মায়ের আগমন বার্তায় শরতের আকাশে নীল সাদা সাদা মেঘ গুলো মনের আনন্দে ঘুরছে।কারন তারা জেনে গেছে- কখন মা আসছেন?।প্রভাতে শিউলি ফুলের গন্ধ মনে করিয়ে দিচ্ছে খুব শীঘ্র মা আসছেন। সকালের হালকা কুয়াশা মাখা শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ, চারিদিকে সবুজ ধানগাছ গুলো যেন আপন মনে দুলছে, ঘর থেকে পা পাড়ালেই মনের কোনে একটাই শব্দ জেগে উঠে” মা আসছেন”।প্রাতভ্রমনে বেড়োলেই দেখছি নদীর চড়ের কাশ ফুল গুলো মাথা নাড়িয়ে প্রভাতকে স্বাগতো জানাচ্ছে ।মা আসছে জেনে আকাশ ,বাতাশ,পশু,পাখি ,ফুলগাছ তথা প্রকৃতির প্রতিটি সজীব প্রানী আনন্দে মেতেছে।
আচ্ছা……আমি……. যে মাকে নিয়ে কল্পনা করছি ,সেই মায়ের আগমন কি দেবীপক্ষেই হবে?সেই মাকেও সন্মুখে আমি এখনো দেখিনি,তবে উনাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেই চলছি ,আমার সেই মা কখন আসছেন ? কেউ কি আমায় বলতে পারে? আমি কখন দেখবো আমার সেই মাকে?
“ও মা জানো তোমাকে একবার দেখার ইচ্ছে টা এতোটা প্রবল হয়ে উঠেছে আমার তা আমি কাউকে মুখ খুলে বলে বোঝাতে পারিনা,”মা আসছেন “শব্দ টা শুনলে যে তোমারি কথা মনে জাগে সেটাও তো বলতে পারিনা কাউকে ।কাকেই বা বলবো? কেই বা আছে আমার কথা শুনবে…. আর আপনার ছেলেকে? সে কি কোন কথা শুনে নাকি আমার। মনের কথাটা সে বুঝলে নিশ্চই আপনাকে নিয়ে ঘুরতে আসতো এখানে। আর কেই বা আছে,আমি তো একা ,কারন আমি যে আবেগী,আবেগঘন ব্যক্তিকে ভালোবাসেনা কেউ।তুমি তো মা ..আমার না বলা কথা গুলো কি তুমি বুঝতে পারো মা? শুনেছি তোমার আন্তরিকতার কথা, তুমি সেই মা -দুই হাতে দশভুজা মায়ের মতো সংসারে সর্বদা সুখ শান্তি ধরে রাখো,সবাইকে অন্তর থেকে ভলোবাসো,প্রত্যেক কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও,আমি শুনেছি তোমার রান্নাও বেশ অসাধারন,আমি তো এসব কাজে অবগত নই ,তোমার কাছ থেকে শিখতে চাই ,তুমি কি শেখাবে আমাকে?
তোমার ভালোবাসা স্নেহ পাবার জন্য সর্বদা তোমার ভাবনায় বুদ হয়ে রয়েছি।একটু যদি জানতে মাগো সারাবছর কতটা অবহেলায় বড় হচ্ছি ,তবে হয়তো ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের ঘরনী / পত্নী সারদা মায়ের মতোই বুকে জড়িয়ে নিতে।
আর তো কয়েকদিন বাদে মহালয়ার পূর্ণ্য প্রাতে দেবীপক্ষের সূচনা হতে চলছে। সবাই মায়ের আগমনের প্রতিক্ষায় দিন গুনছে মা এলে মায়ের সব সন্তানেরা খুব খুশি হবে।আর আমিও মাগো তোমার আগমনের অপেক্ষায় দিন গুনছি। তোমার কাছে শুধু চাই তোমার স্নেহ ভালোবাসা জড়ানো আঁচলে আমায় ভালোবেসে একটু আগলে রেখো।তোমার শুভ আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।
তুলোশী চক্রবর্তী
ভারত,পশ্চিমবঙ্গ,কোচবিহার