ভালুকার আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, তরুন শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী ও পরিশ্রমী সমাজ সেবক। রাজনীতি ও সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়জিত করেছেন প্রায় দুই যুগ আগে থেকেই। ছাত্রজীবন থেকেই ওতপ্রোতভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই সাথে ব্যবসায়ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য উচ্চতায়। শিল্পঞ্চল ক্ষ্যত ভালুকার মাটি ও মানুষের কাছে নেতা কালাম নামেই পরিচিতি লাভ করেছেন অনেক আগেই। কোন প্রকার পদ-পদবীতে না থেকেও নিজের শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা দিয়ে কি করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া যায় তার অনন্য উদাহারণ আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ। মুক্তিযোদ্ধ চলাকালিন উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আওলাতলী গ্রামের মরহুম আব্দুল খালেক মাস্টার ও মাতা মোছাঃ আমেনা খাতুন এর ঘর উজ্জল করে যুদ্ধচলাকালীন সময় ১৯৭১ সনের ২৪ মার্চ জন্ম গ্রহন করেন আবুল কালাম আজাদ। ৬ ভাই দুই বোনের মাঝে দ্বিতীয় কালাম। আবুল কালাম আজাদ, দাতা ও শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে তাঁর সম্পৃক্ততা ও অবদান উল্লেখ্য করার মত। আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, ২০০৩ সাল থেকে অধ্যবধী পাঁড়াগাও উচ্চ বিদ্যালয় এ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছেন । আরো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য আওলাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, হলি বেবি মডেল স্কুল, সামসুদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আজীবন দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি বড়চালা হুসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা, সাহেরা নায়েব ল্যাবরেটরি স্কুলের উপদেষ্ঠা হিসেবে দ্বায়ীত্বে পালন করে আসছেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে এলাকার অস্বচ্ছল পরিবারের ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়ার খরচ চালাতে নিজ তহবিল থেকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করে আসছেন বরাবরই। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি হিসেবে বিজিএমইএ এর সদস্য তিনি। আবুল কালাম আজাদ তিনি প্রতিবছর পাড়াগাঁও পরিক্ষা কেন্দ্রের সকল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একবেলা টিফিন তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে দিয়ে থাকেন।
বাবা শিক্ষক হওয়ার কারনে শৈশব থেকেই কালাম ছিলেন প্রতিবেশীদের আদর, স্নেহ,ভালবাসার মানুষ। বাবার আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেন সমাজ সেবক হিসেবে। দীর্ঘ দুই যোগ যাবত ভালুকাকে একটি আধুনিক ভালুকা হিসেবে গড়ে তুলার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, ত্যাগী জনবান্ধব সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ আরও বেশি সেবা করতে চান সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষও চায় তাঁকে আরও বেশি কাছে পেতে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নটি অত্যন্ত আলোচিত এই ইউনিয়নের প্রতিটি সাধারণ মানুষ সচেতন ও বিচক্ষণ। এই ইউনিয়নের মানুষ কালামকে ভালোবাসে। কিন্তু কতটা ভালোবাসে? এমন একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে। এর উত্তর সাধারণ মানুষ দিয়েছেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। অপ্রতিদ্ব›দ্বী জনপ্রিয়তা নিয়ে যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পান, একদল কুচক্রি মহল তার জনপ্রিয়তা দেখে নানা ষড়যন্ত্র করে তার মনোনয়ন বাতিল করেন।
সিদ্ধান্ত নিলেন নির্বাচন করবেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষের চাপে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে মাঠে নামেন আবুল কালাম আজাদ। দলীয় শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শে কালাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। কালাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন এমন ঘোষণা দেয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ঘোষণা করেন আবুল কালাম আজাদ সে শুধু একজন নেতা নয় সে আজকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের সার্থে অমি আজকে তাকে জননেতা হিসেবে ঘোষণা করে গেলাম। এর পরেও একরম বিদ্রোহ করে সাধারণ মানুষ, তারা প্রতিবাদ করে দাবী জানায় এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থাশীল থাকে কালাম। কিন্তু তাঁর প্রতীক আনারস থেকে যায় মাঠে। ভোট দেয় সাধারণ মানুষ। ফলাফল ঘোষণার পর ভালুকার মানুষ আশ্চার্য হয়ে যায়। ৬ দিন পূর্বে নির্বাচন থেকে সরে গেলেও আওলাতলী কেন্দ্রে নৌকার পাঁচ গুণ বেশি ভোট পায় আনারস। অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফলও ছিল আশানুরূপ। এভাবেই কালামের প্রতি আস্থা ও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালো সাধারণ মানুষ। সবকিছুর পরও নিয়মিত সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন কালাম, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব ভূলে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে হবিরবাড়ী থেকে উপজেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে বেরিয়েছেন সদ্য অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে। আবুল কালাম আজাদ এর পরিশ্রম শুধু বিজয়ী সংসদ সদস্যই নয়, সাধারণ ভোটারদের মাঝেও সাড়া জাগিয়েছে। আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ ভোটাররাও কালাম এর এই শ্রমের মূল্যায়ন করতে সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপির নেতা কর্মিরা কালামের হাতধরে আওয়ামীলীগে যোগ দান করেন। সাধারণ মানুষের একটাই দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম আজাদ কে নৌকা উপহার দেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাঠ পর্যায়ে দক্ষ ও পরিশ্রমী সৈনিক অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে নাগরিক নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালুকাকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।