সমুদ্র সৈকতে গেলেই মন ভালো হয়ে যায় সবার! তাই ভ্রমণকারীদের সাগরপাড় সব সময় কাছে টানে। নীল জলরাশি আর সাদা কিংবা সোনালি বালুময় সৈকতেই সাধারণত বেড়াতে যান পর্যটকরা। তবে অতুলনীয় ও কিছুটা অদ্ভুত সমুদ্রতটও আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য তিন পর্বে আমরা জানাচ্ছি বিশ্বের অন্যরকম সৌন্দর্যমণ্ডিত ১৫টি সমুদ্র সৈকতের গল্প। ‘বেড়ানোর জন্য অন্যরকম সৈকত’ ও ‘পৃথিবীর অদ্ভুত কয়েকটি সাগরপাড়’ শিরোনামে প্রথম দুটি কিস্তির পর আজ থাকছে শেষ পর্ব।
গোল পাথরের মেলা
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেন্ডোকিনো উপকূলে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতের নাম ‘বোলিং বল বিচ’। এর কারণ সাগরপাড়টির পুরোটা জুড়েই রয়েছে বলের মতো গোলাকৃতির পাথর। মনে হতে পারে গোল পাথরের মেলা বসেছে! যদিও স্রোত কম থাকলেই কেবল পাথরগুলোর দেখা মেলে। তাই কম জোয়ারের সময়ই সেখানে বেড়ানো যুতসই যময়। তখন পাথরগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য।
সাগরপাড়ে ঊষ্ণ জল
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হোটেল ছাড়াও গরম কিন্তু আরামদায়ক জল মিলবে। সেজন্য যেতে হবে এই ‘হট ওয়াটার বিচ’-এ। সেখানে পর্যটকরা বালিতে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে ছোটখাটো সমুদ্র তৈরি করে তাতে গা ভাসিয়ে দেন।
লাল বালির সৈকত
ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপের রাবিদা অংশের এই ‘রেড স্যান্ড বিচ’-এর নামেই বোঝা যায় যে, সেখানকার বালি লাল। আশেপাশের আগ্নেয়গিরির বহু লাভা জমে রয়েছে সৈকতটিতে। সেগুলো অক্সিডাইজেশন হওয়ার কারণে এমন রঙ। এত কিছু কেইবা ভাবে! লাল রঙা বেলাভূমির সৌন্দর্য একনিমিষে মন কেড়ে নেবে সবকিছুর আগে। বোনাস হিসেবে সামনে আছে প্রশান্ত মহাসাগর।
শিল্পীর তুলিতে আঁকা
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেল আদতে দ্বীপ হলেও সার্বভৌম রাষ্ট্র। সেখানকার “আস সোর্স দা’রজ্যঁ” সাগরপাড়টি দেখতে শিল্পীর তুলিতে আঁকা চিত্রকর্ম। এর পুরোটা জুড়ে শুভ্র বালি। সাগরের পান্না রঙের জলরাশি নীল রঙা গ্রানাইট পাথরে আছড়ে পড়ে তৈরি করেছে প্রাকৃতিক ভাস্কর্য। এরপরও যদি কারও মন না ভরে, তাহলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। দারুণ ব্যাপার হলো, এমন পশ্চিমমুখী সমুদ্র সৈকত হাতেগোনা কয়েকটি। ফলে চোখ জুড়ানো সূর্যাস্ত মিস হবে না ভারত মহাসাগর ঘেঁষে অবস্থিত এই বেলাভূমিতে।
বেলাভূমিতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ
গ্রিস জুড়ে আছে ছবির মতো বেশকিছু সমুদ্র সৈকত। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত সাইকিনথসের নাভাজিও বিচ।
এই বেলাভূমি ‘শিপরেক বিচ’ নামেই বেশি জনপ্রিয়। এর কারণ একটি ভাঙা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে সেখানে। জনশ্রুতি রয়েছে, এমভি পানাগিওতিস নামের জাহাজটি নারী পাচার ও সিগারেট-মদ চোরাচালানোর জন্য ব্যবহার করা হতো। এটি দেখতেও ভিড় জমে নাভাজিও বিচে।
