ঢাকাশনিবার , ৩১ জুলাই ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলাম
  6. ক্রিকেট
  7. খুলনা
  8. খেলাধুলা
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জানা অজানা
  12. টিপস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য ও প্রযুক্তি
  15. দুর্ঘটনা
সর্বশেষ সবখবর

ঢাকার পথে হাজারো মানুষের ঢল : কারখানা খোলা আগামীকাল

বর্ণমেলা নিউজ
জুলাই ৩১, ২০২১ ৪:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফেরিঘাটে মানুষের ভিড়
ছবির ক্যাপশান, ফেরি ভর্তি করে মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে

কলকারখানা খোলার সংবাদে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের বেশিরভাগই ঢাকা ও আশেপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী।

Advertisements

বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন রয়েছে। এরই মধ্যে পহেলা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

ফলে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন হাজার হাজার কর্মী।

শনিবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজার হাজার মানুষকে পার হতে দেখা গেছে। যানবাহন পরিবর্তন করে, পণ্যবাহী যানের ছাদে করে বা হেঁটে তাদের ঢাকার পথে রওনা দিতে দেখা গেছে।

 নূপুর আক্তার নামের একজন নারী জানিয়েছেন, তিনি বরিশাল থেকে রওনা দিয়েছেন, যাবেন গাজীপুরের মাওনা।

”আগে শুনছিলাম ৫ তারিখ পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে। কালকে ঘোষণা দিছে, রবিবার থেকেই নাকি মিলকারখানা খুলবে। আমাগো মোবাইলে ম্যাসেজও পাঠাইছে যেন কালকে অফিসে হাজির থাকি। এখন কি করবো? পেটের দায়ে চাকরি বাঁচাতে হলে তো আমাগো আসতেই হইবো।”

পায়ে হেঁটে ঢাকা ফিরছেন অনেক মানুষ

ছবির ক্যাপশান,পায়ে হেঁটে ঢাকা ফিরছেন অনেক মানুষ

গাজীপুরের একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসাবে চাকরি করেন নূপুর আক্তার।

নূপুর জানান, অটোরিকশা, সিএনজিতে করে কয়েকবার যানবাহন পরিবর্তন করে, কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে তিনি মাওয়া পর্যন্ত এসেছেন। তাকে যেতে হবে গাজীপুরের মাওনা পর্যন্ত।

”সঙ্গে ব্যাগ বোচকা আছে, বাচ্চাকাচ্চা আছে। কিভাবে যাবো জানি না, কিন্তু যেতে তো হবে। নাইলে চাকরি থাকবে না,” তিনি বলছেন।

তিনি দাবি করেন, সরকারের উচিৎ ছিল মিল-কারখানা খুলে দিলে যানবাহনও চালু করে দেয়া।

তারই সঙ্গে একত্রে ফেরি পার হয়েছেন মাদারীপুর থেকে আসা নাজমা আক্তার। তিনিও ভালুকায় যাবেন।

”গার্মেন্টস তো খুলে দিছে, আমাগো যাইতে হইবো, যেভাবেই হোক। অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত আসছি। আশি টাকার ভাড়া আড়াইশো টাকা নিছে। যেভাবেই হোক কষ্টমষ্ট করে যাইতে হইবো।”

ঈদের আগের দিন কারখানা বন্ধ করে দেয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি আরো জানান, তাদের সঙ্গে আরও অনেকে একইভাবে ঢাকা, ময়মনসিং, গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।

একই চিত্র দেখা গেছে পাটুরিয়া থেকে ঢাকামুখী সড়কেও।

গাবতলীতে একজন গার্মেন্টস কর্মীর সাথে কথা হয় তিনি বলেন, ”রাজবাড়ী থেকে অনেক কষ্ট করে ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা আমিন বাজার পর্যন্ত আইছি। মোবাইলে ম্যাসেজ আসছে যে এক তারিখ কারখানায় হাজির হতে হবে।” তিনি আরো জানান, বাড়ি থেকে অটোরিক্সায় করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত এসেছেন। সেখান থেকে ফেরি পার হয়ে সিএনজিতে করে এসেছে মানিকগঞ্জ। আরেকটি সিএনজিতে নবীনগর পর্যন্ত এসেছেন। সেখান থেকে রিক্সায় করে এসেছেন আমিন বাজার। এরপর হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন। এই পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১২০০ টাকা।

গণপরিবহন না থাকায় অনেকে কাভার্ড ভ্যাানে করেও ঢাকায় ফিরছেনক্যাপশান,গণপরিবহন না থাকায় অনেকে কাভার্ড ভ্যাানে করেও ঢাকায় ফিরছেন

আমিন বাজারে রাস্তার পাশে ছোট শিশুকে নিয়ে বসেছিলেন কুমিল্লার চাঁদপুর থেকে আসা আরেকজন নারী। তিনি নাম বলতে চাননি।

তিনি বলছেন, নানারকম বাহন ব্যবহার করে, কিছুটা হেঁটে হেঁটে চাঁদপুর থেকে এই পর্যন্ত এসেছেন। কারণ কালকে অফিস (গার্মেন্টস) খুলে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে। না হলে ৫ অগাস্ট গাড়ি চালু হলে আসতেন।

এভাবে এই পথে অসংখ্য মানুষ হেঁটে হেঁটে ঢাকা শহরে ঢুকতে দেখা যায়।

মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় একব্যাক্তি জানান, প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়া মানুষ রয়েছে। কাভার্ড ভ্যান,  ট্রাকের খোলা ছাদ, অটো রিক্সা- যে বাহন তারা পাচ্ছেন, তাতে করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।

এসব এলাকায় প্রশাসনকে তেমন একটা কড়াকড়ি ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisements

  বর্ণমেলা প্রিন্টার্স এন্ড ক্রেস্ট গ্যালারী আমাদের সেবা সমূহ:- ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক, মগ, মেডেল, আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার, পোস্টার, পিভিসি ব্যানার, ষ্টিকার সহ সকল প্রকার ছাপার কাজ করা হয় এবং সকল প্রকার সীল তৈরি ও যে কোন অনুষ্ঠানের গেঞ্জী, টিশার্ট প্রিন্ট করা হয়। ঠিকানা: সিডষ্টোর বাজার, ভালুকা, ময়মনসিংহ, মোবাঃ ০১৭১৫২৫৩৩৮৫, E-mail: bornamela03@gmail.com