নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ ॥ ৮ ডিসেম্বর, আজ ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর মেজর আফসার বাহিনীর কাছে ১৯৭১’র এই দিনে ভালুকা ক্যাম্পের কয়েক হাজার রাজাকার আলবদর ও পাক সেনার আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত হয়। বৃটিশ ভারত সেনাবাহিনীর (অবঃ) সুবেদার তৎকালীন ভালুকা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফসার উদ্দীন আহম্মেদ ৭১ এর ১৭ এপ্রিল ১ টি মাত্র রাইফেল ও ৮ জন সদস্য নিয়ে ভালুকার মল্লিকবাড়ী বাজারের খেলু ফকিরের বাড়ীতে মুক্তি বাহিনীর একটি গেড়িলা দল গঠন করেন। পরবর্তীতে ভালুকা থানা দখল করে ১৫/১৬ টি রাইফেল ও একটি এল, এম, জি সহ প্রচুর গোলাবারুদ সংগ্রহ করেন। এর কয়েক দিনের মাথায় কাউরাইদ হতে খীরু রদী দিয়ে ভালুকা থানায় আসার পথে পনাশাইল নামক স্থানে পাক বাহিনীর অস্ত্র ও গোলা-বারুদ সহ একটি নৌকা আটক করে মুক্তিযোদ্ধারা। প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করে গেরিলা দলটি শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হয়। আফসার উদ্দীনের ৮ সদস্যের দলটি পরবর্তীতে প্রায় সারে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বিশাল বাহিনীতে রুপ নেয়। এফ জে ১১ নং সেক্টরের ময়মনসিংহ সদর দক্ষিন ও ঢাকা সদর উত্তর সাব সেক্টর অধিনায়ক মেজর আফসার ব্যাটেলিয়ন নামে পরিচিতি লাভ করে। যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার রমজান আলী তরফদারের তত্বাবধানে ৫ জন ডাক্তার ১০ জন সহকারী চিকিৎসক ও ৪ জন নার্সের সমন্বয়ে আফসার ব্যাটেলিয়ান হাসপাতাল নামে একটি ভ্রাম্যমান হাসপাতাল পরিচালিত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এটি কিছুদিন রেডক্রস সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়। ৭১ এর ২৫ জুন শুক্রবার সকাল হতে ভালুকা গফরগাঁও সড়কের ভাওয়লিয়াবাজু নামক স্থানে শিমুলিয়া নদীর পাড়ে পাক বাহিনীর সাথে আফসার বাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হন। দিবা রাত্র দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা একটানা যুদ্ধ স্থায়ী হয়। শুক্রবার শুরু হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে পাক বাহিনী চারিদিকে পানি বেষ্টিত নদীর পূর্বপারে গোয়ারী যোগীপাড়া নামক স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শুক্রবার সারাদিন সারারাত তিন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনের মুখে অনেক পাকসেনা নিহত হয়। পরদিন শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা হতে আকাশ পথে আসা হানাদার বাহিনি হেলিকপ্টার থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ করে ভাড়ি মেশিনগানের সেলিং শুর করে। মুক্তিযোদ্ধারাও হেলিকপ্টার লক্ষ করে পাল্টা ব্রিটিশ এল এম জি’র সাহায্যে গোলা বর্ষন অব্যাহত রাখলে হেলিকপ্টার পিছু হটে। পরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে যুদ্ধক্ষেত্রের ৪ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ধলিয়া গ্রামে ধলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে পাকসেনা নামিয়ে দিলে মুক্তিযোদ্ধারা ডিফেন্স ছেড়ে চলে আসেন। এই যুদ্ধে আফছার বাহিনীর তরুন যোদ্ধা অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মল্লিকবাড়ী গ্রামের আঃ মান্নান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মজিবর রহমান সহ আহত হয় আরও ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধারা নদীর পশ্চিম দিক হতে একটানা দুদিন সম্মুখ যুদ্ধ করায় শতাধিক পাক সেনা নিহত হয়। ঐতিহাসিক ওই যুদ্ধের খবর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, অল-ইন্ডিয়া রেডিও ও বিবিসি হতে ফলাও করে সম্প্রচার করা হয়। এই যুদ্ধের পরে ভালুকা থানা ও বাজার এলাকায় পাক বাহিনীর ক্যাম্পটি শক্তিশালী করা হয়। স্থানীয় মুসলিমলীগ নেতারা এখানে গড়ে তোলেন একটি বিশাল রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প। এসব রাজাকার আলবদররা ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে দিনের পর দিন মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষন,বাড়ীঘরে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট চালায়। আফসার বাহিনী যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে একাধিক বার ভালুকা পাক হানাদার ক্যাম্পে আক্রমন চালিয়েছে। এছারা আমলীতলাযুদ্ধ, বল্লা যুদ্ধ, ত্রিশাল, গফরগাঁও, ফুলবাড়ীয়া, শ্রীপুর, মল্লিকবাড়ী, মেদুয়ারী সহ বিভিন্ন স্থানে পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে আফসার বাহিনীর অসংখ্য যুদ্ধ হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের বিভিন্ন যুদ্ধে আফসার উদ্দীনের পুত্র নাজিম উদ্দীন সহ ৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভালুকা উপজেলা কমান্ডের পক্ষ হতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ত্রিশালের পল্লীতে গৃহ বধুর মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন এ নিয়ে শ্বশুরালয় ও পিত্রালয়ের পরিবারের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। শ্বশুরালয় থেকে আত্মহত্যা বলা হলেও পিত্রালয় থেকে রহস্যজনক আত্মহত্যা দাবী করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আব্দুল ওয়াদুদ নামের এক প্রতারক। ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই প্রতারক সুন্দরী নারী দেখলে প্রেমের ফাদে ফেলে প্রথমে বিয়ে করে । পরে মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে । তার দাবীকৃত নির্ধারিত অংকের যৌতুকের টাকা না দিলে অকথ্য নির্যাতন করা হয় তার বিয়ে করা নারীদের । নির্যাতিত নারীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টো মামলা দিয়ে ভূক্তভোগী তার নিকটজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে ।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ে প্রতারক আব্দুল ওয়াদুদকে নিয়ে ইতিমধ্যে ত্রিশাল এবং ময়মনসিংহের আদালতপাড়ায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিযে জানা গেছে, বিয়ে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের তাসলিমা আক্তার, ধলা গ্রামের রুমা আক্তার, গফরগাঁওয়ের পাকাটি গ্রামের সূচনা আক্তার, ময়মনসিংহের মীম আক্তার ছাড়াও অনেক নারীকে বিয়ে করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান ।
এদের মধ্যে একজন বলেন, আমাকে বিয়ে করার আগে আব্দুল ওয়াদুদ তার কাবিননামায় সে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করে। আমার নিকট বিয়ের রাতে যৌতুকের টাকা দাবি করে এবং পরক্ষণে আরো টাকা দাবি করে সে।
ভূক্তভোগী রুমা আক্তার বলেন, দাবীকৃৃৃৃৃৃৃৃত টাকা না দেয়ায় আমাকে অকথ্য নির্যাতন করে । আমার হাত ভেঙে দেয় ওয়াদুদ । আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে এখন আমার ভাই জাহাঙ্গীরের নামে তার নিজস্ব লোক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বাদী করে উল্টো একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করে। এছাড়াও ওয়াদুদ আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করে ভয়ভীতি দেখায়।। ফেসবুকে নগ্ন ছবি পোস্ট করেছে ওই লম্পট। প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। । ফেসবুকে বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে দেয়া ছাড়াও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে।।
ময়মনসিংহের এডিশনাল পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জয়িতা শিল্পী জানান, ওয়াদুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে । চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা প্রমান হওয়ায় ফাইনাল দিয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।

আব্দুল ওয়াদুদ
জেলা প্রশাসক-০১৭১৫-২১৩০৪১, ০৪৫১-৬২৩০১
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-০১৭৭৯-২০৩১৬২
পুলিশ সুপার-০১৭১৩৩৭৪১৮৬, ০৪৫১-৬২২৫৩
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-০১৭১৩-৩৭৪১৮৭
র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্প-০১৭৭৭-৭১০৬৩০ (ডিউটি অফিসার)
সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ-০১৭৩০-৩২৪৭৯৬, ০৪৫১-৬২২০২
সদর ফায়ার সার্ভিস-০১৭১৭-৯৬৭১৮৮(০৪৫১-৬২৩৩৩)
সদর বিদ্যুৎ অফিস-০৪৫১-৬২২৭৪,০৪৫১-৬২২৭
বিআরটিএ-০১৭২৬৩২২৩২২
ওসি ডিবি-০১৭১৩-৩৭৪১৯৮
ওসি সদর থানা-০১৭১৩-৩৭৪১৯২
ওসি হরিনাকুন্ডু-০১৭১৩-৩৭৪১৯৫
ওসি শৈলকুপা-০১৭১৩-৩৭৪১৯৪
ওসি মহেশপুর-০১৭১৩-৩৭৪১৯৭
ওসি কোটচাঁদপুর-০১৭১৩৩৭৪১৯৬
ওসি কালীগঞ্জ-০১৭১৩-৩৭৪১৯৩
ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে যখন দেশবাসী চরম অস্থিরতা ও উদ্বেগের মধ্যে আছেন, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে নাকি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়ায় পারিবারিক সফরে গিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মন্ত্রী বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে তার নির্বাচনি এলাকা মানিকগঞ্জে অবস্থান করছেন। যদিও মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলায় আছেন এমন খবর তার জানা নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তাও। তবে তারাও নাম প্রকাশে রাজি হননি। এ সময় কয়েকজন কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, পুরো দেশ যখন ডেঙ্গু নিয়ে অস্থিরতায় আক্রান্ত, তখন স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি কী করে দেশের বাইরে যান। একইসঙ্গে তারা একে চরম অপেশাদারিত্বমূলক আচরণ বলেও মন্তব্য করেন।
মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত শনিবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সপরিবারে মালয়েশিয়া ভ্রমণে গিয়েছেন। সাতদিন পর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস ডা. আরিফের কাছে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালয়েশিয়া গেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রথমেই বলেন, ‘… স্যার আছেন, উনিতো আছেন, সবকিছুর সঙ্গে কানেক্টেড আছেন। থাকার কথাতো, এই মুহূর্তে থাকার কথাতো, আমি নিজেও অফিসের বাইরে আছি, অসুস্থ তো। আপনি আমাদের পিএস সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন প্লিজ।’
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান বলেছেন, মানিকগঞ্জে বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য তিনি পরশুদিন (রবিবার) থেকে তার নির্বাচনি এলাকা মানিকগঞ্জে অবস্থান করছেন। মাঝখানে জরুরি কাজে অল্প সময়ের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন, আবার চলে গেছেন। আগামীকাল (বুধবার) দুপুরের পর অফিস করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মানিকগঞ্জ বন্যাদুর্গত এলাকা। এটি তার নির্বাচনি এলাকা। বন্যা পরবর্তী কার্যক্রম এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি এলাকায় আছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ত্রাণ বিতরণের কাজে গত শনিবার থেকে তাকে দেখা যায়নি। দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং ত্রাণ বিতরণের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে মানিকগঞ্জে অবস্থান করছেন না।
মানিকগঞ্জের ডিসি এসএম ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ত্রাণ বিতরণ বা অন্য কোনও কাজে মন্ত্রী এলে আমার তা জানার কথা। তবে তিনি এসেছেন বলে কোনও তথ্য আমার জানা নেই।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মোবাইল ফোন নম্বরে বাংলা ট্রিবিউন থেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তার ফোন নম্বরে রোমিংয়ের শব্দ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু জ্বর উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরও ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শরীফ হোসেন প্রতিনিধি ভালুকাঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় ভরাডোবা – উথুরা রোডে একটি গরু বোঝাই ট্রাককসহ দুই চোরকে অাটক করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় সোমবার (২৯জুলাই) ভোর ৪টার দিকে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ মাইন উদ্দিন এর নির্দেশে, এস আই ইকবাল হোসেন ও এস আই মনির হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্বিতে গরু ভোজাই ট্রাকটি আটক করলে চোরেরা লাফিয়ে পালিয়ে যায়,পুলিশ তখন ১১ গরু সহ ২ জন কে আটক করতে সক্ষম হয়। বগুরা জেলার শেরপুর থানার গোপালপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রানা ওরফে আজমল ( ৩০) ও সাতক্ষিরা জেলার কলারোয়া থানার দক্ষিন দীঘা গ্রামের হাফিজুলের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩২) তাদের শিকার উক্তি অনুযায়ী গাজীপুর এলাকা থেকে সকালে আরো ৬ টি গরু উদ্ধার করেন, মোট ১৭ টি গরুর মধ্যে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৮ টি,গরু ও বাকী গরু গুলো হচ্ছে, ফুলবাড়ীয়া, ও ঘাটাইল উপজেলার।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন
জানান, এরা সবাই আন্তঃজেলা গরু চোরের সক্রিয় সদস্য, এদের গ্রুপের বেশীর ভাগ চোরকে গরু উদ্ধার সহ একাধিক বার গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকা ময়মনসিংহ মহা-সড়কের ভালুকা সিডষ্টোর বাজার হতে বাটাজোর হয়ে সখীপুর পযর্ন্ত শহীদ শমসের সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় খানাখন্দে বর্ষার পানি জমে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা আর ব্যহত হচ্ছে জনচলাচল। শনিবার (১৫জুন) বিকালে সরজমিনে গেলে দেখা যায় সিড্ষ্টোর বাজার এলাকায়, লাইতি খালের পার, মোড়লবাড়ি মোড়, পাড়াগাঁও রানার গেইট, বড়চালা মোড় শিমুলতলী, পাড়াগাঁও গার্লস স্কুল মোড়, কাচিনা বাজার ও আশ পাশ, কাচিনা চৌরাস্তা এলাকা, বাটাজোর বাজার সহ রাস্তার অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। বাটাজোর ও সখিপুর এলাকার লোকজন ঢাকা ময়মনসিংহ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় মাল পত্র ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহনে এই সড়কে আনা নেওয়া করে থাকে। বিশেষ করে এলাকার উৎপাদিত কৃষিপন্য গ্রাম থেকে এই সড়কে পাইকাররা বিভিন্ন জেলা সহ রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যায়। রাস্তার দুরাবস্থার কারনে চাষিরা তাদের কৃষি পন্য বাজারজাত করতে না পারায় লোকসানের মুখে পরছেন। এ রাস্তার ব্যাপারে সিএনজি চালক জমির হোসেন জানান সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ হয় যে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাও মুশকিল হয়ে পরে। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসা, গার্লস স্কুল, হাই স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে কষ্ট করে প্রতিদিন যাতায়ত করে। রাস্তার বেহাল দশার কারনে সময় মত বিদ্যালয়ে পৌছতে পারেনা ফলে তাদের লেখাপড়ার ব্যঘাত ঘটছে প্রতিনিয়ত।
এ ব্যপারে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ বাচ্চু জানান, তিনি নিজে ব্যক্তিগত অর্থে লোকজন নিয়ে সিডষ্টোর বাজার এলাকার রাস্তায় বিশাল গর্তে বালি ও সুরকী ফেলে সাময়িক ভাবে ভরাট করেছেন, কিন্তু পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও রাস্তার স্থায়ী মেরামতের কোন উদ্যোগ চোখে পরেনি। তিনি জানান এ রাস্তায় ভালুকা ও সখিপুর উপজেলার হাজার হাজার লোকজন প্রয়োজনে চলাচল করে থাকেন। উপজেলা সিপিবি সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান সিডষ্টোর বাজার হতে বাটাজোর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগ অংশে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে, এসব গর্তে প্রায়ই মালবোঝাই গাড়ী উল্টে যাচ্ছে, চাকা আটকে যাচ্ছে, যাত্রী বাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি, টেম্পু এসব চলতে না পারায় জন সাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তারা জনস্বার্থে অবিলম্বে এ রাস্তাটির সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুরে অভ্যন্তরীন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে হাটগোপালপুর খাদ্য গুদামে এ ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম। এসময় জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া, হাটগোপালপুর খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক মনজুর রহমান, পদ্মাকর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস, ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিলটনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ মৌসুমে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬’শ ৬১ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা দরে ৬’শ ৬১ টন ধান ক্রয় করা হবে।
মোঃ খলিলুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে বুধবার লোকালয়ে আসা ২টি বাঘের সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন বাঘ ২ টি ধরতে পারেনি। তাড়া খেয়ে গর্তে লুকিয়েছে বাঘ দুটি। বাঘ ধরা না পড়ায় আতংকের মাঝে রয়েছে এলাকাবাসী। বাঘ গুলোকে না মারতে এবং তাদের কোন ক্ষতি না করার জন্য স্থানীয়দের আহবান জানিয়ে মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের রমেশ দত্তের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ২টি বাঘ বের হয়ে আসে এবং ৪টি কুকুরকে আক্রমণ করে। তখন কুকুরের শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন বের হয়ে তা দেখতে পেয়ে বাঘ দুটিকে মারার জন্য ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে বাঘ দুটি দৌড়ে জঙ্গলের দক্ষিণ পাশে একটি গাছের উপর উঠে যায়।কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে নেমে বাঘ গুলো জঙ্গলের ভিতর গর্তে লুকিয়ে পড়ে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী-পুরুষ তা দেখার জন্য ভীড় জমায়।
সংবাদ পেয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী ও ফুলপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বাঘ আবার দেখা গেলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলেন। বাঘ আটক না হওয়ায় পুরো এলাকায় জনগণের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর ধারণা বাঘ আবার বের হয়ে যে কোন সময় মানুষকে আক্রমণ করতে পারে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে মাইকিং করছেন এবং বাঘের কোন ক্ষতি ও হত্যা না করার জন্য আহবান জানাচ্ছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঘটি আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের গারো পাহাড় থেকে পথ হারিয়ে বাঘ ২টি লোকালয়ে আসতে পারে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, বাঘ ধরা যায়নি। আমি গিয়ে দেখতে পাইনি। ডিসি স্যারের নির্দেশনা আছে বাঘ মারা যাবে না। তবে বাঘ আবার লোকালয়ে আসলে তাদের ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে হবে। বাঘ না মারার জন্য ও এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।