ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১ নং ধানীখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: মামুনুর রশিদ সোহেলের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে । ধানীখোলা নাগেশ্বরী নদীর পশ্চিম এলাকার জনসাধারণ ত্রিশাল থানায় হাজির হয়ে সোহরাব আলীর পুত্র চেয়ারম্যান সোহেলের ইটভাটায় মাটি কাটা বিষয়ক অভিযোগে বলা হয়েছে, বেশকিছু ডাম্পট্রাকের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী । প্রতিনিয়ত ১৪/১৫টি ডাম্পট্রাকের বিকট শব্দ আর ধুলাবালিতে বাড়ি ঘর দোকান পাট , মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে । এছাড়াও এসব ডাম্পট্রাক বেপরোয়াভাবে চালিয়ে রাস্তাঘাট খানাখন্দ করে ফেলার কারনে এলাকাবাসি কোন গাড়ীতে যাতায়াত করতে পারেনা।সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে যায়। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করলেও কোন তোয়াক্কা না করে তার কাজ করেই যাচ্ছে আর দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
অভিযোগকারীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নদী কিংবা মাঠ যাই হোক মাটি কাটায় পরিবেশ নষ্ট আর ধুলাবালি নাকে- মুখে গিয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির সন্মুখিন হচ্ছে প্রতিটি মুহুর্তে। নিয়ম অনুযায়ী ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন। কোন আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে সরকারী,বেসরকারী জমির মাটি কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তনসহ এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলেছে।প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইউএনও ত্রিশাল,এসিল্যান্ড ত্রিশাল ও ত্রিশাল থানায় গণঅভিযোগ করা হয়েছে । আমরা সমাধানের অপেক্ষায় আছি, বাঁচতে চাই ।এলাকাবাসী প্রতিকার চাইলে উল্টো ভুক্তভোগীদের চাঁদাবাজ বানিয়ে ইউএনও ত্রিশাল এর নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন বলে জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো: মামুনুর রশিদ সোহেল জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার ব্যবসা করি কোন অভিযোগ নেই,এখন কেন অভিযোগ। সারোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি আক্রোশ বশতঃ এই অভিযোগ করেছেন।
ত্রিশাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান,এলাকাবাসী দায়ের করা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,ওসি স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
