মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে? জবাব ছিলো এমন
বর্ণমেলা ডেস্কঃ
জার্মানির এক টিভি লাইভশোতে একজন জার্মান মুসলিম স্কলারকে যখন উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে? তখন তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব এভাবে উল্টো প্রশ্ন করে দেনঃ-
১. যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
২. যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
৩.যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
৪.যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
৫.যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকা বর্তমান যুক্তরাষ্ট ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
৬. যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম?
উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলিমরা কখনো জড়িত ছিলনা।
ইরাক, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে তেল, গ্যাস লুন্ঠন কি মুসলমানরা করেছিল?
আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, খুন খারাপি করে তখন এটাকে বলা হয় আত্মরক্ষা আর যখন কোন মুসলিম আত্মরক্ষার্থে কিছু করে, তখন এটাকে বলা হয় জঙ্গীবাদ!
ইসরাইলি ইহুদিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী, পুরুষদের উপর হামলা করলে হয় আত্মরক্ষা এবং ফিলিস্তিনের জনগণ উহঃ আহঃ শব্দ করলে হয় মৌলবাদী বা জঙ্গি!
মুসলমানের শত্রুরা এখন মুসলমানদের নাম ও চিহ্ন ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে, নিজেরা নিজেদের দেশের জনগনের কাছে সাধু সেজে মুসলমানদের উপর তথাকথিত জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের নামে মূলত মুসলমানদের তেল, গ্যাস, ভূমি, দেশ লুটপাট করছে।
আল-কায়েদা, বোকো হারাম, ইসলামী এস্টেট বা ISI শুনতে ইসলামী নাম হলেও এগুলোর কার্যক্রম থেকে পরিস্কার বোঝা যায় এগুলো ইউরোপ-আমেরিকানদের তৈরী, ঐসব কপাল-পোড়া সংগঠনের সাথে ইসলাম, মুসলমানদের দূরতম সম্পর্ক নেই ইনশাআল্লাহ।
একটা সময় ছিল যখন ক্ষমতালোভী, সাম্রাজ্যবাদীরা অন্য দেশ, অন্য ধর্মের জনগনের উপর সরাসরি আক্রমন ও তাদের সম্পদ লুট করত। এখন আধুনিক যুগ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কেউ কোনো অন্যায় করলে তা ছবি ও ভিডিওসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, এছাড়া দেশে দেশে গনন্ত্রান্তিক ব্যবস্থা বিরাজমান।
কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট মারাত্মক ভুল করলে তাকে বা তাদেরকে অনেক বেগ পোহাতে হয়। এখন আর কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। তাই কেউ রাস্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অন্য দেশের উপর সরাসরি আক্রমন করে না বরঞ্চ অন্য নামে করে থাকে। তাতে সাপও মরে আর লাঠিও ভাঙ্গে না, আর এরা এ থেকে ফায়দা লুটার ফন্দি করে।
“ইসলামী জঙ্গি” নামে কেউ সন্ত্রাস করলে বুঝতে হবে এসব ইসরাইলি- আমেরিকানদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা। কালেক্টেড
