খাগড়াছড়ির কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয়ে ইটভাটা, শঙ্কিত স্থানীয়রা
প্রতিনিধি খাগড়াছড়িঃ
খাগড়াছড়িতে লোকালয়ে ও কৃষি জমির ওপর নতুন ইট ভাটা তৈরির কাজ চলছে। সেই সাথে চলছে বনাঞ্চলরে কাঠ পুড়ানোর প্রতিযোগীতা। জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়কের পাশে এমন কাজে স্থানীয়রা শঙ্কিত হলেও নীরব প্রশাসন। ভাটা মালিক বলছেন জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চলছে এ কাজ।
লোকালয়ের কাছাকাছি পরিবেশের জন্য হুমকি এসব ভাটা বন্ধে হস্তক্ষেপ চান পরিবেশকর্মী ও স্থানীয়রা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ব্রিক ফিল্ডের অনুমোদন নেই একটিরও। অথচ ৪০টির বেশি ইট ভাটা চলছে বছরের পর বছর ধরে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কমলছড়িতে বসত-বাড়ির কাছাকাছি টিনের ঘেরাও দিয়ে কৃষি জমিতে নতুনভাবে ইট ভাটা নির্মাণের কাজ চলছে।
প্রচলিত আইনে জনবসতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাননের পাশে ইটভাটা নির্মাণ কড়া বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করেই এই ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে পরিবেশ সংকটাপন্ন। শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেই শুধু কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন করে শেষ নয়, ইট তৈরীতে পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি ও বনাঞ্চলের কাঠ পুড়িয়ে চলছে জেলার ইট ভাটা গুলো। লোকালয়ের কাছাকাছি পরিবেশের জন্য হুমকি এসব ভাটা বন্ধে হস্তক্ষেপ চান পরিবেশকর্মী ও স্থানীয়রা।
২০১৪ সালের ১ জুলাই ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন কার্যকর হওয়ার ২ বছরের মধ্যে সনাতন পদ্ধতির ভাটা গুলো বিলুপ্তির কথা থাকলেও খাগড়াছড়িতে এখনও চলছে। নতুন করে ভাটা স্থাপনে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে দাবি ভাটা মালিক মোঃ হারুন।
খাগড়াছড়ির পরিবেশ রক্ষা, কৃষি জমির ও লোকালয়ের কাছাকাছি পরিবেশের জন্য হুমকি এসব ভাটা বন্ধ হস্তক্ষপ চান পরিবশকর্মী ও স্থানীয়রা।
