স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ২৪ টি দল নিয়ে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মমতাজ মেহেদী বিগ ব্যাশ লীগ’ ফুটবল টুর্নামেন্ট। রোববর সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লীগের লোগো উন্মোচন ও লীগের টাইটেল স্পন্সর চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এসময় পবহাটি বিশ ব্যাশ লীগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহাদুর রহমান খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান সবুজ, মমতাজ হারবাল প্রোড্রাক্টস এর বিশেষ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন লিটুসহ অন্যান্যরা। এসময় আয়োজকরা জানান, পবহাটি বিশ ব্যাশ লীগের আয়োজনে এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪র্থ আসর। লীগ ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলার ২৪ টি দল অংশ নিবে এ লীগে। ডে-নাইট ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত এ খেলার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। লীগটির স্পন্সর হিসেবে থাকছে মমতাজ মেহেদি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর শহরের পবহাটি ফুটবল মাঠে এ খেলার উদ্বোধন করবেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু।
স্পোর্টস আপডেট ডেস্কঃ চলতি বছর ব্যালান ডি’অর জিততে পারেন লিওনেল মেসি। এমন খবর চাউর হয়েছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলোতে। আর তেমনটা হলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দ্বৈরথে আবারও এগিয়ে যাবেন লিওনেল মেসি।
১৯৫৬ সাল থেকে ফ্রান্স ফুটবল নামের ক্রীড়া বিষয়ক পত্রিকা দিয়ে আসছে ব্যালান ডি’অর। প্রতিবছর বিশ্বের তাবৎ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বর্ষসেরাকে নির্বাচিত করতে ভোট দেন সাবেক ফুটবলার আর নামজাদা ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
২০১৮-১৯ মৌসুমে কার হাতে ধরা দেবে সোনালী বল? তার নিষ্পত্তি হবে ডিসেম্বরের ২ তারিখেই। তবে ইতোমধ্যেই ইউরোপের গণমাধ্যমে গুঞ্জন, ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ব্যালান ডি’অর পাচ্ছেন কাতালানদের অধিনায়ক। আর এমনটা হলে সি-আর-সেভেনের থেকে এলএমটেন’কে এগিয়ে রাখতে ভালো দলিল পাবেন মেসি সমর্থকরা। অবশ্য ২০০৯ সালে জেতা প্রথম গোল্ডেন বলটাই এখনও বেশি স্মৃতি-কাতর করে ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকরকে।
সংবাদ অনুযায়ী, বার্সেলোনা অধিনায়ককে এরমধ্যেই জানানো হয়েছে যে তিনিই পাচ্ছেন এবারের ব্যালন ডি’অর। যদিও ফ্রান্স ম্যাগাজিদের দেওয়া এ সম্মানজনক পুরস্কারের ঘোষণা আসবে আগামী সোমবার। জানানো হয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও। সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের ডাচ তারকা ভার্জিল ভ্যান ডাইক। তিন জনের তালিকায় অপর নামটি রোনালদো।
এবার ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারও জিতেছেন মেসি। স্বাভাবিকভাবেই ব্যালন ডি’অরেরও ফেভারিট তালিকায় তিনি। যদিও উয়েফার বর্ষসেরা হয়েছিলেন ভ্যান ডাইক। তাই দুই জনের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা তুমুল হওয়ারই কথা। মেসি পুরস্কার জিতবেন জেনে ফিফার সে বর্ষসেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রোনালদো।
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলে মেসি গোল করেন ৫০টি। কেবল লিগে ৩৬ গোল করায় জেতেন লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১২ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। ক্লাবের হয়ে জেতেন লিগ শিরোপা। ক্যারিয়ারের দশম লালিগা শিরোপা। কোপা আমেরিকায় তার দল আর্জেন্টিনা দখল করে তৃতীয় স্থান।
তবে মেসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকও দারুণ মৌসুম কাটিয়েছিলেন। চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। লিভারপুলকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে রাখেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতীয় দলের জার্সিতেও সফল তিনি। নেদারল্যান্ডসকে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনে অবদান ছিল তার। আর রোনালদোও সিরি আ শিরোপার পাশাপাশি জিতেছেন সুপার কাপও। পর্তুগালের জার্সিতে নেশন্স লিগ জিতেছেন। পুরো মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে রোনালদো গোল করেন ২৮টি।

সর্বশেষ কোপা আমেরিকায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না হলেও, ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে নিলো আর্জেন্টিনা।
অধিনায়ক লিওনেল মেসির করা গোলে ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই এক গোলই তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়।
ঘরের মাঠে হওয়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর থেকেই ব্যাকফুটে রয়েছে ব্রাজিল। কোপার ফাইনালের পর থেকে পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয় এটি তাদের। অন্যদিকে ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর টানা ষষ্ঠ ম্যাচে অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা।
অথচ আজকের ম্যাচে প্রথম গোল পেতে পারত ব্রাজিলই। ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু পোস্টের বাইরে শট করে বসেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। যে কারণে পুড়তে হয় সহজ সুযোগ মিসের যন্ত্রণায়।
এর মিনিট তিনেক পরেই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনাও। লিওনেল মেসির নেয়া সেই শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। কিন্তু ফিরতি শটে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুরুতেই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ব্রাজিল। কিন্তু এতে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। উলটো ২২ মিনিটে ক্যাসেমিরো এবং ২৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন দানিলো। কিন্তু তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি তারা।
বিরতির আগে একটি হলুদ কার্ড অবশ্য দেখেছে আর্জেন্টিনাও। ডি পল হলুদ কার্ড পান ৪৩ মিনিটের সময়। এর দুই মিনিট পর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আনদ্রাদা ডি বক্সের বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করতে গেলে ফাঁকায় পেয়ে যান হেসুস। কিন্তু এ সুযোগটিও হাতছাড়া করেন তিনি। ফলে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও কোনো গোল করতে পারেনি দুই দল। উল্টো বেড়েছে হলুদ কার্ডের সংখ্যা। এবার আর্জেন্টিনার পক্ষে হলুদ কার্ড দেখেন নিকলাস তালিয়াফিকো এবং লিওনেল পারেদেস। ব্রাজিলের পক্ষে সতর্কবার্তা স্বরুপ কার্ড দেখেন এডের মিলিটাও।
পুরো ম্যাচজুড়েই বল দখলে এগিয়ে ছিলো ব্রাজিল। ম্যাচের প্রায় ৬৬ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রাখে তারা। কিন্তু গোলমুখে শট নিতে পারে মাত্র ১টি। অন্যদিকে ৮ বার লক্ষ্য বরাবর শট নিয়েও একটির বেশি গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তবে মেসির করা সেই এক গোলই জিতিয়ে দেয় ম্যাচ।
ইনজুরির কারণে নিজের পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। ভরসা রেখেছেন তরুণদের ওপর। একই অবস্থা আর্জেন্টিনা দলেও। অভিজ্ঞদের বাইরে রেখে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি।
ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন বেকার, দানিলো, এডের মিলিটাও, থিয়াগো সিলভা, অ্যালেক্স সান্দ্রো, আর্থুর মেলো, ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুইতা, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, রবার্তো ফিরমিনো এবং উইলিয়ান।
আর্জেন্টিনা একাদশ: এস্তেবান আনদ্রাদা, হুয়ান ফয়েথ, গ্যাব্রিয়েল পিজেল্লা, নিকলাস ওটামেন্ডি, নিকলাস তালিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, লুকা ওকাম্পোস, লিওনেল পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, লুকা মার্টিনেস ও লিওনেল মেসি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সৌদি আরবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১-০ গোলে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। এদিন তিন মাসের কনমেবলের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। ফিরেই ব্রাজিলকে হরালেন মেসি।
সৌদি আরবে কিং আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে সুপারস্টার লিওনেল মেসি থাকলেও ব্রাজিল দলে ছিলেন না নেইমার। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচকে ঘিরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনাও দেখা গেছে।
ম্যাচ শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সে নাম্বার নাইন গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে ফাউল করে আর্জেন্টিনা। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। তবে ম্যানসিটিতে খেলা সেলেসাও এই ফরোয়ার্ড গোল দিতে ব্যর্থ হন। ব্রাজিলও বঞ্চিত হয় গোল থেকে।
ব্রাজিল পেনাল্টি পাওয়ার মিনিট পাঁচেক পরেই ডি-বক্সে মেসিকে ফাউল করে ব্রাজিলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মিলিতাও। রেফারি পেনাল্টি দিলে গোল দিয়ে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা লিওনের মেসি দলকে এগিয়ে দেন।
আগের রাতে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৬-০ গোলের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এমন পারফরম্যান্সের পর আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন!
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বলে উঠলেন মেসিও। তাও কি না ব্রাজিলের বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকো ম্যাচে। তার করা গোলেই ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা।
এর মিনিট তিনেক পরেই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনাও। লিওনেল মেসির নেয়া সেই শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। কিন্তু ফিরতি শটে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভারসিটি স্টেডিয়ামে সুপার ক্লাসিকো ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সবশেষ কোপা আমেরিকার পর এটিই দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ।
ইনজুরির কারণে নিজের পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। ভরসা রেখেছেন তরুণদের ওপর। একই অবস্থা আর্জেন্টিনা দলেও। অভিজ্ঞদের বাইরে রেখে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি।
ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়। তবে উপমহাদেশে কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি দেখাচ্ছে না। তবে দেখা যাবে অনলাইনে।
সরাসরি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সুপার ক্লাসিকো দেখতে ক্লিক করুন
ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন বেকার, দানিলো, এডের মিলিটাও, থিয়াগো সিলভা, অ্যালেক্স সান্দ্রো, আর্থুর মেলো, ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুইতা, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, রবার্তো ফিরমিনো এবং উইলিয়ান।
আর্জেন্টিনা একাদশ: এস্তেবান আনদ্রাদা, হুয়ান ফয়েথ, গ্যাব্রিয়েল পিজেল্লা, নিকলাস ওটামেন্ডি, নিকলাস তালিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, লুকা ওকাম্পোস, লিওনেল পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, লুকা মার্টিনেস ও লিওনেল মেসি।
প্রথম গোলে ভূমিকা রেখেছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন আলেরিও নিজেই। ছবি: এএফপি২২ মিনিট যেতে না যেতেই ২ গোল হজম করে বসল আর্জেন্টিনা। অথচ প্রতিপক্ষ জার্মানি নাকি চোটে জর্জরিত! অবশ্য আর্জেন্টিনা দলটাও তরুণ। আর তারুণ্যে আস্থা রেখেছেন জার্মান কোচও।
প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টাইনরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে শেষতক আলারিওর নৈপূন্যে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলারিও প্রথম গোলটি করিয়ে ব্যবধান কমান। দ্বিতীয় গোলটি আসে তাঁর পা থেকেই।
বিস্তারিত আসছে

স্বাগতিক ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। আজ (বুধবার) থিম্পুতে বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে ২-০ গোলে। দুটি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে।
২০ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার গোলে এগিয়ে যায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোজিনা আক্তার। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে নেপালের বিরুদ্ধে শুক্রবার নেপালের বিরুদ্ধে।
দুই বছর আগে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরী ফুটবলারদের টুর্নামেন্ট সাফ অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশের কিশোরী জিতেছিল প্রথম আসরের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ দুইবার হারিয়েছিল ভারতকে।
তবে গত বছর ভুটানে সেই ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার সেই ভুটানে তৃতীয় আসর। গত আসরে ৬ দেশ খেললেও এবার নেই পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। তাই প্রথম আসরের মতো এবারও খেলা হচ্ছে সিঙ্গেল লিগ ভিত্তিতে। শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে ভারত ৪-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে।
ভালুকা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ ১৭ এর ফাইনাল খেলায় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন একাদশ ৪-২ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয় ।




টানা তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা নিশ্চয়ই যেকোনো দলের জন্য বড় এক প্রাপ্তি। তবে সেই সবগুলো ফাইনালেই আবার হার, যেকোনো দলের জন্য হতে পারে চরম হতাশার অধ্যায়। বিশেষ করে, দলের নামটা যদি হয় আর্জেন্টিনা আর সেই দলে খেলে থাকেন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় তারকা লিওনেল মেসি; তবে হতাশার মাত্রাটা তো আরো বেশি হওয়ারই কথা।
বেশি হয়েছিল বলেই বিশ্বকাপ আর টানা দুই কোপা আমেরিকার ফাইনাল হারে, অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে নেন মেসি। কিন্তু দেশের হয়ে শিরোপা জেতার তাড়নায় ফের আকাশি-সাদা জার্সিতে ফেরেন মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ। সেখানেও দল আবার ব্যর্থ। বিদায় নেয় শেষ ১৬ থেকে। তবে এবার আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় নয়, জাতীয় দলের হয়ে কিছু জেতার ক্ষুধায় মেসি দলের সঙ্গেই থেকে যান।
এদিকে দেখতে দেখতে আরও একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে আর্জেন্টিনা। এবার ব্রাজিলে হচ্ছে কোপার ৪৬তম আসর। আর ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে আলবিসেলেস্তেরা। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দল ব্রাজিল।
তবে সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে সুপার ক্লাসিকোতে আর্জেন্টিনার পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব কম। যদিও আর্জেন্টাইন সমর্থকরা আবারো আশায় বুক বেঁধেছে, হয়তো এবার তারা পেয়ে যাবেন পরম আকাঙ্ক্ষিত সেই মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা।
কিন্তু যে পাঁচটি কারণে এবারও মেসি ও তার আর্জেন্টিনা বঞ্চিত থাকতে পারে শিরোপা জয় থেকে সেগুলো একবার দেখে নেয়া যাক :
১. অতিরিক্ত মেসি নির্ভরতা : অভিষেকের পর থেকে কখনো ফর্মহীনতায় ভোগেননি লিওনেল মেসি। যতই সময় গড়িয়েছে ততই তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরাদের কাতারে। তার মতো একজন খেলোয়াড়কে দলে পাওয়া তাই যেকোনো দলের জন্যই সৌভাগ্যের। কিন্তু মেসির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা বরাবরই ভোগাচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। এবারও যার ব্যক্তিক্রম নয়। আর এই অতিরিক্ত মেসি প্রীতি এবারো শিরোপা বঞ্চিত রাখতে পারে আলবিসেলেস্তেদের।
২. ছন্দহীন দল : শেষ ১০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪টিতেই হেরেছে আর্জেন্টিনা। বাকি ৬ ম্যাচের ১টিতে ড্র আর বাকি ৫ ম্যাচে জয়। আর্জেন্টিনার জয়গুলো এসেছে ইতালি, হাইতি, নাইজেরিয়া, মরোক্কো ও নিকারোগুয়ের বিপক্ষে। বিপরীতে তিন শক্ত প্রতিপক্ষ ক্রোয়োশিয়া (০-৩), ফ্রান্স (৪-৩) ও স্পেনের কাছে (৬-১) হেরেছে আর্জেন্টিনা। খালি চোখেই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, সেরা ছন্দে নেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।
৩. ফেবারিট না হওয়া : এবারের কোপায় অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা, পুরো বিশ্বে এগারতম। বোঝাই যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার এবারের দলটি খুব একটা শক্তিশালি নয়। অন্যদিকে ফিফা র্যাংকিংয়ের তৃতীয় স্থানে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ব্রাজিল। কোপায় অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে যা সেরা। সেলেসাওদের দলও বেশ শক্তিশালী। যে কারণে এবারের আসরের ফেবারিট ওই কুতিনহো-আলভেজদের ব্রাজিলই, আর্জেন্টিনা না।
৪. অনভিজ্ঞতা : গত এক যুগে আর্জেন্টিনা তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলটাকেই পেয়েছিল। যাদের বলা হচ্ছিল আর্জেন্টিনার ‘সোনালি প্রজন্ম’। কিন্তু এই প্রজন্মও ব্যর্থ হয় আলবিসেলেস্তেদের শিরোপা এনে দিতে। হেরে যায় টানা তিন বড় আসরের ফাইনালে। এর মধ্যে অনেকে আবার নিয়ে ফেলেছেন অবসর। কেউ বা ফর্মহীনতায় বাদ পড়েছেন দল থেকে। এবারের কোপা আমেরিকায় তাই অনেকটা অনভিজ্ঞ দল নিয়েই এসেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি (১৩০), সার্জিও আগুয়েরো (৯০), নিকোলাস ওটামেন্ডি (৬০), ফুনেস মোরি (২৫) ও পাওলো দিবালা (২০) ছাড়া আর কারোরই নেই বিশের বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা।
৫. প্রত্যাশার চাপ : ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ ২৬ বছর ধরে আন্তর্জাতিক কোনো জিততে পারেনি দলটি। ফুটবল পাগল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কাছে তাই একটি শিরোপা অর্জন হয়ে উঠেছে পরম আরাধ্যের বিষয়-বস্তু। এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দল তেমন গোছানো না থাকলেও, ইতোমধ্যেই সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে আলবিসেলেস্তারা। যে কারণে আরও একবার দলকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে প্রত্যাশা। আর এই বাড়তি প্রত্যাশাই ফের আর্জেন্টিনাকে শিরোপা বঞ্চিত রাখতে পারে।
শুক্রবার রাতে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এ জয়ে সেমিতে উঠে গেছে দলটি।
মজার ব্যাপার হলো কোপার সেমিতে এবার স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হবেন মেসিরা। এখন কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ‘সুপার ক্লাসিকো’ দেখার অপেক্ষা। বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ভক্তদের জন্য এ ম্যাচটি হবে দারুন রোমাঞ্চকর।
ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালের টিকিট বুকিং দিয়ে ফেলে। আগুয়েরোর দেওয়া বল ধরে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করেন তরুণ স্ট্রাইকার লউতেরো মার্টিনেজ। এক গোলের লিড। বল দখলে এগিয়ে ভেনেজুয়েলা। যে কোন মুহূর্তে গোলটা শোধ দিয়ে দেওয়ার ভয়টা মেসিদের ছিল। তবে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লো চেলসো গোল করে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন।
ভেনেজুয়েলা ম্যাচের প্রায় ৬০ ভাগ বল দখলে নিয়ে খেলেছে। ছোট পাসে খেলা আলবেসেলেস্তেদের জন্য যা কিছুটা ভিন্ন ছক। বল দখল করে খেলাই যে মেসিদের রক্তে মিশে আছে।
তবে আর্জেন্টিনার আক্রমণ ছিল দেখার মতো। গোলের লক্ষ্যে এবং বাইরে তারা ১৪টি শট নিয়েছে। সেখানে প্রতিপক্ষকে শট নিতে দিয়েছে মাত্র তিনটি। আর্জেন্টিনার রক্ষণ নিয়ে সব সময়ই থাকে প্রশ্ন। তবে কোনো গোল করতে পারেনি ভেনেজুয়েলা।
আগামী ৩ জুলাই রাতে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে লড়বে চিরপ্রতিদ্বন্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।