ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক ফকির (ফজল) এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) উপজেলা আ.লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম আহবায়ক এএনএম শোভা মিয়া আকন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর আকন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান মাস্টার, প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি ত্রিশাল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম জহির সরকার, আ.লীগ নেতা হাবীবুর রহমান মাস্টার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আ.লীগ নেতা নয়ন তালুকদার।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, আ.লীগের দুর্দিনে রাজনীতি করে উপজেলায় আ.লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ফজলুল হক ফকির সহ কয়েকজন। তাদের আমরা ভুলতে বসেছি। তরুণদের সামনে তাদেরকে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। আওয়ামী রাজনীতিতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আ.লীগ নেতা ফজলুল হক ফকির (ফজল)
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ করে আসা ত্যাগী নেতাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন মরহুম ফজলুল হক ফকির। তাকে সকলে ফজল নেতা বলেই জানতো। স্কুল জীবন থেকেই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এ নেতা। সমাজ সংস্কারে ছিলেন এক প্রতিবাদী নেতা। রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে সততায় সারা জীবন নিজেকে রেখেছেন সাদামাটা। কখনো সামাজিক নেতৃত্ব, কখনো সাংস্কৃতিক অঙ্গণে, রাজনৈতিক দলকে বাঁচায়ে সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন তিনি।
পরিবার ও স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নেতা ত্রিশাল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ত্রিশাল নজরুল একাডেমী (দরিরামপুর হাই স্কুল) থেকে মেট্রিক পাশ করে ভর্তি হয় ত্রিশাল নজরুল কলেজে। ১৯৭৯ সালে ত্রিশাল নজরুল ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সংগ্রামী নেতার ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও ত্রিশালে ঐতিহ্যবাহী শুকতারা সংঘের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯২ সালে এক মরণ ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ঠা ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
