নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়কের পাশ ঘেসে ময়লার স্তুপ। জেলার প্রবেশদার উপজেলার সিমান্ত নাসির গ্লাস হতে ভালুকা ব্রীজ পর্যন্ত ফাকা জায়গা গুলোতে ময়লার স্তপ ফেলে চলাচলে অনুপযোগী করে রেখেছে সুবিধা বাধী কিছু লোক।
‘নাক চেপে ধরে এসব এলাকায় পথ চলতে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। নাক ছাড়লেই দুর্গন্ধে পেট ফেঁপে যায়। ওই টুকু রাস্তা অতিক্রম করা মানেই জীবন হাতে নিয়ে যাওয়া’। এমন মন্তব্য করেন অনেকেই বিশেষ করে যারা ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে যাতায়ত করেন। পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার হবিরবাড়ীর আমতলী (এস এম সি), সিডষ্টোর উত্তর বাজার, মেহেরাবাড়ী এই তিন জায়গায় মহা সড়কের ফাকা জায়গা গুলোতে ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য ফেলা হয়।
অনেক বছর ধরে ওই এলাকা গুলোতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা আর বর্জ্যরে উৎকৃষ্ট দুর্গন্ধ আর বিপন্ন পরিবেশের কারণে ওই রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরছে। প্রতিদিন রিক্সা, ভ্যানগাড়ী ও ট্রাকে করে বিভিন্ন বাজারের অলিগলি ও বাসাবাড়ী থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্যগুলো সেখানে ফেলা হচ্ছে। ভোর থেকে দুপুর ও রাতের আঁধারে এসব বর্জ্য ফেলার সময় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হয়ে পড়ে।
এতে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি পথচারীর শরীরে পড়ায় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। আশপাশের শতাধিক পরিবার একই অবস্থার মুখোমুখি বছরের পর বছর ধরে। দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তারা নাক চেপে ধরে কোনো রকমে পথ অতিক্রম করতে বাধ্য হচ্ছেন। দুর্গন্ধ সইতে না পেরে অনেকেই বমি করেন।
বিশেষ করে সিডষ্টোর উত্তর বাজার এলাকায় বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের পশ্চিপাশে মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি নিস্কাশনপথ বন্ধ করে দেয় এতে করে পানিতে তলিয়ে যায় বেশ কয়কিটি বাড়ী আর পানি বন্ধি হযে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ ডুবে যায় তিনটি সড়ক প্রশাসনের কাছে প্রতিকার না পেয়ে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ময়লা সরিয়ে পানি নিস্কাশন পথ পরিস্কার করে দেয়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন আসলেই সমাধান প্রয়োজন।
বাজারের সুইপার ও ময়লা ব্যাবসায়ীরা রাতের আধারে এসব স্থানে ময়লা ফেলে যায় সুইপার ও ময়লা ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করলে বলে আমরা এখানে কোন ময়লা ফেলাই না। সুইপার কে জিজ্ঞেস করলে বলে এখানে আমরা ময়লা ফালাই না। জনগণের প্রশ্ন তাহলে এখানে ময়য়লা ফালায় কে?
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভুগী সাধারণ মানুষের দাবী।