বিশেষ প্রতিনিধি:
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং জাতীয় সংসদের সদস্য মমতাজ বেগম ওরফে মমতাজের ব্যাক্তিগত কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তের মধ্যেই মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলে হৈ চৈ পড়ে যায়। পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর কমেন্টস পড়ে।
একজন সংসদ সদস্য এমন খোলামেলা ছবি ফেস বুকে দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্ন রাকেহ্ন অধিকাংশ ফেস বুক ব্যাবহারকারি। মমতাজের রুচি নিয়েও প্রস্ন তলেন অনেকেই। ফেস বুকে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। জানা গেছে, বিয়ের পরে তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে মমতাজ দেশের বাইরে গেলে এ ছবিগুলি মমতাজ নিজেই তুলেন এবং ফেস বুকে নিজের ওয়ালে নিজেই আপলোড দেন। কিন্তু এ ছবি নিয়ে দেশে বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হলে মমতাজ ছবিগুলি ওয়াল থেকে এক পর্যায়ে সরিয়ে ফেলেন।
কিন্তু ছবিগুলি ততোক্ষণে দেশে বিদেশে অনেকের হাতেই চলে গেছে যা পরবর্তীতে অন লাইনে শোভা পাচ্ছে। মমতাজ ও তার স্বামীর সান্নিদ্ধে রোমান্টিক ছবি ছাড়াও মমতাজের ভেজা কাপড়ে দুইটি ছবি অন লাইনে শোভা পাচ্ছে। একাধিক বিয়ের কারনে বিতর্কিত হলেও গত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ শিল্পীর এমন বাণিজ্যিক ছবি এর আগে কোনও দিনও অন লাইনে আসে নি।
মানিকগঞ্জের জন্ম নেয়া এ ফোক গানের শিল্পী বহু সংগ্রাম করে আজ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীতে অবস্থান তৈরি করেছেন। জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ইত্যাদির মাধ্যমে মমতাজ প্রথমে ফোকাসে আসেন। এরপরে তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। মরার কোকিলা, নান্টু ঘটকের, বুক্টা ফাইট্টা যায় এমন অসংখ্য হিট গান তিনি উপহার দিয়েছেন। ফোক গানের সম্রাজ্ঞী বলা হয় তাকে। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার ক্যাসেটও বেরিয়েছে তার।
টেলিভিশন, ফিল্মের গানের পাশাপাশি মমতাজ ষ্টেজ শোতেও অসম্ভব জনপ্রিয়। নারী শিল্পীদের মধ্যে স্টেজ শোতে তিনি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রম্রিক নেন। একটি ছবিতে তিনি নায়িকার চরিত্রেও অভিনয় করেছেন । ২০০৯ এ বিএনপি ঘরানার এ শিল্পী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি সংসদেও তিনি সংসদ সদস্য আছেন।
গত বছরে তিনি তার সাবেক স্বামী মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রমজান আলিকে তালাক দিয়ে বয়সে অপেক্ষাকৃত ছোট একজন ডাক্তারকে বিয়ে করেন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। এ বিষয়ে মমতাজকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
