ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বালু রেখে জমজমাট ব্যবসা চলছেই। মহাসড়কের দুইপাশে রাখা বালু অপসারনে ট্রাক চালকদের সাথে মতবিনিময় ও ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করার পরেও থামানো যাচ্ছেনা এই বেয়াইনি ব্যবসা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার কাজির শিমলা এলাকা থেকে ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত ২৮টি বালুর স্তুপ। মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ দখল হয়ে গেছে। আর এসব কারণে যানবাহন চলাচল দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। অকালে ঝরে যাচ্ছে মূল্যবান প্রাণ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান। ঐ সময় মহাসড়কে বেআইনিভাবে বালু ফেলে জমিয়ে রাখার অপরাধে একজনকে ১০ হাজার ও অপর বালু ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কের পাশ থেকে এসব বালু অপসারণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তিনি বলেন এ অভিযান নিয়মিত চলবে।
শনিবার (০৫ মার্চ) মহাসড়কের দুপাশে বেআইনীভাবে বালু (নির্মাণ সামগ্রী) রাখায় জনচলাচলে মারাত্বক দুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের চুরখাই শাখায় উপজেলা প্রশাসন ও কোতোয়ালী মডেল থানার উদ্যোগে মটরযান কর্মচারী ও ট্রাক চালকদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশাসনের বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে বালু অপসারণ, রাস্তা বালু না রেখে নিজস্ব জায়গা বালু রেখে ব্যবসা করতে ট্রাক চালকরা একমত পোষণ করে বলেন, দুর্গাপুরে ট্রাক ভর্তি বালু বোঝাই রয়েলটি নামীয় ফি ৬ থেকে সাত হাজার হওয়ায় তারা বাধ্য হয়েছে অভারলোড করছে। বর্তমানে প্রতিটি ট্রাকে সাত শত ফুট পর্যন্ত বালু বোঝাই হচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করেন, অভিযান চলমান থাকার কথা থাকলেও পরবর্তী সময়ে অভিযান চলমান না রাখার কারণে মহাসড়কের পাশে দেদারছে চলছে বালু সহ নানা ধরনের বেআইনি ব্যবসা। প্রশাসনের সঠিক ভুমিকা বাস্তবায়ন হলেই মহাসড়কে পুরোপুরি বন্ধ হবে সকল ধরণের বেয়াইনি ব্যবসা।
