জাতির শ্রেষ্ট সন্তান কখনও অসম্মানিত হবে না। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা এবং বেআইনি অন্যায় অত্যাচারে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুলিশ আইনী সহায়তা দিবে।
শনিবার ২৮ আগস্ট মতবিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ সব কথা বলেন। নগরীর থানাঘাটস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্বৃতি দিয়ে সভায় ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, তোমরা ইংরেজদের পুলিশ নও। তোমরা জনগণের পুলিশ। জনগনের পুলিশ হওয়া ছাড়া আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। প্রতিটি অন্যায় অনিয়মে মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে ওসি আরো বলেন, আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) সোচ্চার হলে আমাদের গতি আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন অনেক হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জনসেবার আকাঙ্ক্ষা অনেক বেড়েছে। পুলিশী সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং চাহিদা পুরণে কোতোয়ালি পুলিশকে ঢেলে সাজাতে চাই। এই থানায় কোন দালাল, টাউট বাটপারদের জায়গা হবে না। জিডি কিংবা মামলায় কোন ধরনের টাকা পয়সা লাগবে না। আমি এ প্রথা দূরীকরণে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
নবাগত এই ওসির বিচক্ষণতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা কথা বলতে গিয়ে বলেন, আপনি ময়মনসিংহ ডিবিতে টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, কখনো আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বা বাজে মন্তব্য শুনিনি। কোতোয়ালী থেকে বিদায় লগ্নে যেন এমনি অবস্থায় থাকতে পারেন তার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় আপনার পাশে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নবাগত ওসির বৈঠকই প্রমান করে আপনি একজন দক্ষ দায়িত্বশীল চৌকস পুলিশ অফিসার। মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশার সঞ্চালনায় এছাড়া বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল ইসলাম, সেলিম সাজ্জাদ, হারুন অর রশিদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সন্তান কমান্ডের জেলা সভাপতি হুমায়ুন রশিদ সোহাগ, সেক্রেটারী রিয়াদুল ইসলাম রানা,মহানগর সেক্রেটারী লিমন মোঃ জামায়েল সানি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন। এর আগে ওসি শাহ কামাল আকন্দ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরন করা হয়।