

চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুল্যের ৮০ কেজি গাঁজাসহ পিছু ঝড়া (২৫) ও বিশাল (১৯) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাতছড়ি বিওপির সীমান্ত মেইন পিলারের ১০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যান্তর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক পিছু ঝড়া উপজেলার সাতছড়ি পূর্বটিলার সুরেশ ঝড়ার পুত্র ও বিশাল সাতছড়ি বাংলোটিলার ঠাকুর বড়াইয়ের পুত্র।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ানের (৫৫ বিজিবি) পরিচালক ও অধিনায়ক এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী, বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত পরিমান গাঁজাসহ দুই জনকে আটক করা হয়। আটককৃত গাঁজার মূল্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান- এসময় বিজিরি উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৫ আসামী পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলো- কৃষান গোয়ালা (২২), নিতাই (২০), মিজান ভৌমিক (২০), সুরুজ বড়াই (১৭), খোকন গোয়ালা (৩৫)। আটককৃত আসামীদেরকে চুনারুঘাট থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।
লাখাই প্রতিনিধিঃ লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী নারী জানায়- উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের জাহির উদ্দিন ছেলে ফয়সল মিয়ার (২১) সাথে দির্ঘদিন যাবৎ পরকিয়া সম্পর্ক ছিল তার। দুইমাস পূর্বে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। রোববার রাতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে একটি খামারের কাছে নিয়ে যায় ফয়সল। তখন ফয়সল মিয়া ও তার বন্ধু কবির চৌধুরি (২৮) তাকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের দুজনকে আটক করে।
পরে বিষটির মিমাংশার আশ্বাস দিয়ে পরিবারের লোকজন তাদের নিয়ে যায়। কিন্তু তিনদিন অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় বুধবার সকালে ধর্ষণের অভিযোগে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শায়েস্তগঞ্জ উপজেলার কলিমনগর এলাকায় মটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আব্দুস সালাম মিয়া (২৪) নামে এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুস সালাম বানিয়াচং উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের দাইম উদ্দিনের ছেলে এবং আহত রতন মিয়া শায়েস্তগঞ্জ উপজেলার তালুগড়াই গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার ছেলে।
সূত্রে জানা যায়- ওই সময় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে হবিগঞ্জ রওনা দেন দুইজন। পথিমধ্যে কলিমনগর এলাকায় পৌঁছলে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে অভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্তলে সালাম মিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রতন মিয়াকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুলাভাইয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় মাকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়ে ও জামাতা।
এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে ও জামাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব চলে যান।
এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শালিকা শান্তি বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। একাধিকবার তারা দুইজন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে নিহত ছলেমা বেগম (মোগল মিয়ার শ্বাশুড়ি ও শান্তি বেগমের মা) দেখে ফেলেন।
এ সময় মেয়ে ও জামাতার সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে দুজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন। কিন্তু এরপরও তাদের অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে। ঘটনার দিন (১ আগস্ট) ঈদের রাতে তারা আবারও অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। ছলেমা বেগম তাদেরকে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় জামাতা মোগল মিয়া ও ছোট মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে যান এবং শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তিনি জানান তার মাকে ডাকাতদল গলা কেটে হত্যা করেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে কীভাবে কাজ হবে সেজন্য একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রেড জোন- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত শিফটে কৃষিকাজ করা যাবে
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে, তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।
৩। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করবে।
৪। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবে।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সিতে বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে জোনের ভেতরে কোনও যান চলাচল করবে না।
৭। জোনের ভেতর ও বাইরে মালবাহী জাহাজ কেবল রাতে চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
ইয়েলো জোন- মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে এবং জনসংকীর্ণ কারখানায় ৩৩ শতাংশ কর্মী বর্ধিত শিফটে কাজ করতে পারবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে। বাকিরা বাসা থেকেই কাজ করবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি বা ট্যাক্সিতে একজন করে চলাচল করবে, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করা যাবে।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভিতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে, রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু নিত্যপ্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে। স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
১১। মসজিদ, উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
সবুজ জোন, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কাজ করা যাবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে, তবে প্রয়োজন ছাড়া কিংবা আড্ডা দেওয়ার জন্য বের হওয়া যাবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভেতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, সেলুন, বাজার ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীর নমুনা পরীক্ষার সহজগম্যতা থাকতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ-উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
এছাড়া সব জোনের জন্য পালনীয় সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে-
১। এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২। করোনা রোগ/সংক্রমণ শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
৪। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।
৫। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৬। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনগণ এক জোন থেকে অন্য জোনে যাতায়াত করতে পারবে না। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭। এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাঈল হোসেনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রলীগের আরও চার নেতা আছেন। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাবিল ইসলাম (২২), মো. তিমন (২২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা (২৩) ও সহসম্পাদক এস এম জাকির হোসেন (২২)। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলা শহরের হালদারপাড়া ও বাগানবাড়ি এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় হালদারপাড়া ও বাগানবাড়ি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে রাতে বাগানবাড়ির খানকা শরীফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শহরের বাগানবাড়ি, মধ্যপাড়া, হালদারপাড়া, বিরাসার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিকাঈলসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বিকেলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের পাঁচ নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ অস্ত্র আইনের মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।