সংস্কারের অভাবে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পোস্ট অফিসটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে জরাজির্ণ পোস্ট অফিসের সামনে দা-বটির দোকান বসার কারণে দেখে বুঝার উপায় নাই এইটা পোষ্ট অফিস নাকি দোকান ঘর। জানা যায়, ১৯৮২ সালে তাহের আলী সরকার পোস্ট অফিসের জন্য মাটির একটি ঘর বরাদ্ধদেন তখন তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু সরকার পোস্ট মাস্টার ছিলেন তিনি মারা গেলে তার বাতিজা আশরাফুজ্জামান সরকার পোস্ট মাস্টারের দ্বায়িত্বে নেন, চাকুরি করার ইচ্ছা পোষণ না করায় স্বেচ্ছায় অব্যহতি নেন। অব্যহতি নিলে বরাদ্ধকৃত ঘরটি তারা দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন।
২০১০ সালে পোস্টম্যান আবদুর রউফ সিডষ্টোর বাজারের সরকারী সেটের পাশে কিছু অংশে একটি টিনসেট ঘর তৈরি করে অফিস পরিচালনা করে আসছেন এরপর ২০১৩ সালে মোঃ লোকমান হোসেন পোস্ট মাস্টার পদে নিয়োগ পেলে সেথেকে অদ্যাবধি আর কোনো সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের চালা ছিদ্রহয়ে পানি পড়ে অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। দরজা, বেড়ার অবস্থাও জরাজীর্ণ। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্য হয়ে ডাকঘরের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ডাকঘরটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও বিচ্ছিন্ন। ডাকঘরে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের সংকট রয়েছে। আসবাবপত্র যা আছে তা দীর্ঘদিনের পুরানো। এখন এগুলো ব্যবহারের অযোগ্য।
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন একটি শিল্পন্নত এলাকা এই পোস্ট অফিস থেকে বছরে প্রায় আট লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে থাকেন।
হবিরবাড়ী পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার মোঃ লোকমান হোসেন জানান, জরাজীর্ণ এ পোস্ট অফিসটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও জনপ্রতিনিধির নিকট এ ব্যাপারে বহুবার সংস্কারের আবেদন করা সত্ত্বেও অদ্যাবধি সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য কোনো আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। জায়গাটি সিডষ্টোর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নিয়ন্ত্রণে থাকায় অফিসের সামনে দা, বটির দোকান বসিয়েছে। পোস্ট অফিস নাকি দোকান ঘর দেখে বুঝার উপায় নাই।
তিনি আরো জানান গত ১২-০২-২০১৪ সালে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর হবিরবাড়ী অস্থায়ী পোস্ট অফিস স্থাপনের জন্য আবেদন করেন। এরপর ১৫-০৩-২০১৫ সালে আবারো উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর হবিরবাড়ী ডাকঘর সংস্কার প্রসঙ্গে আবেদন করেন। এসব আবেদনের কোন প্রতিকার বা আশ্বাস পায়নী । লোকমান হোসেন বলেন সরকারী কোন বরাদ্ধ না থাকায় জায়গার অভাবে নতুন ভবন নির্মান করা যাচ্ছেনা।
তিনি আরো বলেন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কম্পিউটার, ল্যাপটপ,সহ মুল্যবান অনেক সরকারি সম্পাদক যা উক্ত টিন শেট ঘরে রাখা মোটেই নিরাপদ না। হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ডাকঘরটির নিজস্ব জায়গা না থাকায় সরকারি ভবন নির্মাণ বা সংস্কার বাবাদ সরকারি কোন বরাদ্ধ নাই।
