চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন সরাসরি প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান’
বিশ্বের সোয়া তিনশ’ ক্রুজ শিপের একটি ‘বে ওয়ান’। ২ হাজার অতিথি ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক প্রমোদতরীটি ১০৫ কোটি টাকা খরচে বাংলাদেশে এনেছে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করবে এটি। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার।
প্রাথমিকভাবে রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌনে তিনশ’ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পরদিন সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।
সপ্তাহে তিন দিন এ রুটে চলবে জাহাজটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কর্ণফুলী নদীর ওয়াটার বাস টার্মিনালে নোঙর করেছে ‘বে ওয়ান’।
৪৫০ ফুট লম্বা, ৫৫ ফুট প্রস্থের বিলাসবহুল জাহাজটিতে ১৭ জন ক্রু এবং যাত্রীসেবার জন্য দেড়শ’ স্টাফ আছেন। এখানে আছে তারকা হোটেলের মতো প্রেসিডেন্ট স্যুট, রয়েল স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টু ইন বেড কেবিন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আরামদায়ক চেয়ারসহ আধুনিক ব্যবস্থা। জাপানের কোবে শহরের মিতসুবিশি হেডি ইন্ডাস্ট্রিজে নির্মিত জাহাজটির ইন্টেরিয়র ও আসবাবে নতুনত্ব এনেছে কর্তৃপক্ষ। বাইরে মেঝেতে বসানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাসের গালিচা। দেশি-বিদেশি খাবার নিয়ে উন্নতমানের রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন, কয়েন পরিচালিত ঝর্না। করোনা সচেতনতায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও রয়েছে প্রতিটি ফ্লোরে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ‘বে ওয়ান’ জাহাজটি আনা হয়েছে। এটি পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়তে সক্ষম হবে।
১৯৯৪ সালে আমাদের শিপ বিল্ডার্স যাত্রা শুরু করে। প্রথমে বন্দরের জন্য ৫টি টাগবোট তৈরি করেছি। ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজ মেরামত আমাদের বড় অর্জন। পৃথিবীর কেউ চিন্তাও করেনি জাহাজটি চলবে। পৌনে ২৯ কোটি টাকা জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে জাহাজটির ১৫০ ফুট ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে তৈরি করতে পেরেছি। ১৬ হাজার টনের জাহাজটি এখনো সচল রয়েছে।
এ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার ড্রেজার নির্মাণ করে সরকারকে দিয়েছি। এখনো ড্রেজার নির্মাণ করছি। আপনারা শুনে খুশি হবেন ‘কাটার সাকশন’ নির্মাণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছি আমরা। এটি আমাদের দেশের জন্য ভাগ্যের ব্যবহার। কাটার সাকশন বিদেশে রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছি ইনশাআল্লাহ। এ পর্যন্ত ১২শ’ জাহাজ তৈরি করেছি, ৭-৮শ’ জাহাজ রিপেয়ার করেছি গত ২৫-২৬ বছরে। জাহাজ চালানোর ব্যবসা আমাদের ছিল না। আমাদের তৈরি ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ জাহাজ গত বছর জানুয়ারিতে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চালু করেছি। এ রুটে জাহাজ জীবনেও চলাচল করেনি। মানুষ এত ভালোভাবে এটি নিয়েছে। এটি আমাকে দেশের জন্য ক্রুজ শিপ আনার প্রেরণা দিয়েছে। জাপান থেকে এ জাহাজটি নিয়ে এসেছি।
এক স্টার্টে জাহাজটি ৯ দিনে বাংলাদেশে চলে এসেছে। পৃথিবীর সব দেশে এ জাহাজটি চলাচল করতে পারবে। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জাহাজ ঝড় তুফান কাত করতে পারে না। ২ হাজার যাত্রী নিয়ে এটি সৌদি আরব যেতে পারবে। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল, প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। সাড়ে ১১ হাজার হর্সপাওয়ারের ২টি ইঞ্জিন আছে। ৩ মেগাওয়াটের ৩টি জেনারেটর আছে। জাহাজটিতে ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে, জাহাজের কোনো পানি বা বর্জ্য সরাসরি সাগরে পড়বে না। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
তিনি জানান, জাহাজটিতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৮-২০ লাখ টাকা। এ ধরনের জাহাজ দেশে আরও চললে পর্যটকদের কাছে ভাবমূর্তি বাড়বে। দেশের টাকা খরচ করে বিদেশে ক্রুজ শিপে চড়তে যেতে হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের ১-৪ নম্বর সংকেত দেখালেও জাহাজটি নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। তবে মহাবিপদ সংকেত দিলে অন্যান্য বড় জাহাজের মতো এটিও নিরাপত্তার জন্য বহির্নোঙরে বা গভীর সাগরে অবস্থান নেবে।
বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সমুদ্রভ্রমণের জন্য ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ছাড়া বড় প্যাসেঞ্জার জাহাজ দেশে নেই। ব্লু ইকোনমি, মেরিটাইম ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা। সরকার নিরলস কাজ করছে। কিন্তু সরকার একার পক্ষে সব করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা দেশের মানুষের রিক্রিয়েশনের জন্য, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ‘বে ওয়ান’ ক্রুজ শিপটি এনেছি। সরকার টু সরকার চুক্তি থাকায় কলকাতা-আন্দামানসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আমরা যাত্রী নিয়ে যেতে পারবো। অনুমোদন পেলে ব্যাংকক, ফুকেট, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।
যদি সরকার অনুমোদন দেয় প্রতিবছর ২০-৫০ হাজার হাজি জাহাজে নিতে মাত্র ৭ দিন লাগবে। দরকার হলে আরও ৪-৫টি প্যাসেঞ্জার জাহাজ চার্টার করে নিয়ে আসব।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব চীন সাগর পেরিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর ছাড়ে ‘বে ওয়ান’। আন্দামান সাগরও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোষক তৈরীর তোড়জোড় চলছে। আবার কেউবা পুরাতনটাই ভালেভাবে মেরামত করে নিচ্ছে। সেই সাথে জেলায় প্রায় দুই শতাধিক কারিগররাও পুরাদমে ব্যস্ত সময় পার করছে। যেন তাদের সামান্য ফুসরত ফেলার সময় নেই। আবার কারিগররা আগে ভাগেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে লেপ-তোষক তৈরি করে রেখেছে। যে যত বেশি আগে তৈরি করে নিতে পারবেন, তার লাভ ততই বেশি হবে। কারন হিসাবে তারা জানান, পুরা শীতের মৌসুমে তাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। ফলে দোকানিরাও উপকরন গুলোর দাম বেশি হিসাবে বিক্রি করবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগে ভাগেই অর্ডার দিয়ে প্রয়োজন মত লেপ-তোষক বানিয়ে নিচ্ছে। অর্ডার পওয়ার পর কারিগররাও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কোটচাঁদপুরের জামতলার লেপ-তোষকের কারিগর মহিবুল ও মিজানুর জানান, শীত মৌসুমের পুরা তিন মাস (অগ্রায়ন, পৌষ, ও মাঘ) যে পরিমান কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বছরের বাকি দিন গুলো কাজ কম থাকায় সেই ভাবে ব্যস্ত থাকেনা। প্রয়োজনের তাগিদে অন্য পেশার দিকে যেতে হয়। বর্তমান শীত আসার পরপরই কাজ বেশি, তাই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। তারা আরও জানান, তাদের একটি লেপ তৈরিতে তাদেও সময় লাগে আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা। এভাবে প্রতিদিন তারা ৪-৫টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারেন। এখন দিনে তারা ৬-৭ শত টাকা আয় করে যা অন্য মাসে হয়না। আবার কাজ বেশি হলে বাড়তি লোক খোঁজ করতে হয়। ঝিনাইদহ তুলা ব্যবসায়ি রাসেল হোসেন জানান, শীত মোসুমের ৩ মাস যে ভাবে কাজের ব্যস্ত থাকে, সাধারনত বছররের অন্য মাস গুলোতে তারা অলস সময় পার করে। কোউ কেউ অন্য পেশায় চলে যায়। শীতের আগাম বার্তায় লেপ তোষকের অর্ডার বেড়ে যায়। তাই কারিগররাও ব্যস্ত থাকে। তিনি আরও জানান, তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশি। তবে ১ হাজার টাকার লেপের চাহিদা একটু বেশি। তবে আকার ভেদে, কাপড়ের তারতম্যে দাম বেশি কম হচ্ছে। তাছাড়া কেনা বেচা ভালইে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা যত বেশি হবে বেঁচাকেনাও তত বেশি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে সেই ২০১৪ সাল থেকে প্রকৃতিক গ্যাস এসে বসে আছে। কিন্তু সংযোগ নেওয়ার মতো কোন লোক নেই। অথচ এই গ্যাসের জন্য মানুষের মধ্যে ছিল কত হাহাকার, ছিল আন্দোলন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পকারখানাসহ বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বিদ্যুতের উপর যেমন চাপ কমতো, তেমনি মানুষের জীবনমানও আরো উন্নত হতো। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে গ্যাসের লাইন তৈরী, টাউন বর্ডার স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মান শেষ করে বসে আছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল)। ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিানাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের পস্তাব পাশ হয়। ২০১১ সাল থেকে এ অঞ্চলে জমি অধিগ্রহন শুরু হয়। জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এ পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫২টি মৌজা থেকে ২৬ ফুট এরিয়া নিয়ে মোট ১১৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে ৫২ কিলোমিটার গ্যাস লাইন তৈরী করা হয়। সুত্রমতে ২০১৪ সালে গ্যাস লাইন তৈরী শেষে পাইপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্যাস লাইন নেওয়ার কোন ইচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেই কোন উচ্চবাচ্য। তবে খুলনার কিছু ব্যবসায়ী তাদের কলকারখানায় গ্যাস লাইন নিয়েছেন বলে সুত্র জানায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা মতো শুধু শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সাথে টাউন বর্ডার স্টেশনের পাশে একটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের নিয়ম রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ সিলিন্ডারে কম টাকায় ভরে গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। আগে বাসাবাড়িতে কোন গ্যাস যাবে না। ঝিনাইদহে গ্যাস সংযোগের সর্ব শেষ অবস্থা সম্পর্কে ভেড়ামারার ইনচার্জ সুমন মল্লিক জানান, আমরা গ্যাস সরবরাহ করিনা না, শুধু লাইন নির্মান করি। গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল)। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস নিতে হলে সেখানে আবেদন করতে হবে। ঝিনাইদহ থেকে ২/১টি আবেদন জমা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সরবরাহের পক্রিয়া চলমান আছে। কেও ইচ্ছা করলে বিসিকের আশেপাশে একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে গ্যাস নিতে পারবেন। তবে বিসিক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস নিতে হলে অনেক টাকা দরকার। নতুন মেশিন সেটআপ দিয়ে গ্যাস নিতে হবে।
মোঃআবু রায়হান স্টাফ রিপোর্টার(ময়মনসিংহ)
ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে অস্থির হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের ফুলপুরে পেঁয়াজের বাজারও। জেলা শহরের পাইকারি বাজারে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যত বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।ফুলপুর বাজারের দোকানগুলোতে বেলা ৩টার দিকে যে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৬ টাকা ছিল, সন্ধ্যা ৭টায় তা উঠে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
আর একই বাজারের পাইকারী বিক্রেতাদের দোকানে ৪২ টাকা কেজির ভারতীয় পেঁয়াজ রাত আটটায় হয়ে যায় ৫৬ টাকা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও যেখানে পেঁয়াজের বাজার শান্ত ছিল। প্রতি কেজির দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। ভারতের বাজারে বাড়তেই ফুলপুরে মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকায় উঠে। এরপর দাম কিছুটা কমেছিল, তা আবার বেড়ে গেল।
ফুলপুরে আমুয়াকান্দা বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে পেঁয়াজ কিনতে মানুষের হিড়িক পড়ে গেছে। ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।ফুলপুর উপজেলার সকল বাজারে একই চিত্রের কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সাহাপুর বাজের একজন বলেন, তিনদিন আগেও ৫০ টাকায় কিনেছিলাম দেশি পেঁয়াজ, আর ভারতীয় পেয়াজ ছিল ৪৫ টাকা কেজি। একদিনেই তা হয়ে গেল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, এ কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।ফুলপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানী বলেন, তার দোকানে অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুদ ছিল না। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে খবর ছড়ালে মুহুর্তেই তার দোকানের সকল পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে যায়। এখন ফেরত যাচ্ছেন ক্রেতারা। যে হারে দাম বেড়েছে, পাইকারী বাজার থেকে পেঁয়াজ ক্রয়ের সাহসই পাচ্ছেন না তিনি।
ভালুকা ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, এমপি মহোদয় আজ ভিডিও কনফারেন্সেের মাধ্যমে ময়মনসিংহের ভালুকায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
২৭আগস্ট বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আয়োজনে ভালুকা ১৩২/৩৩ গ্রিড শুভ উদ্বোধন করেন।
ময়মনসিংহের জেলার প্রশাসক মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভালুকার মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি মহোদয়, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জনাবা মনিরা সুলতানা মনি মহোদয়, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি এড. জহিরুল হক খোকা, সহ সভাপতি জনাব আমিনুল হক শামীম সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চপদস্থ সহ কর্মকর্তাগন, মাননীয় এমপি মহোদয়ের একান্ত সচিব ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সুমিত চক্রবর্তী নিপুণ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ইউটিউবে মাল্টা বাগানের ভিডিও দেখে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিার্থী ফজলে রাব্বী (২৫) আহদান এগ্রো প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে বাবার সাথে পরামর্শ করে শুরু করে মাল্টা বাগান’। কৃষি উদ্যোক্তা রাব্বি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্ত্বিপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম মোল্লার বড় ছেলে। রাব্বি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স এন্ড মার্কেটিং এর মাষ্টের্সের ছাত্র। মাল্টা দিয়ে শুরু করলেও ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা আহদান এগ্রো প্রজেক্ট বর্তমানে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন, ১ বিঘা জমিতে কমলা ও চায়না কমলাসহ বাকি জমিতে মৌসুমী ফসলের চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ড্রাগন ও মাল্টা গাছে গত বছর থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। ফল বিক্রি করে আশানুরূপ মুনাফা পাওয়ায় প্রজেক্ট আরো বর্ধিত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এবারে প্রজেক্ট যোগ করতে চাচ্ছেন গবাদী পশুপালন। রাব্বি জানান, ২০১৬ সালে দেড় বিঘা জামিতে লাগানো মাল্টা গাছে মাত্র আড়াই বছর বয়সেই ফল এসেছিল। এবছর ১৫০ টি গাছের প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে। এর মধ্যে কিছুকিছু গাছে ১ মণের বেশি ফল এসেছে। সাধারণত আগষ্ট, সেপ্টেম্বর মাসে ফল বিক্রির উপযোগী হয়। বয়সের সাথে সাথে ফলের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে রাব্বি জানান। বর্তমানে তার প্রজেক্ট ৩ বিঘা জমিতে বারি-১, বারি-২ ও ভিয়েতনামী জাতের মাল্টার চাষ থাকলেও নতুন উদ্যোক্তাদের বারি-১ জাতের মাল্টা চাষের পরামর্শ দেন তিনি। ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মাল্টা গাছ লাগিয়ে ৫ বছরের মাথায় খরচ বাদে কমপে দেড় ল টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি জানান। গাছের পরিচর্যা নিয়ে কথা হলে রাব্বি জানান, মাল্টা গাছে অধিক পরিমাণে জৈব সার ও অল্প পরিমাণে ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হয়। খরা মৌসুমে সেচ দিতে হয়। এ ছাড়া বাড়তি কোনো যত্ন নিতে হয় না। মাল্টা গাছে সাধারণত ভাইরাস জনিত রোগ, পাতা মোড়ানো ও ছত্রাকজনিত রোগ দেখা যায়। ফল আসলে পিপঁড়া ও মিলিবাগ পোকার আক্রমণ হতে পারে। এইজন্য ক্যারাইটি, কপার অক্সিকোরাইড ও সাইফারম্যাথিন নামক কিটনাশক কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা হুমায়ূন কবীর জানান, এ উপজেলায় ৩-৪ বছর ধরে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ হচ্ছে। এ দুটি ফসলই বেশ লাভজনক। বর্তমানে রাব্বিদের মতো অনেক শিতি যুবক কৃষিতে এগিয়ে আসছে। এরাই আমাদের আলোর দিশারী। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস এ ধরনের কৃষি উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে বিভিন্ন সময়ে ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে আরো দ করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহে পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন চাষীরা। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ জমির পাট জমি থেকে কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২’শ ২০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৬’শ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮’শ ২০ হেক্টর, মহেশপুরে ৩ হাজার ২’শ ১০ হেক্টর, শৈলকুপায় ৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর ও হরিণাকুণ্ডুতে ৩ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৪’শ ৯৬ মেট্টিক টন। পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হচ্ছে না।
কারণ হিসেবে কৃষকরা বলছেন, পাটের বাড়ন্ত সময় বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের পাটচাষী রুহুল আমিন জানান, পাটবীজ জমিতে রোপন করার পর পাটের চারা ভালো গজিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় শেকড় গজিয়ে যায়। যে কারণে র বাড়ন্ত কমে যাওয়ায় এবার ফলন কম হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে একটি জমির পাট বড় না হওয়ায় শুরুর দিকে তা কেটে অন্য আবাদ করছি। ২ বিঘা জমিতে যে পাট ছিল তারও ফলন ভালো হয়নি। এবছর পাট চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে এ বছর পাটের আবাদ করেছেন। পাট বীজ, চাষাবাদ, সার প্রয়োগ, নিড়ানী, পাট পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ, পাট জমি থেকে কেটে পানিতে জাগ দেওয়া, আশ ছাড়ানো পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা।
২২ কাঠা জমিতে তিনি পাট আশা করছেন ১৩ থেকে ১৪ মন। যার বর্তমান বাজার মুল্যে ২৮ হাজার টাকা। পাটকাঠি বিক্রি হবে ৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তার লোকসান হচ্ছে ১ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমার জমিতে অন্যদের তুলনায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবুও লোকসান হবে। তাহলে যাদের ফলণ ভালো হয়নি তাদের কি পরিমান লোকসান গুনতে হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামের পাটচাষী রাশেদ মোল্লা বলেন, বর্তমানে বাজারে পাটের দাম ১৬’শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও উৎপাদন কম হওয়ায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও পুরণ হচ্ছে না উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতা করার হবে।
দেশীয় জনপ্রিয় অনলাইন কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স সাইট ‘ইভ্যালি’-তে কেনাকাটা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সতর্ক করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মাহবুব কবির মিলন। আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) মাহবুব কবির মিলন তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে ইভ্যালি বিষয়ে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। অনলাইন কেনাকাটায় কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রাহক হয়রানির সুযোগ থাকছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্ণমেলা নিউজ ২৪ ডটকম পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল:
‘Evaly.com.bd নিয়ে ব্যাক্তিগত ইন্টারেস্ট নেই আমার। ১০০% বা ১৫০% ক্যাশ ব্যাক অফার কতটা নৈতিক বা অনৈতিক, সে প্রশ্নেও যাব না। মুফতে বা অতি সহজে পাওয়ার আগ্রহ আমাদের কতটা তা আমরা সবাই জানি। ক্যাশ ব্যাক অফার আর ডিসকাউন্ট এর পার্থক্য এখনো আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। ব্যবসা করার অধিকার সবার আছে। তেমনি আছে ইভ্যালির।
ইভ্যালি বা এরকম ব্যবসার ধরণ কতটা যুক্তিযুক্ত বা নীতি বিরোধি তা দেখবে সরকার। ক্রেতার ভোগান্তি বা অধিকার লঙ্ঘন হলে তাঁরা অনায়াসেই অভিযোগ দায়ের করতে পারে। কাজেই ইভ্যালি প্রসঙ্গে আমি ব্যাক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি। যদিও সমানে আমাকে ট্যাগ বা ইনবক্স করা হচ্ছে অসংখ্য অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
মজার বিষয় হচ্ছে কোন অভিযোগকারী নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিযোগ দায়ের করছেন না। শুধু কমেন্টে গালাগালি, বিরক্তি বা কটু কথা বলেই খালাস। কারণ, সবাই আশায় থাকেন, যদি এরকম ক্যাশ ব্যাকে পণ্য পেয়ে যাই শেষ পর্যন্ত। বড়ই তাজ্জব বিষয়!!
ইভ্যালির স্পেশাল অফারের ৫ নং শর্তে স্পষ্ট বলা আছে পণ্য সরবরাহ করা হবে ৭-৪৫ দিনের মধ্যে। কাজেই ৪৬ দিন হয়ে গেলেই অধিকার লঙ্ঘন হয়ে যায়।
৬ নং শর্তে বলা হয়েছে, পণ্যের স্টক থাকা পর্যন্ত অফার চলবে। এখানেই সবাই ধরা খেয়ে যাচ্ছেন। কেউ জানেন না পণ্যের সংখ্যা আসলে কয়টি। সাইক্লোন অফারে সবাই ছুটছেন সাইক্লোনের মত।
মনে করে নেই, পণ্য আছে মাত্র ৫টি। যেহেতু আমরা জানি না পাঁচটি, কাজেই টাকা জমা দিল হয়ত ১০০ জন। তাহলে দেখা যাচ্ছে পণ্য পাবেন মাত্র পাঁচজন। বাকি ৯৫ জনের টাকা ঝুলে থাকবে দিনের পর দিন।
সো, সবাই জেনেই যাচ্ছেন সেখানে। আপাতত আমাদের করার কিছুই নেই। যেহেতু অনলাইন ব্যবসা বা অনলাইনে এরকম ক্রয়-বিক্রয়ের কোন নীতিমালা বা নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের, তাই যা করবেন, বুঝে শুনেই করবেন।
আর ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন হলে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তবে ইভ্যালির পেজে কমেন্ট পড়ে বেশ মজা পাই। মাঝে মাঝে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে থাকি। যদিও গতকালের করা একটি কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে ইভ্যালি।
আমার কমেন্টের ধাক্কা সামলাতে না পারলে অন্য ধাক্কা সামলানো যে কঠিন।
শুভকামনা ইভ্যালি এবং তার ক্রেতাদের।
*** এটা সবার বুঝা উচিৎ যে, বিক্রেতা বা কোম্পানি আপনাকে পণ্যের সাথে ১০০% বা ১৫০% টাকা ফেরত দিচ্ছে, নিশ্চয়ই তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বা পকেট থেকে নয়। নিশ্চয়ই অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বা অন্য কোন অনৈতিক উপায়ে
কামরুজ্জামান, মিনহাজ, স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন মুজিব বর্ষের প্রণোদনা ঋন বিষয়ে ত্রিশালের বিভিন্ন ব্যাংক ব্যাবস্থাপকদের নিয়ে মত বিনিময় ও আলোচনা সভা করেছে। ৮জুলাই বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ত্রিশাল তরিকুল ইসলাম তুষার, উপজেলা কৃষি অফিসার সোয়েব আহমেদ সহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এই মত বিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিব বর্ষের ঋণ বিতরণ প্রসংঙ্গে ত্রিশাল দরিরামপুর শাখা ব্যাবস্থাপকের কাছে বিভিন্ন তথ্য চাইলে কোন তথ্য না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ায় তাঁর প্রতি আলোচনায় কেউ সন্তুষ্ট হতে না পেরে ত্রিশালে মুজিব বর্ষ ঋণের বিতর্তিক ঘটনাটি উপস্থাপিত হয়।
এ সময় মুজিব বর্ষের ঋণ দালালদের তত্ত্বাবধানে বিতরণ হওয়া প্রসংঙ্গে মিডিয়া নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বক্তা আলোচনা রাখেন।
পরে ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র বিষয়টি যাচাই করতে প্রসাশনকে জরুরী ভিত্তিতে একটি তদন্তকমিটি গঠন করার আহবান জানান।
ফকরুদ্দীন আহম্মেদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের চলমান নভেল করোনা ভাইরাস সমস্যা মোকাবেলা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের ১লক্ষ ১হাজার ৯শত ৮৮টাকা রাজস্ব উদ্বৃত্তসহ করবৃদ্ধি না করে ২৯কোটি ৯৯লক্ষ ১৭হাজার টাকার বাজের্ট ঘোষণা করেছেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন ২০২০) ইং তারিখের সকালে পৌরসভা সভাকক্ষে এই বাজের্ট ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর,পৌর কর্মকর্তা- কর্মচারী ও মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।
এই বাজেটে রাজস্ব খাতে ৫কোটি ৯৯লক্ষ১৭হাজার টাকা, নগর উন্নয়ন প্রকল্পে ৭কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ১৫কোটি টাকা, মশক নিধন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় ২কোটি টাকাসহ ২৪কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে আয় ধরা হয়েছে। অপরদিকে রাজস্ব ব্যয় ৫কোটি ৯৮লক্ষ ১৫ হাজার ১২টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।
এবারের বাজেট প্রণয়নে যে সব খাতে আয় ও ব্যয়ের যে প্রস্তাব করেছেন তার মাঝে আয়ের খাত ধরেছেন, হোল্ডিং কর ও স্থাবর সম্পত্তি কর খাত হতে ১কোটি ৫৬লক্ষ ৯১হাজার টাকা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রনীত পৌরসভা আদর্শ কর তফসিল ২০১৪এর আলোকে রেইট/ ফি, বাবদ ৫১লক্ষ ৫০হাজার টাকা, পেশা, ব্যবসা, কলিং ও বাবদ ৪৪লক্ষ টাকা, ইমারত নির্মাণ, রোড রোলার ও অন্যান্য খাতে ৮লক্ষ টাকা, উন্নয়নখাত ব্যতীত সরকারি অনুদান নানান খাতে ২কোটি, ১১লক্ষ ৫০হাজার টাকা, পানি সরবরাহ ও অন্যান্য খাতে ধরেছেন ২৭লক্ষ ৮৯ হাজার ২শত ৭৭টাকা, হাট- বাজার, মার্কেট, টয়লেট, টেম্পু স্ট্যান্ড হতে ৮৯ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ও পৌর মার্কেট হতে ৯লক্ষ ৮১হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প, মিউনিসিপ্যাল গভর্ণন্যান্স এন্ড সার্ভিসেস প্রকল্প (এমজিএসপি)বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)ও অন্যান্য খাতের আওতায় ২৪কোটি টাকা ধার্য করেছেন।
অপরদিকে এবারে বাজের্টে যেসব খাতে ব্যয় ধরেছেন ধরেছেন তা হলো সাধারণ ও সংস্থাপন খাতে ৩কোটি, ৩৬লক্ষ, ৩৭হাজার, ২শত ৭৭টাকা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও বৈদ্যুতিক মালামাল খাতে ৩০লক্ষ ৫০হাজার টাকা, টয়লেট, নলকুপ, স্যানিটেশন, পানির লাইন স্থাপন খাতে১১লক্ষ ৫৫ হাজার ও কন্জারভেন্সি খাতে ১১লক্ষ টাকা, হোল্ডিংকর পানির বিল আদায় খাতে যাবতীয় খরচ ২লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান ১০লক্ষ টাকা, ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সংস্কৃতি খাতে ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা, তথ্য, যোগাযোগ, প্রযুক্তি ও প্রচার/ বিজ্ঞাপন বাবদ আইসিটি খাতে ১লাখ ৫০হাজার ও প্রচার/ বিজ্ঞাপন খাতে ৩ লক্ষ টাকা, ঔষধ, চিকিৎসা, ইপিআই, এন আই ডি, মশক নিধন ও কেভিট- ১৯ ঔষধ ও চিকাৎসা (ভ্যাকসিন ক্রয়) সহ ৪লক্ষ টাকা, ইপিআই খাতে ১লক্ষ ৫০হাজার ও মশক নিধন কেভিট-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধে ১০লক্ষ টাকা, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য ৬লক্ষ টাকা ও পৌরসভার নিজস্ব তহবিল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)’র গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প ডেন নির্মাণ ও মেরামত, ব্রীজ- কালভার্ট, ফুটপাত নির্মাণ- মেরামতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের আওতায় সর্বাধিক ২৩কোটি,৭৫ লক্ষ,টাকা ব্যয় ধার্য করে পৌরসভার উন্নয়েনের ধারাকে অব্যহত রাখতে নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়নে এ বাজেট ঘোষণা করেছেন ত্রিশাল পৌরসভার দু’বারের নির্বাচিত সফল মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ। বাজেট সমাপনী বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, করোনার এই কঠিন সময়ে সবাইকে যুদ্ধা হতে হবে আতংক নয় সচেতনতায় করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরে মেয়র সবার কাছে দোয়া চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা চেয়ে বাজেট অধিবেশন আলোচনা শেষ করেন।