিস্থিতির এবার হয় তাহলে আওয়ামীলীগের জন্য সেটি একটি দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে। নির্বাচনী আলাপ আলোচনার শুরু থেকেই আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল আইভীর মনোনয়নের বিরোধিতা করেছে।
