ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে নৌযানে অগ্নিকান্ডে নিহত ৩৬, আহত শতাধিক
এম এইচ ইলিয়াছঃ
বরগুনাগামী যাত্রীবাহী নৌযান “এমভি অভিযান দশ” ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌছলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৬ জন নিহত হয়েছে। নদী থেকে আরো ৬জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক ও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক। এপর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ বরিশাল ও
ঝালকাঠিতে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ৭০ জনকে ঝালকাঠি জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ২শ ৬০ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থ ‘এমভি অভিযান দশ’ ঢাকার সদরঘাট থেকে ৩শ যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং চাঁদপুর থেকেও কিছু যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠির সুগন্ধ নদী অতিক্রমকালে এর মূল ইঞ্জিনরুমে আগুন ধরে যায়। এসময় আনেকেই ঘন কুয়াশা আর পৌষের হাড়কাপান শীতে নৌযানটি থেকে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
রাঁত সাড়ে ৩টার দিকে ঝালকাঠি ফায়ার স্টেশন সংবাদ পেলেও তাদের কাছে কোন নৌযান না থাকায় রাঁতের ঘন কুয়াশার মধ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা সংগ্রহ করে ফায়ার ফাইটার ইকুইপমেন্টসহ দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানটির কাছে পৌছতে সাড়ে ৪টা বেজে যায়।
বরিশালের একমাত্র নৌ দমকল স্টেশন “রিভার ফায়ার ফাইটার” অগ্নি ঘাতক ও একটি “রিভার এ্যামেুলেন্স” দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হলেও ঘন কুয়াশায় মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে দপদপিয়ার কাছে নৌযানটি নিজেই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
বরিশাল ফায়ার স্টেশন ছাড়াও রাজাপুর, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়ীয়া থেকেও ৫টি ইউনিট “এমভি অভিযান দশ” আগুনে নেভানোর কাজে অংশ নেয়। রাঁত সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
কিন্তু পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩৬ জন মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন নদী থেকে কোস্ট গার্ড ৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে ঝালকাঠির ফায়ার ব্রিগেড ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠির জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ছাড়াও দমকল বাহিনীর বিভাগীয় উপ-পরিচালকও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনা স্থলে থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।
ঝালকাঠী জেলা প্রশাসন এবং বিঅইডব্লিউটিএ এ দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্তে দুটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে।
