
শুরুটা হয় গত বছর। মোহাম্মদপুরে নাফিসা আনজুম খানের বাসা থেকে খাবার সহযোগিতার মধ্য দিয়ে। এরপর নাফিসা নিজেই সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেন। বাড়তে থাকে সহযোগিতার পরিধি। বাড়ি থেকে মহল্লা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা।
এবার ঢাকার বাইরেও মিলবে নাফিসার সহযোগিতার হাতের ছোঁয়া। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধে দেশজুড়ে নাফিসা মধ্য ও নিম্নবিত্তের ঘরে খাদ্য উপহার নিয়ে হাজির হবেন। আমজনতাসহ সব শ্রেণির সহযোগিতা পৌঁছে দিবেন খাবারের সন্ধানে থাকা মানুষদের কাছে।

নাফিসার এ মহতী উদ্যোগে শুরুতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তার পরিবার, পরিচিতজন, নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত কাছের মানুষ। বর্তমানে তিনি অনেকের কাছ থেকেই সহযোগিতা নিয়ে গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া অর্থ দিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ সময় উপযোগী খাদ্যসামগ্রী কিনে পৌঁছে দেন তিনি।
কোন অনুপ্রেরণা থেকে এমন উদ্যোগ নিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে নাফিসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনুপ্রেরণা হিসেবে আসলে কাজ করেছে আমার দেশ। ৫২-এর যুদ্ধ জয়। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়। এই করোনা মহামারির যুদ্ধকে জয় করতে পারব না, এটা কখনও মনেই হয় না। সব সময় আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে অবশ্যই জয় হবে। সুতরাং আমার দেশ আমার অনুপ্রেরণা।

এ বছরে কাজের পরিকল্পনা সম্পর্কে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এ বছরও একইভাবে কাজ করব। তবে গতবছরের চেয়ে কাজটা সাজিয়ে করব। এবার অভিজ্ঞতার আলোকে কাজগুলো যেন আরও ভালো করে সম্পাদন করা যায় সেই চেষ্টা করব। এবার মধ্যবিত্তদের বেশ প্রাধান্য দেবো। তাদের নিশ্চুপে খাবার পৌঁছে দেবো। এবার দরজার সামনে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পর তাকে জানাব। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার আরও বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।
অর্থের যোগান কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে নাফিসা বলেন, ফান্ডিংটা আসলে আমজনতার। আমার সঙ্গে যে যেভাবে চায় সেভাবে যুক্ত হতে পারে। যে কেউ ২০ টাকা ডোনেট করেও যুক্ত হতে পারে। আমার কাছে আসলে অ্যামাউন্টটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেউ চাইলে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ হয়তোবা তার বাসার বাড়তি খাবার দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। ধরুন, বাসায় ৫ কেজি আলু কিনেছি, এখান থেকে দুই কেজি দিতে চাই।

এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের পরিবারের অনেকের চাকরি চলে যায়, অনেকেই কিছু চাইতে পারেন না আবার বলতেও পারেন না। বিষয়টি কেমনভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে নাফিসা বলেন, মধ্যবিত্ত তো আমরাও। আসলে চাকরি যদি চলে যায় তাহলে আমি হুট করেই অপরিচিত কারও কাছ থেকে সহযোগিতা চাইতে পারব না। এজন্যে আমি ব্যানারটা পরিবর্তন করেছি।

নাফিসা বলেন, গত বছর ব্যানারে লেখা ছিল যে, বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ। এবার লেখা হয়েছে খাদ্য উপহার। সুতরাং উপহার এমন একটা জিনিস- যে কেউ নিতে পারেন এবং দিতে পারেন। আমি ঢাকা পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে বলব যে, এ সময়টা একটা ক্রাইসিসের সময়। এ সময়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। উপহারটা আপনার জন্যেই। উপহার নেওয়ার জন্যে আমাকে যেকোনো সময় জানাবেন। আমি কথা দিচ্ছি আপনার সম্মতিতে এবং আপনার নাম পরিচয় গোপন রেখেই এটা আপনার কাছে পৌঁছে দেবো।নার বিষয়ে নাফিসা বলেন, বিধিনিষেধ খুব কড়াকড়ি হবে শুনলাম। আসলে আমার ব্যানারটা অনেক সম্মান পেয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে আমি আমার এই ব্যানার ও সিএনজি নিয়ে মুভ করব। পরিকল্পনা হচ্ছে আমাকে যারা এসএমএস ও ফোন কল করে জানাচ্ছেন সহযোগিতার কথা, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করা। যাচাই-বাছাই করে একদম সঠিক জায়গায় সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আলাপকালে নাফিসা বলেন, লকডাউনে চলাফেরায় কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়নি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা আমার এ ব্যানার দেখে বরং সহযোগিতা করেছেন। সবমিলিয়ে মানুষের ভালোবাসা আমাকে আরও বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) মানিকগঞ্জ থেকে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে নাফিসা বলেন, রোজার কিছু খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলাম। সারাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে আমাদের খাদ্য উপহার দেওয়া শুরু হবে। গতবছর শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক ছিল। এ বছর ঢাকার বাইরে আমার প্রতিনিধি আছে। তারা আমাকে সঠিক তথ্য দিলে সেই তথ্য আমি আমার মাধ্যমে যাচাইবাছাই করে খাবার পৌঁছে দেবো। কোথাও যদি আমার একদমই যাওয়ার প্রয়োজন হয় সেখানে যাব।
নাফিসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমার মুঠোফোনের নম্বরটি (01711085064) দেওয়া আছে। এছাড়া আমি যে সিএনজিতে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি, সেখানেও নম্বরটি বড় করে লেখা আছে।
কাজ করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জও নিতে হয়। এ বিষয়ে নাফিসা জানান, অনেকেই অসৎ আচরণ করেন। সাহায্য বেশি পাওয়ার লোভে একই পরিবার থেকে একাধিক জন ফোন বা এসএমএস করেন। এগুলো আসলে আমরা যাচাইবাছাই করেই দেই।
তরুণদের উদ্দেশ্যে নাফিসা বলেন, আসলে যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চান বা হয়েছেন তাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভ কামনা। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। একে জয় করতে হলে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কাউকে খাদ্য দিয়ে সহযোগিতার করার মতো মহৎ কাজ আর হয় না। তাই যে যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসা উচিত।
লালনকন্যা ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর জানান, ‘কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন আম্মা। গত ৭ এপ্রিল তার করোনা টেস্ট করা হয়। ৮ এপ্রিল পজিটিভ রিপোর্ট পাই। বর্তমানে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় তার চিকিৎসা চলছে।’
নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানে ক্যারিয়ার শুরুর পর লালনসংগীতে মনোনিবেশের পর শ্রোতাদের মাঝে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পান ফরিদা পারভীন। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। করোনার ২য় ঢেউয়ে প্রতিদিনই ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। এমন একটি ভাইরাস যা ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রী, ধনী, গরীব, যুবক, বৃদ্ধ কাউকে চিনছে না। কে কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন তা নিজেও জানতে পারেন না। সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন না মরণঘাতি এই ভাইরাসের হাত থেকে। করোনায় মারা যাচ্ছেন ধার্মিক, অধার্মিক, গরীব, ধনী থেকে ভিআইপি, এমপি, মন্ত্রীরা। ভিআইপিরা যে যার মতো সাবধানতা অবলম্বন করে চলার চেষ্টা করছেন। আক্রান্ত হলেও সর্বোচ্চ ভাল চিকিৎসা নিচ্ছেন তবুও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় সবাইকে সাবধান থাকতে বলছেন, মাস্ক ব্যবহার, বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। করোনার প্রকোপ বাড়াতে লকডাউনও দিয়েছে সরকার। কিন্তু জনগণ যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছেন। তাই বেড়েই চলেছে করোনা। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে সরকারের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপসহ অন্তত ৩০ জন সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর ২ জন সদস্য ও সম্পাদকমন্ডলীর ২ জন সদস্য। জাতীয় সংসদ ও আওয়ামী লীগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৪ আসনের এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী করোনা আক্রান্ত।
এছাড়া কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি শাহীন আক্তার (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী ), কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আব্দুল মজিদ খান, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজির আহমেদ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিম, বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু করোনাভাইরাতে আক্রান্ত। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাহিদ ইজহার খান, শিরীন আহমেদ, জান্নাতুল বাকিয়া, অ্যারোমা দত্ত, রওশন আরা মান্নান, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন আক্রান্ত। সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী করোনা আক্রান্ত। ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (নায়ক ফারুক) করোনা নেগেটিভ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে আইসিইউতে রয়েছেন।
করোনা নেগেটিভ এলেও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও ৬ এপ্রিল রাতে পুনরায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। এর আগে করোনা পজিটিভ আসায় ঢাকায় নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।
গত ৩১ মার্চ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন বুথে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ ও ভালো আছেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আগে ২ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন তিনি। ৩ এপ্রিল সকালে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
টিকা নেওয়ার প্রায় দুই মাস পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। গত ৩০ মার্চ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে নমুনা দিয়ে আসার পর ৩১ মার্চ দুপুরে তিনি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পান। বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
গত ৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে করোনার নমুনা দিলে ৪ এপ্রিল পজিটিভ রিপোর্ট আসে টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। বর্তমানে ঢাকায় তার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে। টিকা নেওয়ার দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। গত ২৫ মার্চ করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। এর আগে গত ২৩ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো. সেলিম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই জ্বর আসে কবরীর। শরীরে ব্যথাও ছিলো। করোনা নমুনা পরীক্ষা হলে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। গত ২১ মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালটির আইসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন। পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা বেশ গুরুতর বলে জানিয়ে তার ছেলে শরৎ বলেন, বাবার রক্তে ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকস্থলীতে ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হয়েছে। গত ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ফারুক। সেখানে গিয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর আগে রক্তে সংক্রমণ ও টিবি ধরা পড়ার কারণে তাকে সিঙ্গাপুরেই প্রায় ৪৭ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে নিয়মিত চেকআপের জন্য গেলে সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে করোনায় মারা গেছেন বেশ বর্তমান সংসদের বেশ কয়েকজন এমপি এবং সাবেক এমপি। এর মধ্যে রয়েছেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকার সাবেক এমপি হাজী মকবুল হোসেন, নওগা-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক এমপি তোয়াবুর রহিম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আনোয়ারুল কবির তালুকদার, সাবেক এমপি আবু হেনা, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা এটিএম আলমগীর।
দেশের সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও করোনায় মারা গেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর, এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. নাজমুল করিম, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা.) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত, খ্যাতিমান প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী, টিভি ব্যাক্তিত্ব প্রযোজক, নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা, আবৃত্তিকার মোস্তফা কামাল সৈয়দ, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই, এনটিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক সুমন মাহমুদ, দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন, ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার গীতিকার আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-২ ফরিদুল হক খান দুলাল, সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সাবেক হুইপ নওগাঁ-২ আসনের শহিদুজ্জামান সরকার, রেল মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, যশোর-৪ আসনের এমপি রণজিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোসলেম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এবং গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাটের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মানব বন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) উপজেলার বৈলর ইউনিয়ন ফোরামের উদ্যোগে ও ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকাল ১১ টায় সম্মুখ বৈলর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাড়িয়ে ঘন্টা ব্যাপি মনব বন্ধন করে ইউনিয়ন ফোরামের সদস্যরা। মানববন্ধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন ফোরামের সভা প্রধান মোছাঃ হাসনা বেগম, সাধারন সম্পাদিকা রাশিদা বেগম, কোষাধক্ষ্য রোমেচা বেগম ও জহিরুল ইসলাম মাঠ সংগঠক ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তি পেলে এবং লেখা পড়ার সুযোগ পেলে নারীরা সমাজ ও দেশ গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারবে।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় বুধবার (১০ মার্চ) নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উপজেলা নেটওয়ার্কিং এর ত্রৈমাসিক সভা স্বাবলম্বী অফিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোছাঃ হাসিনা বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এসআই নিরুপম নাগ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার সহ সম্পাদক বাবলী আকন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর মনোয়ারুল ইসলাম সেলিম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলমগীর হোসেন, মোঃ খালিদ, জ্যোতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের ছিন্নমূল পরিবারের শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা ও যত্ন নিতে মায়েদের মাঝে ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেস্ট (আইএসপিপি) যত্ন প্রকল্পের আওতায় নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর বাস্তবায়নে ও সাখুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে এ টাকা বিতরণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ গোলাম ইয়াহিয়া। ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেপ্টিনেন্ট প্রোগ্রাম এসিস্ট্যান্ট- এসপিএ শামিম হোসেন, ইউপি সচিব জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামান মন্ডল সহ প্রকল্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
এই প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মোট ১০৬৮ জন ভোক্তভোগীর মাঝে সর্বমোট ৮৪ লাখ ৯৪ হাজার ২শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে এ টাকার সঙ্গে চিকিৎসায় খরচ হওয়া বিল যুক্ত হবে। এসব হিসেব রাখার দায়িত্বে আছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ গোলাম ইয়াহিয়া।
মোমিন তালুকদার,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠ সংলগ্ন ময়লার স্তুপ থেকে এক নবজাতক ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় এই নবজাতকটি কুকুরে টানা হেচরা করতে দেখতে পেয়ে হাসপাতালে থাকা লোকজন হইচই শুরু করেন। মুহুর্তেই ত্রিশালের বিভিন্ন এলাকায় সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে মৃত নবজাতক ছেলের লাশটি উদ্ধার করে ত্রিশাল থানা নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে উদ্ধার কাজে থাকা ত্রিশাল থানা এসআই তাফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এলাকার বিশেষ সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতাল এলাকার ময়লার স্তুপ থেকে মৃত নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা লাশটি রেখেগেছে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনিও সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমিও এই ঘটনার সংবাদ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সকালে আইডিয়াল প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে একশত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শরাফত আলী মন্ডল, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবিয়া সুলতানা, সহকারী শিক্ষক এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম, ফকরউদ্দিন আহমেদ,লায়লা বেগম, মোঃ আলী, কামরুন নাহার, স্বপ্না আক্তার, হাবিবা খাতুন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৬৮ নং কোনাবাড়ী জি.সি সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয়। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুনামের সাথে শিক্ষাপাঠ পরিচালনা হয়ে আসছিল। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আজ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
কালের বিবর্তনে স্কুলটির পুরনো শিক্ষক মন্ডলী, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও জমিদাতারা হারিয়ে যায়। পরির্বতন হয় স্কুলের কমিটি ও শিক্ষক মন্ডলী। তাদের নতুন দায়িত্ব পুরনো নিয়মনীতি চলতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে বার বার বাধার সম্মখিন হচ্ছে। তবুও নানা ধরনের সমস্যার মধ্যেও সফলতার সাথে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে জি.সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আশপাশের গ্রাম থেকে এখানে পড়াশুনা করতে আসেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের চারপাশে পুকুর পাড়। আতঙ্কে শিশু শিক্ষার্থীরা। আর স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি পুকুরের পানি দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়েছে যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। স্কুলে আসার সময় পুকুর পাড়ের দু’পায়ের রাস্তার জন্য শিক্ষার্থীরা পরে গিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম হয়। স্কুলের জমি মৎস্য চাষিদের ফিসারীতে চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাদুলা ও আগের মত শরীরচর্চা করতে পারছেনা। খেলার কোন উপকরণ পুকুরে পরে গেলে সাঁতার না জানা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পুকুর থেকে তুলে আনেন। বিদ্যালয়ের চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নেই এবং নিদির্ষ্ট খেলার মাঠ না থাকার কারনে ছোট পরিসরে খেলাদুলা করে শিক্ষার্থীরা। যার কারনে মাঝে মধ্যেই খেলার সামগ্রীগুলো পুকুরে পরে যায় এটাও একটা বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ। একারণে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলের মাঠ বড় না থাকায় স্কুলের সামনের খালি যায়গা ও বারান্দায় খেলা করি। অনেক সময় পুকুরে খেলনা পরে গেলে সেটা আনতে পুকুরের পানিতে সাঁতার না জানা সহপাঠীরা ডুবে যাওয়ার ভয়ে খেলনা আনতে যায়না। আবার অনেকেই বাঁশের লম্বা লাঠি দিয়ে আনার চেষ্টা করি। মাঠের চারিদিকে বাউন্ডারি না থাকলে আমরা খেলবো কোথায়। তাছাড়া আমরা অনেকেই সাঁতার জানিনা ভয় লাগে যদি হঠাৎ খেলতে খেলতে পানিতে পরে যাই। তাই মন চাইলে সে ভাবে খেলতে পারিনা।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়টি অনেক পুরোনো কিন্তু সে অনুয়ায়ী সার্বিক উন্নতি হয়নি। দূর-দুরান্ত এখানে অনেক কোমলমতি শিশুরা পড়তে আসে। স্কুলটির নেই সীমানা প্রাচীর, নেই কোন ভালো খেলার মাঠ এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান সম্ভব নয়। স্কুলের চারিদিকে পুকুর যেকোন সময় আমাদের শিশুরা পানিতে পরে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ স্কুলটি আমাদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ নয়, কদিন আগেই দেখলাম পুকুর পার ভেঙ্গে গেছে। স্কুল এর চারিদিকে বাউন্ডারি দেয়াল নেই, যেটুকু সময় ছাত্ররা বারান্দায় খেলে তাও আবার কিছু পুকুরে পরলে পুকুরের মালিকরা খেলার সামগ্রী আনতে দেয়না। এত সমস্যার মাঝে কিভাবে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা স্কুলে পাঠাবো?
কোনাবাড়ী জি.সি সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, পুকুর পারের চারিদিক দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার কোন রাস্তা নেই, চারিদিকে শুধু ফিসারী, ফিসারির পাড়ের দু’পায়ের রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে, এ কারনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। অনেক সময় অবিভাবকগণ শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। তিনি আরো বলেন, পুকুর মালিকদেরকে বার বার অনুরোধ করেছি যদি রাস্তাটি একটু বড় করার উদ্যোগ নিতো তাহলে স্কুলের যাতায়ত ব্যবস্থা সুন্দর হতো ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করতো নিরাপদ ভাবে। তারা আমাদের কথাগুলো শুনছেন না বরং স্কুলের জমি তাদের পুকুরের দখলে চলে যাচ্ছে।
এবিষয়ে উপেজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিলোনা, সরেজমীনে গিয়ে বিষয়টি জেনে দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় তিনদিন আগে ‘অপহৃত’ এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, শুক্রবার সকালে সানজিদা আক্তার (৭) নামের ওই শিশুর লাশ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়।
সানজিদার বাবা শাজাহান আকন্দ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠান থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা একটি চিরকুটে লিখে যাওয়া নাম্বারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। কিন্তু পরে ওই নম্বারে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
বুধবার অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে তাদের বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। এ বিষয়ে বুধবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।সকালে জঙ্গলে লাশ পাওয়া গেল।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, “নাম্বার ট্র্যাকিং করে অপহরণকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছিল পুলিশ। এর মধ্যেই মেয়েটির লাশ পাওয়া গেল। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।