বদরুল আমীন ঃ ময়মনসিংহ শহরের পতিতা পল্লীতে দালাল কর্তৃক বিয়ে বা চাকুরির প্রলোভনে আনা কিশোরী পতিতার সংখা আশংকা জনক হারে বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এদের নামে পতিতা বৃত্তি করার কথিত এফিডেভিডে কৌশল গত কারনে সর্দারনীরা ভূয়া নাম ঠিকানা লিখানোর ফলে, পুলিশের তার বার্তায় সংশিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে যথাযত রির্পোট না পেলেও পতিতা বৃত্তি করাতে আর অসুবিধা হয়না । রহস্যজনক কারনে পুলিশ আর এটি খতিয়ে দেখেনা এবং পতিতার নাম ঠিকানা ও বয়স যাচাই করেনা! ফলে জিম্মী থেকে পতিতা বৃত্তি করা কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সের পতিতার সংখ্যা বেড়েই চলেছে । শুধু দালাল নয় পতিতা পল্লীতে আনা মেয়েদের লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘর বদল করে পুলিশও ।
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত পতিতা পল্লীতে চার শতাধিক পতিতা রয়েছে । সুত্রমতে এদের মধ্যে ৫০ জন বয়োবৃদ্ধ । মধ্য বয়সের ৪০ জন প্রভাবশালী । আর এদের ঘরে রয়েছে ৫/৬ জন করে ছুকরী । এদের বেশীর ভাগই কিশোরী , নাম ঠিকানা সঠিক নয় ! বাকি ৪০/৫০ জন একা ঘর নিয়ে বসবাস করে । প্রভাবশালী ৪০ জনই সরর্দানী বলে পরিচিত । এদের প্রত্যেকের রয়েছে ২/৩ জন করে মাস্তান । ওরা মেয়েদের দেখে রাখে ,যাতে পালাতে না পারে । ফলে অনেক মেয়েরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ দানে বাধ্য হয় ।
এতে কেহ অনিচ্ছা প্রকাশ করলে, হতে হয় অমানুশিক নির্যাতনের শিকার । এটা মূলতই অন্ধকার জগৎ । আর এ জগতের কিং হলেন ১ নং পুলিশ ফড়ির টি এস আই । ইতি মধ্যে তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে । তিনি এই জগতকে “যত বেশী অন্ধকারে রাখবেন, ততই তার লাভ” বলে সুত্র জানায় । ফলে নতুন আনা কিশোরী বা মেয়েদের ঠিকানা যাচাইয়ে পুলিশের তার বার্তায় রির্পোট যাই আসুক পতিতা বৃত্তি করাতে কোন বাধাঁ নেই ।
অভিযোগ রয়েছে , এটি গোপন রাখতেই টিএসআই কে মেয়ে প্রতি দিতে হয় ৩০ হাজার টাকা । ফলে অধিকাংশ মেয়েদের ঠিকানা ভূয়া । এসকল মেয়েদের বাবা-মা জানেনা তাদের আদরের মেয়ে কোথায় আছে , কেমন আছে ! অথচ পুলিশ এদের নাম ঠিকানা সঠিক ভাবে যাচাই করলে এই হতভাগ্য কিশোরীরা বহুলাংশই মুক্তি পেত । ইতিপূর্বে র্যাব কর্তৃক ২ মেয়ে উদ্ধার হয় পতিতা পল্লী থেকে । সরর্দানী হাসনার কাছে তারা জিন্মী ছিল । লোমহর্ষক কাহিনীর বর্ননা দেয় উদ্ধার হওয়া মেয়েদ্বয় ।
যোশহরনীর কাছ থেকে এক কিশোরী উদ্ধার হয় । পুলিশ মেনেজ করে সর্দারনীরা , মেয়ের অভিবাভকরা মানসম্মানের দিকে চেয়ে পুলিশের কথায় আর মামলা করেনি । ফলে পুলিশও আইনের প্রয়োগ করেনি । তবে পতিতা পল্লীতে গুঁনজ্ঞন আছে মামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ টাকা চলে যায় পুলিশের পকেটে ! তবে মেয়েদের অভিবাভকরা কোন টাকাকড়ি নেননি বলে জানিয়েছেন অনেকে। এভাবে গত দু’বছরে কমপে ১২ জন মেয়ে উদ্ধার হয়েছে । তবে কোনটাই মামলা হয়নি । পুলিশের টি এস আই ইতিমধ্যে ২ জনকে বিক্রী করেছেন বলে অভিযোগ । সম্প্রতি ১ নং বাড়ির রহিমার ছুকড়ি লাখীকে বিক্রী করে কুখ্যাত সর্দারনী চম্পার কাছে । এতে এক লাখ বিশ হাজার টাকা লেনদেন হয় ।
৩ নং বাড়ির ছুকড়ি রাত্রী ৪ নং বাড়ির মনুর কাছে বিক্রি হয় ৯০ হাজার টাকায় । পুলিশ যেখানে নারী বিক্ররি ভুমিকায় থাকে, সেখানে আইনের শাসন কতটুকু ! পতিতা পল্লীর পতিতাদের একটি সংগঠন রয়েছে । জনৈক নেত্রী সংগঠনের অর্থ ও বিভিন্ন যৌন কর্মীদের উপর সামারী করে কোটিপতি বনেছেন । পতিতারা অভিযোগ করেন , তিনি কোন দিনই পতিতাদের স্বার্থ দেখেননি । বরং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নামে অর্থ সামারী করে ভাগ নিয়েছেন! এছাড়াও তার মদদ পোষ্ট এক সাংবাদিক দিয়ে পত্রিকায় লিখিয়ে হয়রানি করিয়েছেন । তিনি খদ্দের বা মাস্তান দ্বারা নির্যাতিত কোন পতিতার পে প্রতিবাদ বা বিচার দাবী করেননি । তবে পতিতা পল্লীতে কোন মেয়ে আনা হলেই নাম লিখাতে তাকে ৩০ হাজার টাকা গুনে দিতে হয় । বিভিন্ন দপ্তরে এব্যপারে অভিযোগ রয়েছে । অভিযোগকারীরা ডি আই জি সাহেবের হস্থপে কামনা করেন ।
ময়মনসিংহ পুলিশের মাঝে প্রচার আছে , পতিতা পল্লীর কারনেই নাকি ১ নং পুলিশ ফাঁড়ি প্রোফিড পোষ্টিং ! এটি নাকি কর্তৃপরে মনযোগিয়ে ও নজরানা দিয়ে পেতে হয় । এখানে পুলিশের নামে ধাঁপে ধাঁপে টাকার খেলা হয় ! খদ্দের রাত্রী যাপন করলে পুলিশকে দিতে হয় টাকা । ডিফেন্স পার্টির মতি এটাকা তুলেন । রাত ১১ টার পর পতিতা পল্লীতে কোন খদ্দের ডুকলে পুলিশের নামে দিতে হয় ৫০ টাকা । এছাড়াও এখানে পতিতার ভেরুয়া বিক্রী করে বিদেশী মদ ও ফেন্সিডিল । পতিতাদের বাড়ির ম্যনেজার মতি নাকি এখন সাংবাদিক ! তার পত্রিকার বস্ সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পতিতা পল্লীর গেইটে ফরেন লিকার সোপ দোকানের সামনে বসে থাকে । দুটি গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পতিতা পল্লীতে পুলিশের সামনে সে ঘুড়ে বেড়ায় ! ইতিমধ্যে তার শ্যালক মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে । সে নাকি পুলিশের ফুটফরমাইস করে । ফলে এই অন্ধকার জগত নাকি অপরাধের স্বর্গরাজ্য
