ময়মনসিংহ থেকে ফরিদপুরে এসে লাশ হলেন সুফিয়া
অনলাইন ডেক্সঃ
ময়মনসিংহ থেকে ফরিদপুরে এসে লাশ হলেন সুফিয়া খাতুন (৩১)। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর এলাকার খাল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে সুফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি।
ওসি বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর পিবিআই ও সিআইডির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর নিহত সুফিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রিপন মল্লিককে গতকাল বুধবার (১৫ডিসেম্বর) রাঁতে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি প্রেমের টানে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কচুরি গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে সুফিয়া বেগম ফরিদপুর সদরের ছোট বটতলা এলাকার বাসিন্দা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রিপন মল্লিকের (১৯) কাছে এসে খুন হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ বছর আগে চাচাতো ভাই মোঃ সুমন মিয়ার (৩৭) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আট বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে রিপনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সুফিয়া। জানাজানি হওয়ার পর স্বামী সুমন মিয়া তাকে তালাক দেন। এ ঘটনার পর সুফিয়া প্রেমিক রিপনকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রিপন নিজের বয়স কমের অজুহাতে বার বার তাকে পাঁশ কাটিয়ে যাইতেছিলেন।
এক পর্যায়ে রিপন গত ১১ ডিসেম্বর সুফিয়াকে বিয়ে করার কথা বলে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। ফরিদপুরের শিবরামপুর আসার পর রাঁত হয়ে যায়। পরে রিপন তাকে খালপাড়ের একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহটি পাশের খালের পানিতে ফেলে দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক প্রসাদ কুমার চাকী বলেন, রিপন মল্লিকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক অরুপ বসাক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
