করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে কীভাবে কাজ হবে সেজন্য একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রেড জোন- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত শিফটে কৃষিকাজ করা যাবে
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে, তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।
৩। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করবে।
৪। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবে।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সিতে বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে জোনের ভেতরে কোনও যান চলাচল করবে না।
৭। জোনের ভেতর ও বাইরে মালবাহী জাহাজ কেবল রাতে চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
ইয়েলো জোন- মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে এবং জনসংকীর্ণ কারখানায় ৩৩ শতাংশ কর্মী বর্ধিত শিফটে কাজ করতে পারবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে। বাকিরা বাসা থেকেই কাজ করবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি বা ট্যাক্সিতে একজন করে চলাচল করবে, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করা যাবে।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভিতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে, রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু নিত্যপ্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে। স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
১১। মসজিদ, উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
সবুজ জোন, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কাজ করা যাবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে।
৪। ৩০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে, তবে প্রয়োজন ছাড়া কিংবা আড্ডা দেওয়ার জন্য বের হওয়া যাবে না।
৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভেতরে ও বাইরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, সেলুন, বাজার ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন টাকা জমাদান-উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। উক্ত এলাকার রোগীর নমুনা পরীক্ষার সহজগম্যতা থাকতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ-উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।
এছাড়া সব জোনের জন্য পালনীয় সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে-
১। এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২। করোনা রোগ/সংক্রমণ শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
৪। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।
৫। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৬। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনগণ এক জোন থেকে অন্য জোনে যাতায়াত করতে পারবে না। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭। এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
করোনার দুর্যোগে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয় এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ১১টি খাঁসি জবাই দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার এক যুবক।
ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে জেলা নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সোনাইর খামার গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হকের সন্তান খাইরুল ইসলাম(৪০)। নিজ অর্থায়নে এসব খাঁসি জবাই দিয়ে মাংস বিলিয়ে দেন দু:স্থ অসহায়দের মাঝে।
খাইরুল ইসলাম জানান, আমার বাবার কোন সম্পত্তি ছিল না। অন্যের দেয়া জমিতেই আমরা থাকতাম। অভাব অনটনের জন্য ২০০৬সালে এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় আমি ৮/৯বছর বয়সে আমি সেনাবাহিনীর ব্যক্তিগত গৃহপরিচারক হিসেবে কাজ শুরু করি। ঐ স্যারদের সাথে পোস্তগোলা ক্যান্টনমেন্টের ৫আরই ব্যাটালিয়নের ইঞ্জিনিয়ার কোরসহ যমুনা,কাপ্তাই এবং নাটোরের ব্যাটালিয়নে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। সেনাবাহিনীর মানবিকতায় আজ আমার অভাব নেই । পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ সুখেই আছি সকলের দোয়ায়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গত সোমবার নিজ উদ্যোগে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ,সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার নামে আল্লাহর দরবারে জানের বদলে জান কোরবানি দেই। যেন তারা দীর্ঘায়ু লাভ করেন এবং করোনাসহ যেন কোন মহামারীতে সহিসালামতে থাকেন।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সেখানে কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার ভালবাসা এবং সাহচার্যে তার জীবনের অনেক পরিবর্তন এসেছে।
গ্রামের বাসিন্দা শাহীন কবির মন্ডল, শাহানুর রহমান, রেজাউল কবীরসহ বেশ কয়েকজন জানান,দেশের কর্ণধারদের দীর্ঘায়ু কামনা করে যে মানত করেছে সেটা নি:সন্দেহে ভালো উদ্যোগ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় জনসমাগম রক্ষা করে এসব খাঁসির মাংস গুলো বিতরণ করেছেন। দেশবাসী ও বিশ্ব করোনা ভাইরাস মুক্তির জন্য মাংস বিলি করার আগে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন,ঘটনাটি আমি শুনতে পেরেছি। খাঁসি জবাই দেবার বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। এমন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড সত্যি প্রশংসনীয়। তিনি বলেন,দেশের এই ক্রান্তিকালে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহবান জানান।
করোনা মহামারিতে চাল কান্ডের শেষ যেন হচ্ছেই না দেশে। এই কার্ড গরীব ও দুস্থ মানুষের পাওয়ার কথা থাকলেও দিনাজপুর পৌরসভার ১০,১১,১২ নাম্বার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাজতুরা বেগমের ছেলে মিরেজ হোসেনের নামেও এসেছে।
আর ছেলের কার্ড পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রকাশ্যে সমালোচনাও করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, দিনাজপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মারতুজা বেগম ও ১২ নং ওয়ার্ডের খাইরুল ইসলামের ছেলে মিরেজ হোসেনকে যে কার্ড দেয়া হয়েছে সেখানে তার পেশা দেখানো হয়েছে একজন কৃষক হিসাবে।
কিন্তু আসলে তিনি একজন ব্যবসায়ী। ৫৬১০ নাম্বার কার্ডধারী মিরেজের পেশা সম্পর্কে তার মা মারতুজার দাবি, তার ছেলে একজন ব্যাবসায়ী।
কাউন্সিলর মারতুজা বেগম জানান, আমার ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। ব্যবসাকরে সংসার চালাতে ওর কষ্ট হয় বলে আমার কাছে একটা কার্ড চেয়েছিল।
তাই দিয়েছি। সবাইতো আর ধনী হয়না। তবে এত কথা যখন হচ্ছে তখন কার্ডটি বাদ দিয়ে দেন। এ বিষয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আমরা এরকম অভিযোগ আরও কিছু পেয়েছি।
যার প্রেক্ষিতে এখন দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ৬ হাজার বিশেষ ওএমএস-এর কার্ড জেলার ১২টি সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে পুনরায় যাচাইবাছাই করা শুরু করেছি।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি মহোদয়ের কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপির নির্দেশে গরীব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় কৃষক পার্টি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বে ৭ নং রামজীবন ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সাইদুল ইসলামের ২ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়ে সহায়তা করলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক পার্টি। আজ বুধবার সকাল ৯ টায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক পার্টির সভাপতি গোলাম মোস্তফা,সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম,পৌর কৃষক পার্টির সভাপতি রিপন সরকার এই ধান কাটা কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন। ধান কাটা বিষয়ে কথা হলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান- সুন্দরগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এম,পি’র নির্দেশে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধান কেটে দিচ্ছে কৃষক পার্টি।
তিনি আরও বলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ধান কাটার কার্যক্রম চলবে পর্যায়ক্রমে।তাদের কে এই ধান কাটার ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করেন স্থানীয় সাংসদ এবং জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব( রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এম,পি। ধান কাটা কার্যক্রমে উপজেলা কৃষক পার্টির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক পার্টির নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।

নীলফামারী ডিমলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে মধ্যরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম পিপিএম)।
বৃহস্পতিবার(২এপ্রিল)দিনগত মধ্যরাতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিমলা উপজেলার দুই শতাধিক অতি দরিদ্র,দিনমজুর,হরিজন সম্প্রদায়,প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ সব খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিতরণের সময় পুলিশ সুপার সরেজমিনে পায়ে হেটে উপজেলার বাবুর হাট সদরের সরকারি মহিলা কলেজ পাড়া,টিএন্ডটি মোড়,পোস্ট অফিস মোড় ও দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নি¤œ আয়ের কর্মহীন হয়ে পড়া অতি দরিদ্র ওইসব স্বল্প আয়ের অর্ধশতাধিক বাড়িতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ তুলে দেন এবং মাস্ক পড়িয়ে দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল নাগরিকদের দায়িত্বের বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল,ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মফিজ উদ্দিন শেখ,ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা জনি, থানায় কর্মরত বেশকিছু এসআই,এ এসআই, পুলিশ সদস্য,ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন,সাংবাদিক মহিনুল ইসলাম সুজন, গোলাম রব্বানী প্রমুখ।পরে ডিমলা থানা পুলিশ ডিমলা সদরের এক শতাধিকের মধ্যে অবশিষ্ট অর্ধশতাধিক,উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক পরিবারকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের একই প্যাকেট পৌছে দেন।
খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ হিসেবে এতে ছিলো, ৫ কেজি চাল,২কেজি আলু,১কেজি মসুর ডাল,১লিটার ভোজ্য তৈল, পেঁয়াজ,মরিচ,লবন, ১টি কাপড় কাছা সাবান,১টি গোসল করা সাবান।

ডেস্ক: প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে উন্নত মানের লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনি আবিষ্কার করা হয়েছে। খনিটির ব্যাপ্তি ছয় থেকে ১০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে সোনার অস্তিত্বের পাশাপাশি কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে। এক হাজার ১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরের সন্ধানও মিলেছে।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) কর্মকর্তারা দুই মাস ধরে কূপ খনন করে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জিএসবির উপপরিচালক (ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ার) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘গত ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়। ৩০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ একটি দল তিন ধাপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অবশেষে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেই সাফল্য পেয়েছি। এর ফলে এই অঞ্চলের প্রেক্ষাপট পাল্টে যাবে।’
খনন কাজে নিয়োজিত জিএসবির উপপরিচালক মোহাম্মদ মাসুম আজ সকালে সাংবাদিকদের জানান, এর আগে ২০১৩ সালে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এই গ্রামের তিন কিলোমিটার পূর্বে মুশিদপুর এলাকায় কূপ খনন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছিল। সেই গবেষণার সূত্র ধরে দীর্ঘ ছয় বছর পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়।
এরপর এক হাজার ৩৮০ থেকে এক হাজার ৫০০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত খননকালে সেখানে লোহা থাকার সম্ভাবনা দেখা যায়। এই খবর পেয়ে ২৬ মে জিএসবির মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সুখবর না দিলেও লোহার খনি আবিষ্কার হতে চলেছে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার ফলে এক হাজার ৭৫০ ফুট গভীরতা খনন করে লোহার খনি আবিষ্কার করা হয়েছে। এখানে প্রায় ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার আকরিকের মজুদের একটি স্তর পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলে ৬০ কোটি বছর আগে সমুদ্র ছিল। সেই কারণে এখানে জমাট বাঁধা আদি শিলার ভেতরে লোহার আকরিকের এই সন্ধান পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ মাসুম জানান, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার করা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের আকরিকে লোহার শতাংশ ৬৫-এর ওপরে। কানাডা, চীন, ব্রাজিল, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে উত্তোলিত লোহার মান ৫০ শতাংশের নিচে। জয়পুরহাটে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) পরীক্ষাগার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ‘খনিটির ব্যাপ্তি ৬-১০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে স্বর্ণের অস্তিত্বের পাশাপাশি কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে।
রংপুর-৩ উপনির্বাচনে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে জাতীয় পার্টি ও মহাজোট প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ (সাদ এরশাদ)-কে বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫২টি কেন্দ্রে সাদ এরশাদ পেয়েছেন ৪৯০০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিধন্ধি ধানের শীষ- ১৩৭১০ ও মটর গাড়ি- ১৩২৮৯ ভোট পেয়েছে।
এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমান ধানের শীষ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ মোটরগাড়ি, এনপিপির শফিউল আলম আম প্রতীক, গণফ্রন্টের কাজী শহীদুল্লাহ মাছ প্রতীক এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বোরকা পরা নিষিদ্ধের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন ওই হাসপাতালেরই পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। রোববার তিনি এ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
জানা গেছে, পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলামের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে দিয়ে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মালিকপক্ষ হাসপাতালের তার সঙ্গে অসদাচরণ করে। কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণে আহত হয়ে পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেন।
জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘ড্রেসকোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ নামে একটি নোটিশ জারি করে। এতে ছেলেদের ক্ষেত্রে হাফহাতা শার্ট, গেঞ্জি,পাঞ্জাবি,জিন্স প্যান্ট, সেন্ডেল ও ময়লাযুক্ত/তিলা পরা পোশাক এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বোরকা, হিজাব, শাড়ির ওড়না, প্লাজু, স্কাট পরিধান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়।
বিতর্কিত এ ড্রেসকোড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশেষত মেয়েদের বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি খোদ হাসপাতালের পরিচালকই।
মুসলিম যুবক হিন্দু প্রেমিকাকেই ৪ বার বিয়ে করলেন
জানা গেছে, ভারতের আইআইএম ইন্দোরের ছাত্র ফইজ রহমান ও অঙ্কিতা আগারওয়াল প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। এ সময় ধর্মকে পাত্তা দেননি এই যুগল। যে দেশে ধর্মকে ঘিরে বিদ্বেষ দিন দিন বেড়েই চলেছে, সে দেশেই ভালোবাসাকে পাথেয় করে এগিয়েছিলেন ফইজ ও অঙ্কিতা।
জানা যায়, ফইজ প্রগতিশীল মুসলিম পরিবারের ছেলে হলেও, অঙ্কিতা রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের মেয়ে। ফইজ ও অঙ্কিতার সম্পর্কের কথা শোনা মাত্রই অঙ্কিতার পরিবার জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই সম্পর্ক মেনে নেবে না।
পরিবারের কথা মানতে গিয়ে তখন দুজনেই ভেবেছিলেন সম্পর্কের ইতি টানবেন। কিন্তু সম্পর্কের ইতি টেনে দিলেও ৩-৪ দিন পরই তারা বুঝে গিয়েছিলেন যে, একে অপরকে ছেড়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই বিয়ে করে ফেলেন তারা।
এদিকে, অঙ্কিতার পরিবার এই বিয়ে মানতে চাইছিল না; কারণ তাদের ধারণা ছিল বিয়ের পর নিজের ধর্ম-জাতি সংস্কৃতি-নাম সবই বদলে ফেলতে হবে অঙ্কিতাকে। সাধারণত এমনই হয়ে থাকে।
কিন্তু ফইজ এমন নন, এ কথা পরিবারকে জানিয়ে দেন অঙ্কিতা। ধর্মের রীতি অনুসারে ফইজ চারবার বিয়ে করতে পারেন। এতে তাদের মেয়ে কষ্ট পাবেন এটা ভেবেও বারবার এ সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অঙ্কিতার পরিবার।
হঠাৎই একদিন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে অঙ্কিতার বাড়িতে হাজির হন ফইজ। তিনি অঙ্কিতার বাবাকে বুঝিয়ে বলেন যে, তাদের আদরের মেয়েকে ততটাই আদরে রাখবেন যতটা তারা রেখেছিলেন। কখনওই নিজের সংস্কৃতিকে ছাড়তে হবেনা। ধর্মও পরিবর্তন করতে হবে না এবং আমিষ খেতে হবে না।
ধর্মে যেহেতু চারবার বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হয় পুরুষদের তাই চার বারই অঙ্কিতাকেই বিয়ে করবেন তিনি। এমন আশ্বাসও সেদিন দিয়েছিলেন ফইজ। কিন্তু তাও মেনে নেয়নি অঙ্কিতার পরিবার।সম্প্রতি দু’বছর পূর্ণ হয়েছে ফইজ-অঙ্কিতার বিয়ের বয়স। কিন্তু দুজনের কাউকেই নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়নি। এর মধ্যে অঙ্কিতার পরিবারও ফইজকে আপন করে নিয়েছে। তাই এখন একই বাড়িতে ঈদ আর দিপাবলী একসঙ্গে পালিত হয়।
এরপর একটি রাম মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন ফইজ ও অঙ্কিতা। আইনি মতেও দুজন বিয়ে করেন। তারপর নিকাহ। বন্ধুদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নেবেন বলে দু’জন গোয়ার সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের নিয়ে যান। আর ফইজ তার কথা রেখে অঙ্কিতাকেই চার বার বিয়ে করেন।
অসীম জনপ্রিয়তা নিয়েই সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, জীবিত এরশাদের চেয়ে মৃত এরশাদ অনেক বেশি শক্তিশালী। পল্লীবন্ধুর জানাজায় মানুষের ঢলই প্রমাণ করে তিনি কত বেশি জনপ্রিয় ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর যমুনা ফিউচার পার্কের মহল মিলনায়তনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি ও জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত মিলাদ ও দেয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতি করছি। পল্লীবন্ধু দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি অনেক স্বপ্নই পূরণ করতে পারেননি, আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করব। পল্লীবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়ন শুরু করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর দেশের উন্নয়নের এই ধারা এগিয়ে নিয়েছেন সাবেক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আমরা সবাই মিলে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।
এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন রওশন। তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের মাঝে আছেন। আমরা তার অনুভবে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা পাই।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম।
উপস্থিত ছিলেন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, নুরে হাসনা লিলি চৌধুরী, এমএ মান্নান, এসএম ফয়সাল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শেরিফা কাদের, নুরুল ইসলাম নুরু, আহসান আদেলুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী মিলাদ ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ।