ডা. মুরাদের বাড়ি কামলা এখন সরিষাবাড়ীর আতঙ্ক
অনলাইন ডেক্সঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষের আতঙ্কের নাম ডা. মুরাদ হাসান পরিচালিত মুকুল বাহিনী। এই বাহিনীর প্রধান সাখাওয়াত আলম মুকুল। তিনি সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর কথিত প্রতিনিধি। তার নেতৃত্বে এতদিন পুরো উপজেলায় চলেছে সরকারি বরাদ্দের হরিলুট, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি।
মুরাদ হাসান ইস্যুতে বর্তমানে মুকুল আত্মগোপনে রয়েছেন। ২ দিন যাবৎ সে নিখোঁজ।
উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চৌখা গ্রামের শাহজাহান আলী সেকের ছেলে সাখাওয়াত আলম মুকুল। জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. মুরাদ হাসান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাড়ির ফরমায়েশ খাটতেন দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই মুকুল। একপর্যায়ে ওই বাড়ির কাজের মেয়ে মোর্শেদা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
জীবন জীবিকার তাগিদে অটোরিকশা, সিএনজি চালক মুকুল।
ডা. মুরাদ হাসান এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হলে একক আধিপত্য গড়ে তোলেন এবং চলতি বছরের পৌর নির্বাচনে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৭ জন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী থাকলেও সবাইকে ক্ষমতার দাপটে মাঠছাড়া করেন। পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পৌর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এই মুকুল। বর্তমানে চলাফেরা করেন বিলাসবহুল প্রাইভেটকারে। তাছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে জায়গা জমি।
উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরে মুকুলের হাত। তার অনুমতি ছাড়া একটি প্রকল্পও তালিকাভুক্ত হয় না। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অধীন বরাদ্দকৃত টিআর, জিআর, কাবিখা প্রকল্প সবগুলো মুকুলের পছন্দমতো নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) কর্মসূচির সিংহভাগ হরিলুট করা হয়েছে তার নেতৃত্বে। করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণের চাল ও নগদ টাকা এবং ভিজিএফ প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। মুকুলের নেতৃত্বে তা হরিলুট হলেও কাগজে-কলমে এর দায়ভার পড়ে পিআইও হুমায়ুন কবীরের উপর।
অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল রেকর্ডপত্র তলব করে পত্র দেওয়া হয়।
