কঠোর অবস্থানে সরকার-সতর্ক নেতারা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মন্ত্রী, এমপি, মেয়র ও নেতাদের বেফাঁস কথাবার্তা এবং বিতর্কিত কর্মকান্ড পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগের। তাই বেফাঁস বক্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে দলীয় হাইকমান্ড কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল ও সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী দলের যে পর্যায়ের নেতা হোন না কেন কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
মেয়রের বিতর্কিত বক্তব্যের রেশ না কাটতেই অন্য মেয়র/মন্ত্রী/সাংসদ/ নেতা একই ধরনের পথে হাটছেন।এসব কথাবার্তা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি দলকে ইমেজ সংকটে ফেলছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রাজশাহীর কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলীর সব কিছু খোয়াতে হয়েছে। স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যঙ্গ করায় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শাস্তি ভোগ করছে। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের মন্ত্রিত্ব গেছে। জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আওয়ামী লীগ নেতারা সতর্ক হয়ে উঠেছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী ও
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তিদের
কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য হলো-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি মুরাদ হাসান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও কোনো নারী সম্পর্কে একজন প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। আওয়ামী ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে সম্মান করে।
