৫০ নাবালিকা সাথে শারীরিক সম্পর্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অর্থের জোরে ৫০ জন নাবালিকার সাথে অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা মিটিয়েছেন জেফ্রি এডওয়ার্ড এপস্টিন। তিনি বিপুল সম্পত্তির অধিকারী ও আমেরিকান ধনকুবের।
৪০ জন নারী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। তিনি কখনো ইচ্ছের বিরুদ্ধে, কখনোবা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তাদের সঙ্গে। সেই অত্যাচারের বিবরণও নানাভাবে সামনে এসেছে বহুবার। জেফ্রি তার কুকীর্তির জন্য আটক ও দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলও হয়েছে তার। ২০১৯ সালে জেলের ভিতরেই আত্মঘাতী হন আমেরিকার এই ধনকুবের।
প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, তারা ধনকুবেরের লালসার শিকার হয়েছিলেন অল্প বয়সে। কেউই তখনো ১৮ বছর বয়স পার করেননি।
তবে মৃত্যুর দুই বছর পর জেফ্রির ব্যাপারে এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছুটা ব্যাখ্যা দিতে পারে। কিছু দিন আগেই জেফ্রির বিরুদ্ধে হওয়া নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার মামলায় তার প্রেমিকার হাত ছিল এমন অভিযোগ এনে নতুন একটি মামলা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেই মামলায় সাক্ষ্য দেন কেট ( ছদ্মনাম) নাম।জেফ্রির সঙ্গে কেটের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং জেফ্রির প্রেমিকা গিসলাইন ম্যাক্সওয়েল।
কেট জানিয়েছেন, জেফ্রির সঙ্গে তাকে দেখা করাতে একরকম জোরই করেছিলেন তার প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল। প্রথম সাক্ষাতেই তাকে দিয়ে ‘ফুট মাসাজ’ করিয়েছিলেন জেফ্রি। এমনকি ওইদিনই কেটকে দিয়ে নিজের শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গে ম্যাসাজ নেন জেফ্রি।
কেট অবাক হননি তা নয়। তবে একইসঙ্গে তিনি ভেবেছিলেন এই লোকটিকে খুশি রাখতে হবে তাকে। তাই সামান্য সেবার অনুরোধ ফেলেননি। কিন্তু পরে তার ভুল ভাঙে যখন একদিন তাকে শুধু জেফ্রির ম্যাসাজের জন্যই ডেকে পাঠান ম্যাক্সওয়েল। একা ঘরে জেফ্রির সঙ্গে তাকে ছেড়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
ঘরের ভিতর শুধু একটি তোয়ালের পোশাক পরে দাঁড়িয়েছিলেন জেফ্রি। কেট-এর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ভয় পেয়ে চিৎকার করে দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন কেট। ম্যাক্সওয়েল এসে উদ্ধার করেন তাকে।
এরপরই একান্তে ডেকে জেফ্রির ‘সমস্যা’র কথা কেটকে জানিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। আদালতকে নিজের বয়ানে কেট বলেছেন, ‘ম্যাক্সওয়েল আমাকে সেদিন বলেছিলেন, জেফ্রির যৌনাকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত বেশি। দিনে অন্তত তিনবার শারীরিক সম্পর্ক করতেই হয় তাকে। সেই চাহিদা একা সামাল দিতে পারেন না জেফ্রির প্রেমিকা।’ কেটদের শরণাপন্ন হওয়া সেই অসহায়তা থেকেই।
যদিও তথ্য বলছে, ম্যাক্সওয়েল শুধু জেফ্রির চাহিদার জোগান দিতেন তা-ই নয়, ইংল্যন্ডের রাজপুত্র অ্যান্ড্রু, যার নামও একবার যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল, তার সঙ্গেও দহরম মহরম ছিল ম্যাক্সওয়েলের। এমনকি বিষয়টি গল্পোচ্ছলে একবার কেটকে বলেও ফেলেছিলেন জেফ্রির প্রেমিকা। জেফ্রির অত্যধিক কামনেচ্ছার কথাও এভাবেই মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল।
