ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা থেকে তিনবারের নির্বাচিত মেয়র সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবনেতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন চেয়ারম্যান এর সুযোগ্য সন্তান, বৃহত্তর ময়মনসিংহের শীর্ষ জনপ্রিয় ব্যক্তিদের একজন আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ ফিড়লেন আওয়ামীলীগেরই পতাকায়। এ নেতা ১৯৮০সাল থেকে ছাত্রলীগে পা রাখেন। ১৪ বছর ছাত্রলীগ করেন। ১৯৯৪ সালে ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর একাধারে ১৮ বছর যুবলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। হাজার হাজার নেতা কর্মী নিজ হাতে তৈরি করেছেন। এ নেতা রাজনীতির মাঠ থেকে কোন প্রকার পরাজয় তাঁর জীবনে নিয়ে আসেননি।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছেন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে, কয়েক হাজার ছাত্র তার কর্মী ছিলেন। ১৯৯১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতা আসলে সেই ছাত্রনেতাদের নিয়েই ত্রিশালের ঘরে ঘরে গড়ে তুলেন এক বিশাল যুব প্ল্যাটফর্ম। ১৯৯৪ সালে যুবলীগের সম্মেলনে ব্যাপক ভোটে থানা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ত্রিশালের আনাচে কানাচে যুবলীগের কর্মী সংগ্রহ করে সারা ত্রিশালেই যুবলীগ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ সৃষ্টি করেছিলেন।
যুবলীগের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ত্রিশালের যুবলীগ সংগঠনকে একটি মডেল সংগঠন হিসেবে পেয়েছিলেন। ওই সময়কার ত্রিশাল থানা যুবলীগের প্রতিটা সদস্যই আওয়ামীলীগের পরিবার থেকে খোঁজে নিয়েছিলেন এবং সকল সদস্যই দক্ষ জনপ্রিয় ও মেধাবী ছিলেন। এই দক্ষ যুব নেতাদের নিয়ে সেই দিনগুলোতে অসহযোগ আন্দোলনে মেয়র আনিছ রাজপথে থেকেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, কখনো পিছুরপা হননি। দলীয় প্রতিটি প্রোগ্রাম চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে সফল করেছেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল সেখানেও আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী বিজয় করে আনতে তাঁর ব্যাপক পরিশ্রম ছিল। ২০০১ সালে ত্রিশাল আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়েও তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এতপর ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনের পুরোটাই পরিচালনা করেছেন তিনি। বর্তমান সরকারের ত্রিশাল থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পিছনে দিবা রাত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল দৃশ্যমান। এর মাঝেও ত্রিশাল পৌরসভা থেকে পরপর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী পরাজয় হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে জনগনের দাবী রাখতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে হয়েছিল এবং নির্বাচিত হয়েছেন এই সময়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিধি নিষেধ আরোপ করেন অতপর ত্রিশালের লাখো জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ২৭ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছের উপর থেকে সকল ধরনের বিধি নিষেধ তুলে নেন। এনিয়ে ত্রিশাল উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত। আগামীদিনে ত্রিশাল আওয়ামীলীগ সংগঠিত করতে আবারো কর্মীরা তাদের নেতাকে কাছে পেল। আবারো দলকে সুসংগঠিত করতে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় পতাকার নিচে ফিড়িয়ে এনেছেন।
