খুলনা প্রতিনিধি: বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, ৮০ ভাগ কেন্দ্র ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে। সরকারি প্রার্থী পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশসের সহায়তায় এসব কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। নির্বাচন শেষ হবার দুই ঘণ্টা আগে একটি স্যাটেলাইট চানেলের সাথে সা্ক্ষাৎকারে এটা দাবি করেন হতাশ মঞ্জু।
এর আগে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়। জানা গেছে, জালভোট দেওয়ার অভিযোগে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধ ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউল হক।
অন্যদিকে অনিয়মের অভিযোগে সকাল সাড়ে ১১টায় সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন জেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার (জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নড়াইল) আনিসুর রহমান।
এবারের নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং চারটি সংরক্ষিত আসনে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।