জি বাড়লেও মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি বাড়েনি
অনলাইন ডেক্সঃ
টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিতে ফাইভ-জি বলতে বোঝায় পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
দেশে একসময় শুধু জি ছিল। এরপর টু থেকে থ্রি, থ্রি থেকে ফোর। এখন এলো ফাইভ। কিন্তু জি বাড়লেও মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি বাড়েনি।
প্রায় দুই বছর আগ থেকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন ক্রমে বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের গ্রাহক বাড়ছে। বর্তমানে তা বাংলাদেশেও শুরু হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফাইভ-জি পুরোপুরি চালু হলে দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে আসবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। প্রতিশ্রুতির মধ্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা, ইন্টারনেট আইওটি ডিভাইস চালানো এবং সামগ্রিক ইন্টারনেট অভিজ্ঞতায় ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসার কথা বলা হচ্ছে।
দেশের ৬ এলাকায় ফাইভ জি চালু হয়েছে। এ মাসে রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারিভাবে ফাইভ-জি শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জানাগেছে, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এই সেবা চালু করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষা মূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে এই পরিষেবা চালু করেছে। তরঙ্গ নিলাম হওয়ার কথা রয়েছে আগামী বছরের মার্চে। সংশ্লিষ্টদের আশা, এর পরে বে-সরকারি অপারেটররা ফাইভ-জি চালু করতে পারবে।
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে সারা বিশ্বে তলানিতে বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি। কখনো কখনো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভয়েস কলও ড্রপ হয়। এ দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলক কাজই মনে হয় রিলোড দেওয়া। কারণ একটি ওয়েব পেজ যখন সহজে লোড হয় না, তখন ধৈর্য ধরতে ধরতে ক্লান্ত গ্রাহকদের বারবার লোড দেওয়া ছাড়া উপায় নাই।
দেশের আটানব্বই ভাগ ভূখণ্ডে দ্রুতগতির ইন্টারনেট রয়েছে প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিকিউএল সূচক প্রকাশ করে। এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১শ ১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১শ ৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে।
সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে।
