নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর যুব সমাজের উদ্যোগে রবিবার (১৩ডিসেম্বর) মিনি ক্রিকেট ফাইনাল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলা উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন। সাখুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুছ সাত্তার ফকিরের সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাখুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ্ মোহাম্মদ গোলাম ইয়াহিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল বাগা, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম। ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সমাজকল্যান সম্পাদক মোমিন তালুকদার, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ফকির, সাখুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক বাবুল খান, সাখুয়া ইউনিয়ন তাতীলীগের সদস্য সচিব আব্দুল লতিফ, সাখুয়া ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক জোট এর যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান সীজন। খেলাটির আয়োজন করেন, সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হাসান বাবু। খেলাটি পরিচালনা করেন, মোঃ জামিল ও মিনহাজ।
খেলায় বাবুপুর স্বপ্নছোয়া স্পোটিং ক্লাবকে ২ রানে পরাজিত করে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন সাখুয়া ঐক্যমত যুব সংঘ। বিজয়ী টিমকে ট্রফি তুলে দেন খেলায় আসা অতিথীবৃন্দ।


জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে আড়পাড়া ব্লাডব্যাংক নামের একটি সংগঠনের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুভিবাংলা টেলিভিশন ও দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম নিরব। দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় সমাজ সেবক হুসাইন মোহাম্মদ রাকিব, কচি মিয়া, সোলাইমান হোসেনসহ অনেকে। এসময় এলাকার সকল বয়সী নারী-পুরুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। আয়োজকরা জানান, আগামীতেও এ ধরণের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের রক্তের প্রয়োজন খুব সহজে মেটানো সম্ভব হবে।
নিউজ ডেস্কঃ দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। শুক্রবার (২৯ মে) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আশরাফুল-অর্চি দম্পতির কোল আলো করে এসেছে তাদের দ্বিতীয় সন্তান।
নিজের ফেসবুক আইডিতে পরিবারের নতুন সদস্য আগমনের খবর নিশ্চিত করেন আশরাফুল। তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আল্লাহ আমাদের একটি পুত্রসন্তান দান করেছেন। মহান আল্লাহকে এই উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছে জানিয়ে আশরাফুল আরো লেখেন, ‘অর্চি এবং শিশুপুত্র দুজনেই আল্লাহ্র রহমতে ভালো আছে। দয়া করে সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। নতুন সন্তানকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। নবজাতকের জন্য সবাই প্রার্থনা করবেন।’
এর আগে, চলতি মাসে বাবা হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন এবং সাকিব আল হাসান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর অনিকা তাসলিমা অর্চির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল। তাদের ঘর আলোকিত করতে পরের বছরের সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয় মেয়ে আরিবা তাসনিম আশরাফুল।
বাংলাদেশের সামনে ভারত মানেই মনস্তাত্ত্বিক এক লড়াই। সেখানে বারবার পিছিয়ে পড়ার গ্লানি তাদের। এবার সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙলো এবং প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ লুইসে ৩ উইকেটে জিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লো তারা।
তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ১৩ রান সংগ্রহে তানজিদ দুটি চার মারেন। পরের ওভারে একটি বাউন্ডারি মারেন পারভেজ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে একমাত্র ছয় মেরে দলকে পঞ্চাশের ঘরে নেন তানজিদ। কিন্তু দলীয় স্কোর হাফসেঞ্চুরি হতেই জুটি ভাঙে তাদের। রবি বিশনয়ের বলে কার্তিক ত্যাগীর ক্যাচ হন তানজিদ, ২৫ বলে করেন ১৭ রান।
ক্রিজে নামেন সেমিফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে ব্যর্থ হন। বিশনয়ের বলে বোল্ড হন মাত্র ৮ রান করে, খেলেন ১২ বল। এই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ আরেকটি ধাক্কা খায় পারভেজ হোসেনের রিটায়ার্ড হার্টে। দশম ওভারে আকাশ সিংয়ের বলে পায়ে চোট পান তিনি, মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কয়েক ওভার খেললেও মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
এরপর বিশনয় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। প্রথম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙা ভারতীয় স্পিনার পরের ওভার কোনও উইকেট পাননি। নিজের চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে আরও দুই উইকেট নেন এ লেগ স্পিনার। তৌহিদ হৃদয় এলবিডাব্লিউ হন রানের খাতা না খুলে। পরের ওভারে শাহাদাত হোসেন স্টাম্পিং হন মাত্র ১ রান করে। ব্যাটিং সীমানার বাইরে ছিল তার পা, স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেল।
৬৫ রানে ৪ উইকেটের সবগুলোই নেন বিশনয়। তার স্পিন দাপটের পর আকবরের সঙ্গে শামীম হোসেনের ২০ রানের জুটি ভাঙেন সুশান্ত মিশ্র। ১৮ বলে ৭ রান করে যশস্বী জয়সাওয়ালের ক্যাচ হন শামীম।
২৩তম ওভারে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি অভিষেক দাস। সুশান্তের দ্বিতীয় বলে তার শটে শূন্যে ভেসে বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বিশনয়ের হাতের ফাঁক দিয়ে মাটিতে পড়ে। পরের বলে চার মেরেছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। আরেকবার জীবন পান অভিষেক, এবার ক্যাচ ছাড়েন তিলক ভার্মা। ৩ বলের ব্যবধানে দুইবার জীবন পেয়েও পরের বলে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়াল লেগ থেকে দৌড়ে আসা কার্তিক ত্যাগীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৭ বলে মাত্র ৫ রান করেন অভিষেক।
তার বিদায়ের পর মাঠে নামেন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া পারভেজ। ১০২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আকবর আলী ও পারভেজের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ৪১ রানে তাদের জুটি ভেঙে আবারও উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ভারত। ৭৯ বলে ৭ চারে ৪৭ রানে যশস্বী জয়সাওয়ালের শিকার হন পারভেজ, আকাশ সিং তার ক্যাচ নেন।
সেট হওয়া আকবরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান রাকিবুল হাসান। দুজনের ধীর ব্যাটে জয়ের পথে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ। ৪১ ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে তাদের দরকার ছিল ৫৪ বলে ১৫ রান। কিছুক্ষণ পর আবার মাঠে নামলে ডাকওয়ার্থ লুইসে কেটেছেঁটে দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭ রান। .. বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
এর আগে ভারতকে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলাম ১৫৬ রানে জয়সাওয়ালকে ফেরানোর পর রানের লাগাম টেনে ধরে তারা। ২১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক দাস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল।
দেখতে দেখতে প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। প্লে-অফের আগে আর বাকি আছে ৪টি ম্যাচ। শুক্রবার (১০জানুয়ারি) হবে ২টি। শনিবার হবে ২টি ম্যাচ। এরপর ১ দিন বিরতি দিয়ে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্লে-অফের খেলা। এখন পর্যন্ত এবারের বিপিএলে ম্যাচ হয়েছে ৩৮টি। এই ম্যাচগুলো শেষে এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন রংপুর রেঞ্জার্সের মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ১১টি ম্যাচ খেলে ১৯টি উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন। তবে এতদিন বোলারদের শীর্ষস্থানটি নিজের করে রেখেছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মেহেদি হাসান রানা। শেষ পর্যন্ত তাকে টপকে শীর্ষস্থানটি নিজের দখলে নিয়েছেন মোস্তাফিজ। মেহেদি হাসান রানা এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১৭টি উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলারদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আরেক বোলার মোহাম্মদ রুবেল। রুবেল এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে তিনি পেয়েছেন ১৬টি উইকেট।
তবে মোস্তাফিজের এই শীর্ষস্থানটি আবার নিজের দখলে নিতে পারবেন রানা। কারণ শুক্রবার বিপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে খেলতে নামবেন মোস্তাফিজুর রহমান। কারণ তার দল রংপুর রেঞ্জার্স প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। শুক্রবার ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের তার দল শেষ ম্যাচ খেলবে। তবে শুক্রবার তিনি নিজের উইকেট ব্যবধানকে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। অন্যদিকে রানার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইতোমধ্যেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। তাদের গ্রুপ পর্বেরও একটি ম্যাচ এখনো বাকি রয়েছে। শনিবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে খেলতে নামবে তার দল। ফলে রানা যদি নিজের ঝলকটা ধরে রাখতে পারেন তাহলে তিনি তার শীর্ষস্থানটি আবার ফেরত নিতে পারবেন। তাছাড়া রানার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন রুবেলও। তিনিও শীর্ষস্থানটি দখল করতে পারেন।
অন্যদিকে ব্যাটিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে কুমিল্লার ডেভিড মালানকে কেউ নড়াতে পারছেন না। মালান এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৪৩৬ রান করে শীর্ষস্থানে রয়েছেন। এই রান করতে তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশো। তিনি ১০টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৪১১ রান। এই রান করতে তিনি ৪টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তিনি ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৮৬ রান। তিনি এ পর্যন্ত ৪টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তবে ডেভিড মালান হয়তো খুব শিগগিরই তার শীর্ষস্থানটি হারাবেন। কারণ তার দল কুমিল্লাও এখন রয়েছে বাদে পড়ার শঙ্কায়। তাছাড়া আজকের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষেই খেলবে তার দল। ফলে যদি আজকে মালান বেশি রান না করতে পারেন তাহলে তখন রুশোর সামনে থাকবে শীর্ষস্থানটি দখল নেয়ার সুযোগ।
এসএ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটে রেকর্ডের বন্যা বইয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) গ্রুপ পর্বে নিজের তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে সালমারা। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সবোর্চ্চ রান এটি।
২০১৯ সালের ২০ জুন মালির বিপক্ষে ৩১৪ রানের রেকর্ড গড়ে উগান্ডার মেয়েরা। এই মালির বিপক্ষেই ২২ জুন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৫ রান করে তানজানিয়ার মেয়েরা। এবার মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫৫ রান।
২৫৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে টাইগ্রেস বোলারদের তান্ডবে মাত্র ৬ রানেই সব উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় মালদ্বীপ। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালের ২০ জুন মালির মেয়েদের ৬ রানে অলআউট করে দেয় রুয়ান্ডার মেয়েরা। এই রেকর্ডটিও রুয়ান্ডা তাদের সর্বোচ্চ রান করার ম্যাচেই গড়ে।
২৪৯ রানে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বিশাল এই জয় মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে আইসিসিকে কিছু না জানানোয় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার এই বিপদে মুষড়ে পড়েছে গোটা দেশ। সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার খবরে তাকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন তার সমর্থকরা। পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনোদন জগতের তারকারও।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে নায়ক শাকিব খান লিখেছেন, ‘বিশ্বসেরা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এক বছর খেলতে পারবে না, ভাবতেই যেন কেমন লাগছে। তবে মানসিকভাবে শক্তিশালী সাকিব প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করে মাঠে ফিরবেন, এটাই আশাবাদ।’
এদিকে সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমীও। এক ভিডিও বার্তায় সাকিবকে তার সমর্থন জানান। ভিডিও বার্তায় মৌসুমী বলেন, একটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যতটা সহজ, এক জন সাকিব আল হাসান তৈরি করা ততটাই অসম্ভব। হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করলেও এমন একজন প্লেয়ার তৈরি করা সম্ভব না। আমাদের মাঝে সেই সাকিবকে পেয়েছি। সাকিব আল হাসান আমাদের অহংকার, আমাদের দেশরত্ন। আমাদের দেশের অহংকার, আমাদের দেশের সম্পদ। সেই সাকিব ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, একজন ভক্ত হিসেবে আমি এই কষ্টটা মেনে নিতে পারছি না বলেই এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সুত্র: কালের কন্ঠ
প্রথম ওভারেই মালিঙ্গার ইয়র্কার ঠেকাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তামিম ইকবাল। বোল্ড হয়ে গেলেন। হাত প্রসারিত করলেন সিলিঙ্গা নামে পরিচিত লংকান পেসার। পুরো ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবি রেখে গেলেন। বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানের নাভিশ্বাস তোলা শ্রীলংকার ‘মালি’ শেষ বেলায়ও আলো ছড়ালেন। শুরুতে লংকান ব্যাটসম্যানদের বড় রান এনে দেন। বুড়ো মালিঙ্গার নেতৃত্বে লংকান বোলিং আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় আটকালো সেই রান। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৯১ রানের বড় এক জয় উপহার পেলেন মালিঙ্গা।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলংকা। মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল আলাদা সাজ। ব্যাটিং করতে নেমেছেন করুনারত্নে-আভিস্কারা। কিন্তু মালি মালি চিৎকার ছুটে এসেছে গ্যালারি থেকে। লংকান ব্যাটসম্যানরাও মালির জন্য ভালো খেলতে চেয়েছেন। কুশল পেরেরার ১১১ রানের সুবাদে ব্যাটিংয়ে ৩১৪ রানের পুঁজি পেয়ে যায় শ্রীলংকা।
বল করতে নামার আগে মালিঙ্গাকে এভাবেই সম্মান জানান লংকান ক্রিকেটাররা।
জবাব দিতে নামা বাংলাদেশের শুরুতে ভালো ব্যাটিং করতে হতো। কিন্তু প্রথম ওভারেই শূন্য রানে তামিম ইকবালকে ফেরান মালিঙ্গা। অধিনায়কত্বের অভিষেক ডাক মেরে হলো তামিমের। একটু বাদেই নুয়ান প্রদীপের বলে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন।তিনি খেলেন ১০ রানের ইনিংস। পুরো ক্যারিয়ারে ইয়ার্কারের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠা মালিঙ্গা শেষ বেলায়ও ইয়র্কার দিয়ে মাত করলেন। সৌম্যকে তুলে নিলেন ১৫ রান করতেই। এরপর দলের ৩৯ রানে মাহমুদুল্লাহ ফিরতেই জয়ের সুবাস পেতে থাকেন মালিঙ্গারা।
সেই সুবাস উল্টো রথে ঘুরাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সাব্বির-মুশফিকের ব্যাটে আশা দেখছিল টাইগাররা। দলের বিপর্যয়ে তারা গড়নে ১১১ রানের জুটি। দলের ১৫০ রানে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে ফিরে যান সাব্বির রহমান। এরপর ১২ রান করে মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরের পর মুশফিককে রেখে ফেরেন মোসাদ্দেকও। বাংলাদেশ ১৮৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে মুশফিক ফিরতেই হার সময়ের ব্যবধান হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষে মুস্তাফিজুর রহমান ১৮ রান করলে জয়ের ব্যবধানই যা কমে। বাংলাদেশ ৪১.৪ ওভারে থামে ২২৩ রান করে।
শ্রীলংকার হয়ে কুশল পেরেরা ছাড়াও কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসরা ভালো ব্যাটিং করেন। তারা যথাক্রমে ৪৩ ও ৪৮ রান করেন। দিমুথ করুণারত্নে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশ ছিল বিবর্ণ। তিন বছর পরে দলে ফেরা শফিউল ইসলাম তিন উইকেট নেন। মুস্তাফিজ নেন দুই উইকেট। বোলিং পরিকল্পিত মনে হয়নি বাংলাদেশের। অধিনায়ক তামিমও ছিলেন রক্ষনাত্মক। শ্রীলংকার হয়ে বিদায় বেলায় তিন উইকেট নেন মালিঙ্গা। নুয়ান প্রদীপও নেন তিনটি উইকেট।

মূল ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভার করে খেলেছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এ রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ঠিক ২৪১ রানই করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।
ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচ নেয়া হয় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানেও হয়নি নিষ্পত্তি। কারণ দুই দলই নিজেদের ৬ বলে করতে পারে সমান ১৫ রান করে।
তবু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ বলে মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করেই উল্লাসে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড। কারণ তাদের জানা ছিলো সুপার ওভারেও টাই হলে শিরোপা উঠবে তাদেরই ঘরে।
সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী, যদি এ ৬ বলেও ম্যাচের ফলাফল না হয়, তা হলে যে দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সেই দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। দু’দলের মারা বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়েও যদি ম্যাচের নিষ্পত্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তখন দেখা হবে সুপার ওভারের শেষ বলে কোন দল কত রান করেছে। যে দল বেশি রান করেছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই দলই জিতবে।
ফলে মূল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছয় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়মানুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।