রোহিঙ্গারা মুক্তিপণ দাবি করেছে ২০ লাখ টাকা
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ মাঙ্গালাপাড়া বাতিঘর কটেজ এলাকা থেকে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি অরূপ কুমার চৌধুরী।
অপহৃতরা হলেন, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মাঙ্গালা পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)।
অভিভাবকরা রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাধে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুইজনই রোহিঙ্গা ছিল। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না।
নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। অন্যথায় তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে তারা।
রামু থানার ওসি অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বিষয়টি টেকনাফ থানায় এলাকায় পড়েছে। আমরা তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্ত করবো। নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু পারা যায় ততটুকুই চেষ্টা করবে পুলিশ।
